ভাসমান পাথর

ভাসমান পাথর পাথর দেখেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়, হীরা, চুনি, পান্না, আকীক, শিলা, চুনা আরো কত কী ৷ স্রষ্টার সৃষ্টির প্রশংসা করে শেষ করা যায় না ৷ আকাশ, বাতাস, আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র, নদ-নদী, সাগর- মহাসাগর, পাহার-পর্বত আরো কত কী ৷ স্রষ্টার সৃষ্টির এগুলো সবাই দেখে, জানে ও এগলো সমন্ধে জ্ঞান অভিজ্ঞতাও আছে কম-বেশি সকলের ৷ স্রষ্টার সৃষ্টির এমন কিছু আশ্চর্য জিনিষ আছে নাম শুনলেই জানতে মন চায়, দেখতে ও মন চায় ৷ আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহটিতে এমন বহু আশ্চর্য জিনিষ আছে তার মধ্যে একটি হলো "ভাসমান পাথর" ইতিহাসকে করে রেখেছে জাগরুক করে ৷ এই ভাসমান পাথরটি আমাদের পবিত্র স্থান সৌদি আরবে ৷

ভাসমান পাথর

ভাসমান পাথর

পাথর দেখেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়, হীরা, চুনি, পান্না, আকীক, শিলা, চুনা আরো কত কী ৷ স্রষ্টার সৃষ্টির প্রশংসা করে শেষ করা যায় না ৷ আকাশ, বাতাস, আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র, নদ-নদী, সাগর- মহাসাগর, পাহার-পর্বত আরো কত কী ৷ স্রষ্টার সৃষ্টির এগুলো সবাই দেখে, জানে ও এগলো সমন্ধে জ্ঞান অভিজ্ঞতাও আছে কম-বেশি সকলের ৷ স্রষ্টার সৃষ্টির এমন কিছু আশ্চর্য জিনিষ আছে নাম শুনলেই জানতে মন চায়, দেখতে ও মন চায় ৷ আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহটিতে এমন বহু আশ্চর্য জিনিষ আছে তার মধ্যে একটি হলো "ভাসমান পাথর" ইতিহাসকে করে রেখেছে জাগরুক করে ৷ এই ভাসমান পাথরটি আমাদের পবিত্র স্থান সৌদি আরবে ৷

সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে খ্যাত একটি স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে শূন্যে ভাসমান এক পাথরের বিষয়টি অসত্য। পাথরটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের আল আহসা অঞ্চলের আল তুয়াইতির গ্রামে। প্রকৃতপক্ষে পাথরটি ভূমির সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় আছে। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিও প্রকাশ পেয়েছিল যেখানে এডিটিং এর মাধ্যমে পাথরের সংযোগসাধনকারী অংশগুলোকে মুছে ফেলা হয়েছে। নিচের স্তম্ভগুলো মুছে ফেলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছিল। তবে পাথরটির প্রকৃত ছবি প্রকাশের পর দেখা গেছে পাথরটি ছোট স্তম্ভ সদৃশ ভিত্তির সাহায্যে ভূমির উপর দাঁড়িয়ে আছে। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের ভাসমান পাথরের এই নিউজটিতে অসাবধানতাবশত কয়েকটি তথ্য ভুল উল্লেখ করা হয়েছিল। যেমন হেডলাইনে আমরা বলেছিলাম সৌদি আরবে শূন্যে ভাসছে পাথর এবং নিউজের ভেতরেও একই তথ্য ছিল যা ফরাসি ভিত্তিক গ্লোবাল ফ্যাক্ট চেকার প্রতিষ্ঠান এএফপি ফ্যাক্ট চেক এর মধ্যপ্রাচ্য টিমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত নিউজ প্রকাশের ক্ষেত্রে আমরা ভবিষ্যতে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবো, যাতে পাঠকের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য দেওয়া যায়।

এমন আরেকটি পাথর আমাদের দেশের জাফলং ভ্রমণকারীদের নজরেও পড়ে ৷ কিন্তু অনেকেই জানেনা পাথরটির মূল কাহিনী ৷ পাথরটি ঠিক ডাওকি ঝুলন্ত ব্রিজের বাম দিকে ডাওকি পাহাড়ের উপরে ৷ জাফলং বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি এলাকা ৷ জাফলং সিলেট শহর থেকে ৬২ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ৷ এবং এখানে পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সম্মিলন বলে এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত ৷ এর পাশে ভারতের ডাওকি অঞ্চল ৷ ডাওকি অঞ্চলের পাহাড় থেকে ডাওকি নদী এই জাফলং দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৷ মূলত পিয়াইন নদীর অববাহিকায় জাফলং অবস্থিত ৷ সিলেট জেলার জাফলং-তামাবিল-লালখান অঞ্চলে রয়েছে পাহাড়ি উত্তলভঙ্গ ৷ এই উত্তলভঙ্গে পাললিক শিলা প্রকটিত হয়ে আছে তাই ওখানে বেশ কয়েকবার ভূতাত্ত্বিক জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৷ এই এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ৷ যার কারনে জাফলংকে বলা হয় প্রকৃতি কন্না ৷ আমি ১৯৮৭ ইংরেজী সালে যখন সিলেট ইনড্রাষ্ট্রিজ এলাকা গোটাটিকর কুশিয়ারা টেক্সটাইল্ স মিলে কাজ করতাম, তখন মিলের পাশে রাস্তায় বেরুলে চোখে পরতো ওই ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়৷ দেখা যেত যেন আকাশের কালো মেঘ, পাহাড় মনে হতো না ৷

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow