ম্যাজিকের দুনিয়ায় বাংলাদেশ
ম্যাজিকের দুনিয়ায় বাংলাদেশ, ম্যাজিক ও বাংলাদেশ,দুরন্তা টেক নিউজ %%title%% %%sitename%% %%primary_category%%
ম্যাজিকের দুনিয়ায় বাংলাদেশ
ম্যাজিক ! শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে যেন কত লোমহর্ষক রহস্য,কত বিভ্রমের গল্প,কত চোখের পলকে গায়েব করে দেবার মত অতিপ্রাকৃত শক্তি কিংবা বস্তুর রূপান্তর ঘটিয়ে ফেলার মত অবাক করা কান্ড ৷ ম্যাজিক এমন একটি পারফর্মিং আর্ট যা চোখের সামনে ঘটতে দেখেও দর্শকসমাজ একপ্রকার উত্তেজনা নিয়ে বলেই উঠে," এটা কি করে সম্ভব?" ৷ মঞ্চম্যাজিক,ক্লোজ আপ ম্যাজিক,স্ট্যান্ড আপ ম্যাজিকের মত বিভিন্ন উপায়ে ম্যাজিসিয়ানরা তাদের অসম্ভব অসম্ভব কলাকৌশলগুলো ব্যবহার করে দর্শকের মনে প্রশ্ন ঠুঁকে দিয়ে তাদের শিল্পের মাধ্যমে রোমাঞ্চকর পরিবেশ তৈরি করেন ৷ এই ম্যাজিক শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ থেকে যা প্রকাশ করে এটি একটি পরিবেশনমূলক শিল্প ৷ ১৫০০ শতকের শেষের দিকে কলাকৌশলনির্ভর ম্যাজিক অতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ৷ সপ্তদশ শতকে ম্যাজিকের ওপর বিভিন্ন বই প্রকাশিত হয় ৷ ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে ' ম্যাজিক শো ' হিসেবে বড় বড় নাট্যমঞ্চে ম্যাজিক প্রদর্শন শুরু করা হয় ৷ উল্লেখ্য যে ' রবার্ট হুডিন ' কে ' আধুনিক ম্যাজিকের জনক ' বলা হয়ে থাকে, তারপর বিভিন্ন ম্যাজিসিয়ানের হাত ধরে ম্যাজিক বিশ্বে এক চাঞ্চল্যকর সাড়া ফেলে ৷ বিংশ শতাব্দীর দিকে ম্যাজিক কয়েকজন বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশী ম্যাজিসিয়ানের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করে ৷
বাংলাদেশে ম্যাজিকের যাত্রা :
বর্তমান সময়ে ম্যাজিক একটি সৃষ্টিশীল শিল্পকলা এবং আমাদের দেশেও এটি হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় বিনোদন মাধ্যম ৷ বাংলাদেশে ম্যাজিকের ইতিহাস সুপ্রাচীন ৷ প্রাচীন হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ম্যাজিকের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় শীর্ষস্থানীয় ম্যাজিসিয়ান 'পি.সি.সরকার' এর হাত ধরে বিংশ শতাব্দীতে এদেশে ম্যাজিকের সূত্রপাত ৷ তারপরে জুয়েল আইচ,উলফাত কবির,আলিরাজ ,এসইউ শিকদার,আবদুর রহিম,এ.এইচ. রানা, প্রিন্স হারুনের মত বিভিন্ন খ্যাতনামা ম্যাজিসিয়ানদের ছলাকৌশলের মাধ্যমে ম্যাজিক বাংলাদেশে বিস্তৃত সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে ৷ বাংলাদেশের সকল ম্যাজিসিয়ানরা আবার বিশ্বে তেমন মুখপরিচিতি অর্জন করতে পারেরন নি ৷ তবে পি.সি. সরকার,জুয়েল আইচের মত বিশ্বখ্যাত ম্যাজিসিয়ানদের জন্য বাংলাদেশ ম্যাজিকের দুনিয়ায় অতিপরিচিত হয়ে উঠছে ৷
বাংলাদেশের ম্যাজিক কমিউনিটিঃ
একটা সময়ে কেবল মেলার সার্কাসে ম্যাজিক শো প্রদর্শন করা হতো ৷ তখন মূল আকর্ষণই থাকত বিভিন্ন ম্যাজিসিয়ানদের অদ্ভুতুড়ে সব মায়াকৌশল ৷ টুপি থেকে কবুতর বা ফুল বের করা,মুখ থেকে ফিতা টেনে বের করা, বিভিন্ন জিনিস গায়েব করা কিংবা গলার ভেতর তলোয়ার ঢুকিয়ে ফেলার মত লোমহর্ষক ম্যাজিক ছিলো অন্যতম ৷ কালক্রমে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ম্যাজিকের প্রসার বেড়েছে বহুগুণ,বলা চলে এ যেন জাদু লেগেছে ম্যাজিকের দুনিয়ায়! বাংলাদেশে ম্যাজিকের সুদূরপ্রসারী বিস্তার ও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ম্যাজিকশিল্পীদের নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করা হয় যার নাম 'ম্যাজিসিয়ানস সোসাইটি অব বাংলাদেশ' ( এমএসবি) ৷ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারি আলিরাজ,প্রেসিডেন্ট জুয়েল আইচ,ভাইস প্রেসিডেন্ট উলফাত কবির, এছাড়াও রয়েছে আরো ২ জন কমিটি সদস্য ৷ উক্ত প্রতিষ্ঠানটি একটি স্বতন্ত্র - অলাভজনক সংস্থা যা 'এশিয়ান ম্যাজিক এসোসিয়েশন' কে প্রতিনিধিত্ব করছে ৷ ১৯৯৯ সাল থেকে এর অগ্রযাত্রা শুরু তবে ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে সরকারীভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি সংগঠিত হয় ৷ বর্তমানে ৫৫ জনেরও বেশি নির্বাচিত সদস্য রয়েছেন যারা সর্বস্তর থেকে উঠে আসা তথা ডাক্তার,ইন্জ্ঞিনিয়ার,ম্যাজিক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী ৷
ম্যাজিসিয়ানস সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর বিভিন্ন কার্যক্রম :
বছরের পর বছর ধরে এমএসবি তাদের সদস্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য মাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ৷ এছাড়াও সভা,ম্যাজিসিয়ান পরিদর্শন করে বক্তৃতা/আলোচনা,ম্যাজিক শো,বার্ষিক নৈশভোজ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ৷ উক্ত সংগঠনটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ২০০৫ সালে সাফলের সাথে বিশ্বের ১০ টি দেশের বিখ্যাত ম্যাজিসিয়ানদের উপস্থিতিতে ৩ দিন ব্যাপী ' আন্তর্জাতিক ম্যাজিক ফেস্টিভাল ' এর আয়োজন করেছিলো,যা টিভি,প্রেস,পাবলিক এবং সাধারণ জনগণ দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিলো ৷
সম্প্রতি এমএসবির উদ্যোগে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রথমবারের মত ' ম্যাজিক ওয়ার্কশপ ২০১৯ ' শীর্ষক এক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয় ৷ এখানে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ১০০ ম্যাজিসিয়ান অংশ নেয় ৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা কিছু ম্যাজিসিয়ান হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেন ও ম্যাজিক শো করেন ৷ ম্যাজিক ও ম্যাজিসিয়ানদের মানোন্নয়নে এমএসবি আরো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এবং সেসবের বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখবে ৷
ম্যাজিকের দুনিয়ায় বাংলাদেশী কিংবদন্তি :
বিশ্বের বড় বড় ম্যাজিসিয়ানদের প্লাটফর্মে বাংলাদেশেরও কিছু উদীয়মান নক্ষত্রে উদারহরণ রয়েছে ৷ তাদেরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-
- পি.সি. সরকার: এই খ্যাতিসম্পন্ন ঐন্দ্রিজালিকের পুরো নাম প্রতুল চন্দ্র সরকার ৷ তাঁর জন্ম ১৯১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের আশেকপুর গ্রামে ৷ তিনি ১৯৩৩ সালে ম্যাজিক খেলাকে পেশা হিসেবে বেঁছে নেন ৷ মোটামুটি ৭০ টি দেশে তিনি তাঁর বিভ্রম করার কৌশল দেখিয়ে, মানুষকে সম্মোহিত করে বিশ্বে সাড়া ফেলে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন ৷ এভাবে তিনি লুফে নেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ম্যাজিসিয়ানের অাখ্যা ৷ তাঁর ঝুলিতে লেখা হয় বিভিন্ন সম্মাননা পদকও ৷ যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - সোনার লরেন মাল্য,ট্রিক্স পুরস্কার ইত্যাদি ৷ ১৯৫৭ সালে লন্ডনের বিবিসি টেলিভিশনে এক তরুণীকে করাত দিয়ে দুভাগ করে তিনি সারাবিশ্বে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেন ৷ ১৯৬৪ সালে ভারত সরকার তাঁকে ' পদ্মশ্রী ' উপাধিতে ভূষিত করেন ৷ বিভিন্ন ভাষায় তিনি মোট ২০টির মত বই লিখেছেন ৷ এছাড়াও তিনি বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাজিক ও রোটারি ক্লাবের সদস্য ছিলেন ৷ এই কিংবদন্তি ১৯৭১ সালের ৬ জানুয়ারি জাপানে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷
- জুয়েল আইচ : বাংলাদেশ তথা এশিয়ার একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ ম্যাজিসিয়ান জুয়েল আইচ ৷ পাশাপাশি তিনি একজন চমৎকার বংশীবাদক ও তবলাবাদকও ৷ তাঁর জন্ম ১৯৫০ সালের ১০ এপ্রিল,সমুদয়কাঠি,পিরোজপুরে ৷ ছোটবেলায় বেদেরবহর ও বানারীপাড়ার সার্কাস দলের জাদুকরের ম্যাজিক দেখেই তাঁর মনে ম্যাজিকের প্রতি ভালোলাগা,ভালোবাসার জন্ম নিয়েছিলো ৷ তারপর ম্যাজিসিয়ান আবদুর রসিদের ম্যাজিক দেখে তিনি ম্যাজিক শেখা ও চর্চা শুরু করেন ৷ দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিরত্বের সাথে অংশগ্রহণ করেন ৷ দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে তিনি প্রথম মঞ্চে ম্যাজিক শো করেন ৷ তারপর ১৯৭৯ সালে মিডিয়ায় প্রথম ম্যাজিক প্রদর্শন করেন,এতে ব্যাপকভাবে তাঁর নাম ডাক ছড়িয়ে পড়ে ৷ ১৯৮১ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন দেশে ম্যাজিক শো শুরু করে বিশ্বের বুকে পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছেন ৷ তাঁর সাফল্যও রয়েছে প্রচুর,তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদকগুলো হলো - একুশে পদক(১৯৯৩),কাজী মাহাবুবুল্লাহ্ স্বণর্পদক(১৯৮৯), দ্যা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ট্রফি অফ সোসাইসিটি অব অ্যামেরিকান ম্যাজেসিয়ানস (১৯৮১),গোল্ডেন জুবিলি সেলিব্রেশন ট্রফি,শেরে বাংলা পদক(১৯৯৭) ইত্যাদি ৷ বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ম্যাজিক কমিউনিটির সভাপতিত্ব করছেন ৷ ম্যাজিকের মত নান্দনিক ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করছে তিনি নবাগতদের প্রশিক্ষণ ও নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছেন ৷
- আলিরাজ: ইনি বর্তমানের নামকরা একজন ম্যাজিসিয়ান যিনি এমএসবি এর প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন ৷ তাছাড়া তিনি ' দ্যা ইন্টারনেশনাল ফেডারেশন অব ম্যাজিক সোসাইটিস (FISM) ' এবং ' এএমএ বাংলাদেশ ' এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন ৷ আন্তর্জাতিক ম্যাজিসিয়ান কমিউনিটির বহু প্রত্যাশিত ' মার্লিন পুরস্কার ২০১০ ' অর্জন করেছেন যেটিতে অস্কারের সাথে তুলনা করা হয় ৷ ' আন্তর্জাতিক ম্যাজিসিয়ান সোসাইটি ' ৪ জানুয়ারি,২০১১ তে হোটেল সোনারগাঁয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ করে পুরস্কারটি তুলে দেন ৷
- উলফাত কবির : ইনি খ্যাতনামা একজন পেশাদার ম্যাজিসিয়ান ৷ তিনি গত ৪০ বছর ধরে ম্যাজিকের সাথে জড়িত । তিনি মূলত বাচ্চাদের যাদুতে পারদর্শী। জন্মদিনের পার্টির জন্য, পারিবারিক মিলনমেলা, পিকনিক এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানেও তিনি শো করেন। এই ম্যাজিসিয়ান বড়দের জন্যেও শো করেন যেমন অফিস ফাংশন ৷ ইনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং ফ্রেন্চ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রফেশনালি ম্যাজিক শেখান ৷ এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ওমান, দুবাই ইত্যাদি দেশে শো প্রদর্শন করে খ্যাতি অর্জন করেছেন ৷
স্যোশাল মিডিয়াতে ম্যাজিকের বিচরণ :
বিংশ শতকে ম্যাজিকের বিস্তার এত বিস্তৃত হয়েছে যে, যে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ম্যাজিকের বিচরণ দৃষ্টিগোচর হয় ৷ বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিভিন্ন ম্যাজিক শো প্রচার করে প্রথমদিকে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলো বিভিন্ন ম্যাজিক শো ৷ প্রযুক্তির আধুনিকতায় ঘটেছে বেড়েছে এর জনপ্রিয়তা এবং ম্যাজিক কমিউনিটির জগতে ঢুকে পড়া হয়েছে সহজ ৷ এখন ইউটিউবের সার্চ অপশনে ম্যাজিক কিংবা যে কোন ম্যাজিশিয়ানের নাম লিখে সার্চ করলেই চলে আসে শতশত রেজাল্ট ৷ তাছাড়া ম্যাজিক কমিউনিটির প্রচার প্রসারের জন্য রয়েছে ফেইসবুক পেইজ,ওয়েবপেইজ ৷ আবার খ্যাতনামা ম্যাজিসিয়ানদের ব্যক্তিগত এপয়েন্টমেন্টের সুবিধার জন্য রয়েছে স্যোশাল একাউন্টও ৷ লিংকডইন,ফেইসবুক,ইউটিউব,টুইটারের মত জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোতে ম্যাজিক ও ম্যাজিসিয়ানদের বিস্তৃতি সাফল্যমন্ডিত ৷ আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ম্যাজিসিয়ানরা কোথায়,কখন,কি কি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন তার স্বরূপচিত্রগুলো সামাজিক গণমাধ্যমের দ্বারা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হচ্ছেন সহজেই ৷
ম্যাজিক কমিউনিটির ভবিষ্যৎ:
কিংবদন্তিদের হাত ধরে ম্যাজিকের জগতে উঠে আসছে তরুণ প্রজন্ম ৷ বড় বড় ম্যাজিসিয়ানদের আওতায় সরাসরি কিংবা নিজেদের প্রবল ইচ্ছায় ব্যক্তিচর্চায় ম্যাজিকে পারদর্শী হয়ে উঠছে অনেকে ৷ ম্যাজিকের চোখ ধাঁধানো ট্যাকটিক্স ও গোপন বিদ্যা জোড়ালোভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে ,আর সেই ছলাকৌশলকে কাজে লাগিয়ে মানুষের বিনোদনের খোরাক মেটানোর দায়িত্ব নিচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ৷ বিশ্বখ্যাত প্রবীণ ম্যাজিসিয়ানরা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন,হাতে কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছেন,নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করে পাকাপোক্ত করছেন ম্যাজিক কমিউনিটির ভবিষ্যৎ ৷ সেসব সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে ও তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে নিজেদের ট্যালেন্ট নিয়ে উদয় হচ্ছে নতুন নতুন ম্যাজিসিয়ানদের ৷ বিভিন্ন ক্ষুদে ম্যাজিসিয়ানদের আগ্রহ ধরে রাখতে বিভিন্ন ম্যাজিক কম্পিটিশন,সার্টিফিকেশন ও পুরষ্কারেরও ব্যবস্থা রয়েছে ৷ বর্তমানে কিছু উদীয়মান তরুণ ম্যাজিসিয়ানদের মধ্যে তিথি খান, রাজিক,সূচনা প্রমুখ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ৷ কিন্তু এদেশে এখন ম্যাজিককে পেশা হিসেবে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছেনা ৷ যদি ম্যাজিক কমিউনিটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পায় তবে আশা করা যায় অদূরভবিষ্যতে ম্যাজিকের জনপ্রিয়তা গোটাদেশজুড়ে আরো ব্যাপক বিস্তৃত হবে এবং এটি পেশা হিসেবে বেঁছে নিতেও দ্বিধাবোধ হবেনা ৷
একজন আনকোড়া মানুষ থেকে দক্ষ ম্যাজিসিয়ান হওয়ার জন্য প্রতিভার পাশাপাশি প্রবল চর্চার প্রয়োজন ৷ ম্যাজিসিয়ান হতে গেলেও ম্যাজিকবিদ্যা শিখে শপথ নিতে হয় ৷ ম্যাজিক মানুষকে হাসায়,মনে আনন্দের সৃষ্টি করে,কৌতূহলী করে তোলে ৷ হতাশায় জর্জরিত মনকেও পরিবর্তিত করতে সক্ষম ৷ ম্যাজিসিয়ানরা মানুষকে কিছুটা বোকা বানায় বটে তবে বিনোদন দেবার মূলমন্ত্র নিয়েই দক্ষতার সাথে ম্যাজিক করে যাচ্ছে ম্যাজিক কমিউনিটি ৷
What's Your Reaction?