আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমই '১৯৭১ সেই সব দিন' সিনেমাটিকে স্বতন্ত্র করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা নিয়ে আমাদের অনেকেরই নাক ছিটকানো একটা স্বভাব রয়েছে। অন্য ঘরানার গল্প-সিনেমা নিয়ে অনেক ক্রেজ থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সিনেমা নিয়ে আমরা আগ্রহও দেখাই না খুব একটা। এর কারণ গতানুগতিক কাহিনী এবং একই স্টাইলের গল্প বলার ঢঙ।
মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা নিয়ে আমাদের অনেকেরই নাক ছিটকানো একটা স্বভাব রয়েছে। অন্য ঘরানার গল্প-সিনেমা নিয়ে অনেক ক্রেজ থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সিনেমা নিয়ে আমরা আগ্রহও দেখাই না খুব একটা। এর কারণ গতানুগতিক কাহিনী এবং একই স্টাইলের গল্প বলার ঢঙ। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা মানেই যেন লাগবে অনেক বেশি যুদ্ধ, ও ধর্ষণের দৃশ্য!
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য '১৯৭১: সেই সব দিন' সিনেমাটিতে নেই কোন ধর্ষণের দৃশ্য। গল্পের শুরুই হয়েছে পারিবারিক আবহে। পরিবারে যেমন খুনসুটি, মনমালিন্য, মতবিরোধ থাকে ঠিক তেমনই দেখলাম পর্দায়। হ্যাঁ! মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গল্প হিসেবে সেই আতঙ্ক এই পরিবারের সদস্যও ছিল। তবে ছিল না কেবল বন্ধুক যুদ্ধ, ছিল অস্তিত্ব রক্ষার এবং পরিবারের মাঝেই বিশ্বাসঘাতকতার গল্পও৷
হৃদি হকসহ সিনেমার পুরো টিম যে সিনেমাটি তৈরি করতে সীমাহীন পরিশ্রম করেছে, গল্পের প্রত্যেক পরতে পরতে তার উপস্থিতি টের পাওয়া গেল। সিনেমার সেট ডিজাইন ছিল প্রত্যাশাও উর্ধ্বে। এমন বাড়ি, গাড়ি এবং পরিবেশ যে কিভাবে ম্যানেজ করলেন তা আমার কাছে এখনও আশ্চর্য্য। যুদ্ধের দিন বর্ণনায় এতোটুকু কার্পণ্য করেন নি! এক্ষেত্রে অবশ্যই সিনেমাটোগ্রাফারকেও বাহবা দিতে হবে। অন্ধকার ঝড়-বৃষ্টির রাতগুলো পর্দায় বেশ সুন্দরভাবে ফুটে উঠছিল৷
সিনেমাটিতে অনেক অনেক পরিচিত মুখ দেখা গেছে যারা দীর্ঘদিন সিনেমার বাইরে ছিলেন। তবে তাদের অভিনয়ও বেশ সাবলীল বলা যায়৷ মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ভেবে যারা উপেক্ষা করেন, তাদের বলছি সিনেমাটি দেখেই রিভিউ দেন। অন্তত মুক্তিযুদ্ধের আর দশটা সিনেমা থেকে এই সিনেমাটি অনেকটাই আলাদা। শুভকামনা রইল সিনেমাটির জন্য।
What's Your Reaction?