কেমন ছিল আফরান নিশো'র 'সুড়ঙ্গ' সিনেমাটি?

ঈদের সব আলোচিত সিনেমার একটি 'সুড়ঙ্গ'। তাই এই সিনেমা দেখতে দর্শক সমারোহ থাকবে সেটা আগে থেকেই ধারণা ছিল।

কেমন ছিল আফরান নিশো'র 'সুড়ঙ্গ' সিনেমাটি?

ঈদের সব আলোচিত সিনেমার একটি 'সুড়ঙ্গ'। তাই এই সিনেমা দেখতে দর্শক সমারোহ থাকবে সেটা আগে থেকেই ধারণা ছিল। কিন্তু সিনেমাহলে ঢুকবার দীর্ঘ লাইন সত্যিই বিরক্তি ধরিয়ে দিচ্ছিল! তবে সিনেমা শেষে ঐ হৈ-হুল্লোড় টুকু আমার সেরা প্রাপ্তি। 

সুড়ঙ্গ সিনেমার গল্পের প্রথম ভাগ অনেকটাই সাদামাটা লেগেছে আমার কাছে৷ আকর্ষণের ভিতর ছিল কেবল তানজিব সরোয়ারের সেই গান (গা ছুয়ে বল) আর আসল গল্পের ছোট একটা ব্যাকগ্রাউন্ড, তবে প্রয়োজনীয়। তবে পজিটিভ দিক হলো ময়না-মাসুদের বিয়েতে গ্রামাঞ্চলে যা হয় একদম সেই ফিলটাই তুলে ধরতে পেরেছেন রায়হান রাফি। 

 নারী বিশ্বাসী আবার সেই নারীই কখনো সর্বনাশী। মাসুদের গল্পটাও ছিল এই ময়না কেন্দ্রিক। ময়নাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে মাসুদ। কিন্তু একটা সময় মাসুম অনুধাবন করে টাকা আর ভালোবাসা দুইটাই সমান লাইনে চলে। একটা অন্যটার পরিপূরক। তাই ময়নাকে বিয়ে করে মাসুদ যে সহজ সুখ পেতে চেয়েছিল তা আর  হয় না। টাকার নেশায় জড়িয়ে পড়ে সে। ন্যায়-অন্যায়ের বিভেদ ভুলে গিয়ে মাসুদের নাম হয়ে যায় "সুড়ঙ্গ" মাসুদ। মাসুদের জীবনের অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটে গল্পে, সেখানে মাসুদের কতটা ভালো কি মন্দ হয়েছে সেই বিচারও শেষ পর্যন্ত দর্শকদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন রায়হান রাফি। তবে যে শিক্ষণীয় মেসেজটা সিনেমা শেষে পাওয়া গেল তাতে নির্মাতাসহ রাইটারকে একটা বড় ধন্যবাদ দেয়াই যায়। 

সিনেমার নেগেটিভ দিক বলবো কিছু অ্যাডাল্ট দৃশ্য৷ সিনেমাহলে পরিবার  বিশেষ নিয়ে দেখতে 

আফরান নিশো, তমা মির্জা ছাড়াও সেকেন্ড হাফে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। চিটাগাংয়ের ভাষাকে যে নান্দনিকভাবে তিনি উপস্থাপন করলেন তাতে আমিসহ সিনেমাহলের প্রতিটি দর্শক হো হো করে হেসেছেন। গল্পের সাথে সিনেমটোগ্রাফিক সামঞ্জস্যতাও গল্পকে চোখের সামনে জীবন্ত করে তুলেছে৷ নির্মাতা রায়হান রাফির কাছে এবার একটাই চাওয়া "সুড়ঙ্গ পার্ট ২" চাই আমরা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow