গল্প না বলে 'অসময়'কে অনেকগুলো ইন্ট্রিগ করা ক্লিপ সমষ্টি বললে ভুল হবে না।

কাজল আরেফিন অমির কাজ নিয়ে আমার খুব একটা আগ্রহ নাই। উনি কৌশলে 'অসময়' ফিল্মে ক্রিটিক, রিভিউয়ার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিল্ম নিয়ে যারা লেখালেখি করে তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন, এক কাতারে ফেলে যা তা বলিয়েছেন।

গল্প না বলে 'অসময়'কে অনেকগুলো ইন্ট্রিগ করা ক্লিপ সমষ্টি বললে ভুল হবে না।
কাজল আরেফিন অমির কাজ নিয়ে আমার খুব একটা আগ্রহ নাই। উনি কৌশলে 'অসময়' ফিল্মে ক্রিটিক, রিভিউয়ার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিল্ম নিয়ে যারা লেখালেখি করে তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন, এক কাতারে ফেলে যা তা বলিয়েছেন। ডিরেক্টরস ভিউ বলে এটাকেও পাত্তা নাই দেয়া যায় তবে উনার স্ক্রিপ্টে ইচ্ছাকৃত টক্সিসিটি ছড়ানোটা ভাল লাগলো না। নির্মাতা হিসাবে তিনি যেমন স্বাধীনভাবে অবাধ গালিগালাজ আর টিপিক্যাল সার্কাজম দেখাতে পারেন, একজন সাধারণ মানুষও তার কনটেন্ট টাকা দিয়ে দেখে মতামত জানাতেই পারে।
গল্প না বলে 'অসময়'কে অনেকগুলো ইন্ট্রিগ করা ক্লিপের সমষ্টি বললে ভুল হবে না। আলাদা জোনে আলাদা ক্যারেক্টারগুলো খাপছাড়াভাবে প্রেজেন্ট করে নির্মাতা তার রাগ ঝেড়েছেন। 'অসময়' বর্তমান সময়কে দেখাতে গিয়ে অনেকটাই সরলীকরন করে ফেলেছে। মধ্যবিত্ত, শো অফ করা উচ্চ মধ্যবিত্ত ও ক্ষমতার অপব্যবহার করা শ্রেণীকে খুবই কমন স্টাইলে দেখানো হয়েছে। অনেকগুলো ক্যারেক্টার থাকায় না জমেছে ফ্যামিলি লাইফ, না কোর্টরুম ড্রামা। প্রাপ্তি বলতে 'অসময়' একটা বাজে না হওয়া গড়পড়তা নাটক হয়েছে। ও হ্যাঁ, সুমির গানটা অসাধারণ ছিল, অনেক জায়গায় কমেডি ওয়ার্ক করেছে।
উর্বী বাবার গ্রামে বেচে চেয়া জমির টাকায় প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়তে যায়। ছাত্রী ভাল হওয়ায় জুটে যায় টিপিক্যাল রিচ কিড সার্কেল। ঘটনাক্রমে সে এক নেতার ভাগ্নের মার্ডার কেসে ফেঁসে যায়। অন্যদিকে সাংবাদিক পুলিশ জুটি হিসাবে দেখা যায় মোটামুটি 'ইথিক্স'ওয়ালা হালিম আর এস.আই মোখলেসকে। তাদের পাশাপাশি মামলায় লড়তে এগিয়ে আসে শো অফ করা স্বামী নির্যাতিত উকিল এমিলি।
ফারিণের সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল, স্যরি টু সে। দিনার, রুনা খান, মনিরা মিঠু, ইরেশ যাকের অতি অভিনয়ের ডালি নিয়ে বসেছিলেন। তারিক আনামকে মানায় নি। শরাফ আহমেদ জীবন বেশ ভাল। অল্পসময়ে কাবিলার আরেক ভার্সন দেখিয়েছে পলাশ!

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow