ড্রামা জনরায় বছর সেরা ' অর্ধাঙ্গিনী'!
খুব সাধারণ গল্প, অসাধারণ পারফরম্যান্স, নিখুঁত লিখনী আর পরিমিত রসায়ন মিলে 'অর্ধাঙ্গিনী' ড্রামা জনরায় বছরের সেরা!
খুব সাধারণ গল্প, অসাধারণ পারফরম্যান্স, নিখুঁত লিখনী আর পরিমিত রসায়ন মিলে 'অর্ধাঙ্গিনী' ড্রামা জনরায় বছরের সেরা! শুধু সপ্তাহের পর সপ্তাহ সিনেমাহলে চলাই না, ছবিটি বন্ধ ঘরের দুয়ার খোলার মত একটা না বলা টপিককে সামনে এনে মাথায় তুলে রেখেছে। কৌশিক গাঙ্গুলী 'বিজয়া', 'বিসর্জন', 'জৈষ্ঠ্যপুত্র'র মত কিছু সিনেমা বানান একেবারেই ঘরোয়া, পারিবারিক আবেগ আর সম্পর্কের গল্প বলতে। আবার 'নগরকীর্তন', 'লক্ষী ছেলে' বানান ওয়াইড অডিয়েন্স ধরে পুরষ্কার বাগাতে। তবে দুই জায়গাতেই তার অনবদ্য ডায়লগ আর জুম ফোকাসে কান্না সমানভাবে আলোড়িত করে দর্শককে, এখানেও তাই।
সুমন ১৭ বছর সংসার করার পর সন্তান জন্মদান ইস্যুতে বারবার অশান্তির জেরে ডিভোর্স দেয় শুভ্রাকে। শুভ্রা অতিকষ্টে সেটা মেনে বাড়ি ছেড়ে যায়। সুমন এরপর জড়িয়ে পরে বাংলাদেশি মেয়ে মেঘনার প্রেমে। মেঘনা মুসলিম হওয়ায় ওদের বিয়েতে পারিবারিক সমর্থন পায় নি সুমন। আলাদা থাকতে থাকতে একবার একটা সুপারশপে সেরেব্রাল এটাক হয়ে সুমন কোমায় চলে যায়। স্বামীর সার্জারির জন্য সুমনের প্রাক্তন ও বর্তমান স্ত্রীর দেখা হয় জীবনের প্রয়োজনে।
সিনেমার সবচেয়ে বড় দিক স্ক্রিনপ্লে আর ডায়লগ। ফোনে ফোনে কথা শুনে মেঘনার নিষিদ্ধ শশুড়বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্র আনার দৃশ্যটা খুবই সাধারণ অথচ ভাল লেগেছে। কৌশিকপত্নী চূর্ণি গাঙ্গুলী এক কথায় ক্লাস পারফরম্যান্স করেছেন, সেটা রাগ আর মমতা দুই জায়গাতেই। জয়াও তার রোল অনুযায়ী সমানতালে অভিনয় করেছেন। অম্বরীশ রিলাক্স পয়েন্ট ছিল। কিছু জায়গায় রিপিটেড টুল এবং খুব স্লো এক্সিকিউশন ছিল।
What's Your Reaction?