আলাপ এপ এর বিস্তারিত

আলাপ এপ, আলাপ কলিং এপ, আলাপ VoIP number % % %

আলাপ এপ এর বিস্তারিত

আলাপ এপ এর বিস্তারিত 

বেশ কয়েকদিনধরে সোশ্যাল মিডিয়ায়  আপনি হয়তো ফেসবুকে  “ALAP” নামের এই অ্যাপসটির সম্পর্কে নানান কিছুই শুনেছেন। এখনো যদি এই অ্যাপসটির নাম না শুনে থাকেন, তাহলে জেনে রাখুন, আলাপ অ্যাপ হচ্ছে BTCL কর্তৃক নির্মিত  এক নতুন VIP কলিং অ্যাপস, যা ন্যাশনাল আইডি-কার্ড প্রাপ্ত বাংলাদেশের জনগণ ব্যবহার করতে পারবেন। এটিকে স্কাইপ বা গুগল ডুয়োর মতো শুধুমাত্র একটি VIP কলিং অ্যাপ বললে সেটি  ভুল  হবে, কারণ এখানে আপনি শুধুমাত্র VIP কলিং ছাড়াও এই অ্যাপ থেকে বাংলাদেশের যেকোনো লোকাল অপারেটরের নাম্বারে কল করতে পারবেন।

তবে এটা একেবারে নতুন কিছু নয়, Brilliant অ্যাপ এবং Link3 Technologies কর্তৃক তৈরি Dial অ্যাপ ব্যবহার করেও আপনি একই সুবিধা পাবেন। তবে হ্যাঁ, ব্রিলিয়ান্ট এবং লিংকথ্রি ডায়াল অ্যাপের মতোই এই অ্যাপটি ব্যবহার করেও আপনি সাধারণত VoIP কল করতে পারবেন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি হলেও লোকাল নাম্বারে কল করার জন্য আপনাকে প্রতি মিনিটে  কিছুটা চার্জ দিতে হতে পারে। BTCL এর এই নতুন আলাপ অ্যাপসটির সেটাপ প্রোসেস সহ ইউজার ইন্টারফেস, কোয়ালিটি, প্রাইসিং এবং এর মতো অন্যান্য অ্যাপগুলোর প্রাইসিং এর সাথে এটির পার্থক্য, এসব ব্যাপারে জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলটিতে।

আলাপ অ্যাপ সেটাপ প্রোসেস

এই অ্যাপসটির সেটাপ প্রোসেস নিয়ে তেমন করে বলার কিছুই নেই।এইরকম ক্যাটাগরির অন্যান্য অ্যাপগুলোর সাথে এই অ্যাপসটির সেটাপ প্রসেসর তেমন কোনো পার্থক্য নেই।এন্ড্রয়েড হলে গুগল প্লে স্টোর এবং iOS হলে  অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপসটি ইন্সটল করা হলে প্রথমেই আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার চাইবে এবং সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার এন্টার করবেন। এরপরে নরমালি তারা আপনার মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করার জন্য আপনার মোবাইলে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) পাঠাবে।

এরপর আপনি শুধু OTP টি সেখানে এন্টার করতে পারলেই রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হবে। তবে সিস্টেমে কিছু বাগ অথবা ত্রুটি আছে যার জন্য প্রায়সময়ই আপনি OTP কোডের এসএমএস পাবেন না। সেক্ষেত্রে OTP কোড সেন্ড করার ১ মিনিট  পরে আপনাকে যে "Call Me"অপশনটা দেওয়া হবে,সেখানে ক্লিক করলে আপনার  ফোন নাম্বারে কল করে আপনাকে OTP কোডটি BTCL কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিবে। কোডের এসএমএস সঠিকভাবে ডেলিভারড না হলেও ফোনকলটা সাথে সাথেই পাওয়া যায়।আশা করা যায়, আপনিও "Call me" অপশনটি  ব্যবহার করলে খুব দ্রুত রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলতে পারবেন।

আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন

বর্তমানে সময়ে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন ছাড়া কোন VIP অ্যাপ দেশের কোন লোকাল নাম্বারে কল করতে দেয়না। আলাপ অ্যাপসের ক্ষেত্রেও এই একই সীমাবদ্ধতা । আপনার কন্টাক্ট লিস্টের কেউ যদি ইতিমধ্যে  আলাপ অ্যাপ ব্যবহার করে থাকে, তাহলে আপনি আইডিকার্ড ভেরিফিকেশন ছাড়া এবং কোনরকম চার্জ ছাড়াই অ্যাপ-টু-অ্যাপ কল করে তার সাথে কথা বলতে পারবেন, যেমনটা আমরা ফেসবুক মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে করি। তবে কোন লোকাল নাম্বারে কল করার আগে আপনাকে NID কার্ড ভেরিফাই এর ঝামেলা সেরে ফেলতে পারবেন।

সাধারণত রেজিষ্ট্রেশন করার পরপরই আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন করতে বলা হবে। তবে আপনি চাইলে এটা স্কিপ করে পরবর্তীতে করে ফেলতে পারবেন। কিন্তু অ্যাপসটি ডাউনলোড করে লোকাল নাম্বারে কল করার প্ল্যান থাকলে প্রথমেই আইডি কার্ড ভেরিফাই করে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর জন্য আপনাকে শুধুমাত্র রেজিষ্ট্রেশনের পরের নেক্সট স্ক্রিনে আইডি কার্ডের ছবি তুলতে বলা হবে, সেক্ষেত্রে আপনার আইডি কার্ডটির ফ্রন্ট এবং ব্যাক দুই সাইডের ক্লিয়ার ছবি আপলোড করতে হবে। আইডিকার্ডের ব্যাক সাইডের কিউআর কোডটি যাতে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, তাই ছবি তোলার সময় ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা যাবে না।কারণ ছবিটা ন্যাচারাল লাইটে তুললে ভেরিফাই করাটা সহজতর হবে। আইডি কার্ডের ছবি দুটি সাবমিট দেয়ার পরে আইডি কার্ড স্ক্যান করে অটোমেটিক আপনার নাম,ঠিকানা এসব তথ্যাবলী দিয়ে দেওয়া হবে।

এরপর আপনাকে নিজের একটি সেলফি তুলে জমা দিতে হবে যাতে আপনি আইডি কার্ডটির মালিক কিনা তা ভেরিফাই করা সম্ভব হয়। আইডি কার্ড ও ছবি যাচাইকরণ  সম্পন্ন হলে আপনি অ্যাপের সকল সুবিধা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। অনেকে অভিযোগ করেছেন যে আপনাদের আইডি কার্ড যাচাইকরণ  নিয়ে ঝামেলায় পোহাতে হয়েছে, তবে আমাকে ভেরিফিকেশন নিয়ে কোনরকম প্যারা খেতে হয়নি। নতুন স্মার্টকার্ডের ক্ষেত্রে কিভাবে হবে সেটা আমি বলতে পারবো না, তবে আমার পুরনো কার্ড দিয়ে  ঝামেলাবিহীন ভেরিফাই করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি আপনাকেও কোন সমস্যা পোহাতে হবে না।

ইউজার ইন্টারফেস

সত্যি কথা বলতে যে, একইধরনের আরো অ্যাপগুলো আমাদের দেশে রয়েছে,সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পপুলার দুটি অ্যাপই আমি ইউজ করেছি। তবে “আলাপ” অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেস আমার কাছে সবথেকে সুন্দর এবং সবচেয়ে স্মার্ট মনে হয়েছে। ডিপ ব্লু রঙের অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেস খুবই সিম্পল এবং স্পষ্ট। অ্যাপটিতে মোট ৫ টি আলাদা আলাদা রকমের ট্যাব রয়েছে, যার একটিতে আপনার ডায়াল করা সাম্প্রতিক কলের লিস্ট, পাশের ট্যাবে আছে আপনার কন্টাক্ট বুক, তারপাশে টেক্সট কনভারসেশন ডাটা এবং শেষের ট্যাব দুটির একটিতে নতুন কল দেয়ার জন্য ডায়াল প্যাড এবং আরেকটিতে আপনার প্রোফাইলসহ  আলাপের অন্যান্য ইনফরমেশন জানতে পারবেন।

BTCL কর্তৃক তৈরি বাকি অ্যাপগুলোর ইউজার ইন্টারফেস যেমন আউটডেটেড এবং খুব ল্যাগি টাইপ হয়, আলাপ অ্যাপের ইউজার ইন্টারফেস একেবারেই তেমনটা না। ডিজাইন এবং দায়িত্বশীলতার দিক থেকে এটি যেকোনো VIP কলিং অ্যাপের মতোই বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। যদিও অ্যাপের কিছু কিছু জায়গায় অনেক অসম্পন্ন ইনফরমেশন আছে, তবে আশা বিষয় আপডেটের মাধ্যমে  আগামী কিছুদিনের মধ্যে তা ফিক্সড হয়ে যাবে।

ফিচার সেট

সুযোগ-সুবিধার কথা বলতে হলে, এর সাহায্যে আপনি আরেকজন “আলাপ” ইউজারের সাথে ফ্রি ভয়েস কল, ফ্রি ভিডিও কল এবং ফ্রি টেক্সট বেজড চ্যাট করতে পারবেন। শুধু টেক্সট চ্যাট নয়, আপনি চাইলে টেক্সটে ইমেজও পাঠাতে পারবেন। অর্থাৎ, বেসিক একটি অনলাইন মেসেজিং অ্যাপে আপনি যা যা করতে পারেন, সেগুলোর সুবিধা আপনি এখানেও নিতে পারবেন। তবে আপনার কন্টাক্ট লিস্টের কোন ইউজার যদি আলাপ অ্যাপ ব্যাবহার না করে এবং  তার যদি ইন্টারনেট কানেকশন না থাকে, তাহলে তার ফোন নাম্বারেও আপনি অ্যাপ থেকে  কল করতে পারবেন, যার চার্জ হবে প্রতি মিনিটে মাত্র ৩০ পয়সা। তবে তার সাথে চ্যাট করার জন্য বা ভিডিও কলিং করার জন্য অপরজনকে অবশ্যই  এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে।

'৩০ পয়সা প্রতি মিনিট' এই রেটটি শুধুমাত্র লোকাল অপারেটরের জন্য নয়, আপনি এই একই রেটে বাংলাদেশের যেকোনো ল্যান্ডলাইনেও ফোনকল করতে পারবেন। আপনি আইডি কার্ড যাচাইকরণের পরে সব ধরনের লোকাল নাম্বারে কল করার জন্য আপনাকে অ্যাপ থেকেই একটি নতুন কাস্টোমাইজড নাম্বার পছন্দ করতে দেওয়া হবে। আপনি কাউকে কল করলে সে আপনার এই নাম্বারটি তার মোবাইলে  দেখতে পাবে।

তবে এই বাছাইকরা নাম্বারটি তৈরি করা হবে আপনি যে নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, সেই নাম্বারের শেষের ৬  ডিজিটের পূর্বে 09696 যোগ করে। অর্থাৎ আপনার রেজিস্টার করা নাম্বারটি যদি হয় 01715123456, তাহলে আপনার “আলাপ নাম্বার”টি হবে +8809696123456। যদি কেউ আপনার এই আলাপ নাম্বারে আবার কল ব্যাক করে, তাহলে  অ্যাপ থেকে সেই কলটি রিসিভ করা যাবে। সেক্ষেত্রে রিসিভ করার জন্যে নেট অন থাকতে হবে।

 কিন্ত হ্যাঁ , আপনি আলাপ অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলাদেশের যেকোনো বিজনেস নাম্বার বা হেল্পলাইনের নাম্বারে সম্পূর্ণ বিনাচার্জে কল দিতে পারবেন,যেগুলো ৫ ডিজিটের হয়ে থাকে অথবা +8809 দিয়ে শুরু হয়। এসব নাম্বারে কল করার জন্য আপনাকে কোনরকম চার্জ বহন করতে হবে না।

“আলাপ” অ্যাপের পেমেন্ট সিস্টেম নিয়েও আপনাকে কোনরকম চিন্তায় ভুগতে হবে না। আপনি আপনার ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড কিংবা বিকাশ বা নগদ মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করেই আলাপে রিচার্জ করে নিতে পারবেন। ১০ টাকা থেকে শুরু করে আপনার নিজের ইচ্ছামতো যত খুশি অ্যামাউন্ট সহজেই রিচার্জ করে নিতে পারবেন। সর্বনিম্ন  অ্যামাউন্ট হিসেবে ১০ টাকা রিচার্জ করেই আপনি ৩০ মিনিট যেকোনো নাম্বারে কথা সেরে ফেলতে পারবেন।

আলাপ অ্যাপের Rates নামক অপশনে বাংলাদেশের পাশাপাশি আরো কতগুলো দেশের নাম লিস্টে দেখেছি। যদিও এখনো বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশে কল করা চালু হয়নি, তবে যেহেতু লিস্টে অনেক দেশ আছে, আশা করা যাচ্ছে ভবিষ্যতে আলাপ অ্যাপ ব্যাবহার করে ইন্টারন্যাশনাল কল দেয়া সম্ভব হতে পারে। আর হ্যাঁ, আলাপ অ্যাপের আরেকটা ভালো সুবিধা রয়েছে যেটা অধিকাংশ সিমিলার অ্যাপে নেই,আর সেটা হচ্ছে, আপনি আলাপ অ্যাপ থেকে করা সকল লোকাল কল রেকর্ড করেও রেখে দিতে পারবেন আপনাদের ফোনে।

অ্যাপে একটি Referral অপশন রয়েছে, যেখানে খুব সম্ভবত আপনার বন্ধুদের এই অ্যাপে রেফার করে আনার বিনিময়ে আপনার অ্যাকাউন্টে কিছু ব্যালেন্স   গিফট হিসেবে দেওয়া হয়। তবে এটা আমি এখনো করে দেখিনি।

কল কোয়ালিটি

সত্যি কথা বলতে কলের কোয়ালিটি যদি আপনি এই অ্যাপ থেকে অনেক বেশী ভালো এক্সপেক্ট করেন, তাহলে হতাশ হবেন।অবশ্যই ব্রিলিয়ান্ট এবং অন্যান্য সিমিলার অ্যাপগুলোর থেকে এটার ভয়েস কোয়ালিটি বেটার আছে, তবে খুব একটা ভালো নয়। আপনি সচারাচর একটি ফোন থেকে আরেকটি ফোনে লোকাল কল করলে যেমন ভয়েস কোয়ালিটি পান, তেমনই এখানেও সেইম ভয়েস কোয়ালিটি পাবেন যেকোনো লোকাল নাম্বারে কল করার সময়। তবে যদি দুজন ব্যবহারকারীই  যদি অ্যাপ-টু-অ্যাপ ফ্রি কল করেন, সেক্ষেত্রে ভয়েস কোয়ালিটি লোকাল কলের থেকে অনেকটা বেটার পাবেন।

তবে, এক্ষেত্রে ভয়েস কোয়ালিটি অনেকটাই নির্ভর করবে আপনার ইন্টারনেট স্পিড কেমন সেটার উপর। তাই আপনার ইন্টারনেট স্পিড যদি ভালো থাকে তবে আপনি স্মুথ কোয়ালিটির এবং স্মুথ লেটেন্সির ভয়েস কল এক্সপেক্ট করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, আপনি সবসময়ই ৪জি নেটওয়ার্ক বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে কল করে দেখিছি। থ্রিজি বা টুজি নেটওয়ার্কে ভয়েস কোয়ালিটির ক্ষেত্রে সেরকম ভালো নাও হতে পারে। থ্রিজি নেটওয়ার্কে মোটামুটি রান করলেও খুব সম্ভবত টুজি নেটওয়ার্ক দিয়ে এই অ্যাপ ব্যবহার না করাটাই ভালো। তবে যারা 4G ব্যবহারকারী আছেন, তারা ভয়েস কোয়ালিটি  নিয়ে তেমন কোনো সমস্যায় পড়বেন না।ওভারল,এমনটা আশা করা যাচ্ছে।

ব্রিলিয়ান্ট অ্যাপে প্রায়সময়ই একটা সমস্যা পরিলক্ষিত করা যায়। তা হচ্ছে, Pick Hour অর্থাৎ সন্ধার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অনেকসময় কল ড্রপ করে বা কল কানেক্ট হতে অনেক বেশি সময় লাগে কিংবা ভয়েস কোয়ালিটি অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়, যেহেতু সেই সময় ইউজার লোড অনেক বেশি পাওয়া যায়। আলাপ অ্যাপে আমি এখনো পর্যন্ত এইরকম কোনো কিছু লক্ষ্য করিনি। তবে এমন কোনো ইস্যু ভবিষ্যতেও হবে কিনা সেটা একেবারে নিশ্চিতভাবে বলা যায়না, যেহেতু বর্তমানে আলাপ অ্যাপ এর ইউজার সংখ্যা খুবই কম। ইউজার  বাড়লে ভবিষ্যতে এমন সমস্যা হতেই পারে এটাই স্বাভাবিক।

এই ছিলো BTCL এর নতুন "আলাপ" অ্যাপ। সত্যি কথা বলতে, ইউজার ইন্টারফেস অন্যান্য সিমিলার অ্যাপের থেকে কিছুটা বেটার হলেও কলের ভয়েস কোয়ালিটি সহ কলরেটের মধ্যে তেমন কোনো আহামরি তফাত নেই। আপনি ব্রিলিয়ান্ট, আলাপ এবং লিংকথ্রি ডায়াল তিনটি অ্যাপেই প্রায় একই সেইম ভয়েস কোয়ালিটি এবং কলরেট পাবেন। তবে যেহেতু আলাপ অ্যাপের ইউজার কম, তাই এটি এখনো পর্যন্ত  সবথেকে বেশি ভালো কোয়ালিটি পাবেন সবাই। যদি সবকিছু ভবিষ্যতেও এমনই থাকে অর্থাৎ ইউজার সংখ্যা খুব একটা না বাড়ে  তাহলে আমার মতে ব্রিলিয়ান্ট বা অন্যন্য সিমিলার অ্যাপের থেকে আলাপ অ্যাপ ব্যবহার করাই সবথেকে বেটার অপশন হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow