ফিল্মি বিবেচনায় 'হুব্বা' গড়পড়তা, এভারেজ!

সুপ্রতিম সরকারের 'আবার গোয়েন্দাপীঠ' এর প্রথম লেখাটাই 'শ্যামলদা, ভাল আছেন?'। হুব্বা শ্যামলকে সিনেমাহল থেকে গ্রেফতারের সময় সি.আই.ডির বড়বাবু এভাবেই লোকের মধ্যে হুব্বাকে ডেকেছিলেন।

ফিল্মি বিবেচনায় 'হুব্বা' গড়পড়তা, এভারেজ!
সুপ্রতিম সরকারের 'আবার গোয়েন্দাপীঠ' এর প্রথম লেখাটাই 'শ্যামলদা, ভাল আছেন?'। হুব্বা শ্যামলকে সিনেমাহল থেকে গ্রেফতারের সময় সি.আই.ডির বড়বাবু এভাবেই লোকের মধ্যে হুব্বাকে ডেকেছিলেন। পুরো কাহিনিটা পড়েছিলাম আগেই। ব্রাত্য বসু তা থেকে আমাদের মোশাররফ করিমকে নিয়ে সিনেমা বানাবেন শুনে বেশ উত্তেজিত ছিলাম। তবে ফিল্মি বিবেচনায় 'হুব্বা' যথেষ্ট গড়পড়তা, এভারেজ। আরো সহজ করে বললে, ব্রাত্য বসুর 'রাস্তা' সেই সময়ে যথেষ্ট এডভান্সড কাজ ছিল। তাহলে এই সিনেমার প্রাপ্তি কি? - শুধুই মোশাররফ করিম? উত্তর - না সহশিল্পীরাও।
এখানে বাস্তবিক গ্যাং লিডার, হুগলির দাউদ বলে কুখ্যাত হুব্বা শ্যামলকে নাম দেয়া হলো বিমল। সিনেমার প্রথমাংশ পুলিশের কাছে প্রায় দুই যুগ পর বিমলের ধরা খাওয়া আর পরের অংশে লাইফ এন্ড ডেথ দেখানো হয়েছে। যেই বিমল ধরাকে সরাজ্ঞান করে ৪০র কাছাকাছি খুন, তোলাবাজি, ডাকাতি কেসের আসামি হয়েছিলো, পড়ালেখা তেমন না জেনেও সে পুলিশকে দিব্যি ফাঁকি দিয়ে চলছিল। তবে অফিসার দিবাকরের বুদ্ধিদীপ্ত অপারেশনে হুব্বা ধরা পড়ে আর নিজের এই জায়গায় আসার কাহিনি শোনায়।
মোশাররফ করিমকে মনেই হয় নি সে বাংলাদেশি, কলকাতার আঞ্চলিক বাংলার 'স' থেকে 'ছ' বলা থেকে শুরু করে 'পৈতে করে দিয়েছি' পর্যন্ত বেশ সাবলীল এক্টিং করলেন। এমনকি তার একটা বয়সের ফেসে যে ছেলেটা রোল করলো, সেও দুর্দান্ত। ভাল করেছে লোকনাথ দে, হুব্বার সহযোগী হিসাবে। সেই হিসাবে ইন্দ্রনীল যথেষ্ট ফেইড, তার ক্যারেক্টার আর্কও ভাল হয় নি। মিউজিক আহামরি না তবে ক্যামেরার কাজ ভাল। ব্রাত্য বসুর জন্য স্ক্রিনপ্লেটা একটু ভারিই মনে হলো, সিকুয়েন্স কিংবা ফিনিশিংয়ে যেভাবে মেলালেন সেটা কনভিন্সিং না। রাজনৈতিক টাচ দেন নি বলে ওই জায়গাটা প্রশ্নবোধক থেকেই গেল।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow