গুগল এডসেন্স এড লিমিট সমাধান
গুগল এডসেন্স এড লিমিট সমাধান
গুগল এডসেন্স এর অ্যাডস লিমিট এর কারণ কি? আপনারা যদি আপনাদের ওয়েবসাইট এর জন্যে ট্রাগিক খুঁজে থাকেন তাহলেই মূলত অ্যাডস লিমিট হয়। তারমানে হচ্ছে আপনি আপনার ওয়েব কিংবা ব্লগ সাইট এর জন্যে ফেসবুক বা টুইটার এর থেকে সোশ্যাল শেয়ার এর মাধ্যমে ভিজিটর নিয়ে আসেন তাহলে আপনাদের ওয়েবসাইট এ অ্যাড লিমিট হবার সম্ভাবনা থাকবে। অন্যদিকে ভিজিটররা যদি আপনার ওয়েবসাইটটি খুঁজে ভিজিট করে তাহলে কখনোও অ্যাডস লিমিট হয় না। তারমানে হচ্ছে আপনাদের ওয়েবসাইট এ যদি অরগানিক ভিজিটর আসে তাহলে আর আপনার ওয়েবসাইটে কখনোও গুগল অ্যাড লিমিট হবে না। এখন আপনারা বলতে পারেন ভিজিটর যদি না সার্চ করে আনি তাহলে আবার ইনকাম হবে কীভাবে? এর জন্য আমি বলবো এমন ভাবে আপনার ওয়েনসাইটটিকে তৈরি করেন যাতে করে মাসে অন্তত ১/দেড় হাজার ভিজিটর আসে তাহলেই লাইফ টাইম ইনকাম হবে নিশ্চিন্তে।এডসেন্স অ্যাডস লিমিট কি?
এডসেন্স অ্যাডস লিমিট হচ্ছে এডসেন্স বিজ্ঞাপন এর রেস্ট্রিকশন যা আপনার সাইটে না দেখানো বা কম দেখানোকে বলে মানে বলা যায় সাইটে বিজ্ঞাপন সীমিত আকারে দেখানোকেই বলা হয় এডস লিমিট। গুগল এডসেন্স অ্যাডস লিমিট হলে এডসেন্স থেকে এরকম মেইল আসে যে “Ads limit placed on your site” । অ্যাডস লিমিট হলেই সাইট এর কোনো বিজ্ঞাপন দেখায় না ঠিকভাবে আবার বিজ্ঞাপন দেখালেও খুব কম করে দেখায়। ফলে ইনকাম অনেক কম হয়। এজন্য ব্লগারদের অনেক চিন্তার বিষয় হচ্ছে অ্যাডস লিমিট হওয়া।গুগল এডসেন্স অ্যাডস লিমিট এর কারণ কি?
গুগল এডসেন্স অ্যাডস লিমিট এর কারণ গুলো নিম্নে দেয়া হলোঃ ১। নিজে নিজেই নিজের ওয়েবসাইটে বার বার ভিজিট করা। ২। ইনভ্যালিড ক্লিক করা নিজের বিজ্ঞাপনে নিজে নিজেই ক্লিক করাকে ইনভ্যালিড ক্লিক বলা হয়। ৩।বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে বাধ্য করা ৪। হঠাৎ বিজ্ঞাপনের ক্লিক এর পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ৫। ট্র্যাফিক বট বা ট্রাফিক এক্সচেঞ্জ করে ট্রাফিক নেয়া ৬। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেশি ভিজিটর আসা ৭। অ্যাডস প্লেসমেন্ট সঠিকভাবে না করা।এডসেন্স অ্যাড লিমিট থেকে সেইফ থাকার উপায় সমূহঃ
গুগল অ্যাডস পাব্লিশার হিসাবে বিজ্ঞাপন দাতাদের জন্য গুণগত এবং মানসম্পন্ন ভিজিটর নিয়ে আসা আমাদের মানে ব্লগারদের দায়িত্ব। গুগল আমাদের কে টাকা কেনো দিবে? ওদের জন্য ভালো এবং সঠিক ট্রাফিক বিজ্ঞাপন দাতাদের জন্য গুনগত এবং মানসম্পন্ন ভিজিটর নিয়ে আসা। এখন আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর আসলো কিন্তু আবার সাথে সাথে চলে গেলো মানে বাউন্স হলো অথবা সাইটে আসলো এবং অ্যাডস ক্লিক করলো পেজ লোড হওয়ার আগেই ব্যাক নিয়ে নিলো এমন হলে তো বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার সাইট এ এড দিতে চাইবে না। তাই আপনাদের উচিত এডসেন্স অ্যাড লিমিট থেকে নিরাপদ থাকার উপায় হিসেবে নিজে খুঁজে ট্রাফিক নিয়ে আসা বন্ধ করা।গুগল Adsense অ্যাড সার্ভিং লিমিট হলে কীভাবে সমাধান করবেন?
গুগল এডসেন্স অ্যাড লিমিট হলে খারাপ না আপনার জন্য ভালোই হয়। কেন ভালো বলছি তাইতো ভাবছেন হয়তো? আজ থেকে ২ বছর আগেও যদি ইনভেলিড ক্লিক হতো তাহলে গুগল এডসেন্স ডিজেবল হয়ে যেত কিন্তু এখন তা না হয়ে কিছু সংখ্যক লোক এর কাছে অ্যাড দেখানো অফ করে দেয়। এখন কথা হচ্ছে গুগল Adsense অ্যাড সার্ভিং লিমিট হলে কী করবেন আপনি? আপনি যদি পারেন অর্গানিক ভিজিটর নিয়ে আসবেন এবং আপনার সাইট থেকে কিছু সময় এর জন্য গুগল এডসেন্স এর অ্যাড দেখানো থেকে বিরত রাখবেন।যেভাবে অফ করবেন এডসেন্স এড দেখানো:
প্রথমে গুগল এডসেন্স এর ওয়েবসাইট এ চলে যান। তারপর ড্যাশবোর্ড থেকে Ads এ ক্লিক দিন। এরপর অটো অ্যাড অফ করে দিন আপনি যদি amp ব্যবহার করে থাকেন তাহলে amp ও অফ করে দিবেন। তারপর Ads by Unit এ ক্লিক দিন। আপনার তৈরি প্রতিটি অ্যাড ইউনিটকে আর্কাইভ করে ফেলুন। এরপর ২ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এর মধ্যেই আপনার গুগল Adsense অ্যাড লিমিট চলে যাবে।What's Your Reaction?