হোস্টিং কেনার আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন

ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে, হোস্টিং কেনার আগে, বেস্ট হোস্টিং কোম্পানি %%primary_category%% %%title%% %%sitename%%

হোস্টিং কেনার আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন

ওয়েবসাইট এর জন্য কোন হোস্টিং ভালো হবে

  আশাকরি ওয়েব হোস্টিং কি এবং হোস্টিং এর বিভিন্ন প্রকারের ব্যাপারে আমি আপনাদের বুঝিয়ে সব কিছু বলতে পারলাম। আসলে, ওয়েবসাইটের জন্য কোন হোস্টিং নিবেন বা কেমন হোস্টিং নিবেন সেটা আপনার ওয়েবসাইটের ওপরেই নির্ভর করবে।   আপনি যদি একটি ব্লগ ভিত্তিক ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভাবছেন, তাহলে প্রথমে shared hosting কিনুন। আপনি অনেক কম দামে এ শেয়ার্ড হোস্টিং কিনতে পারবেন এবং প্রথম অবস্থায় আপনার ব্লগে তেমন কোনো ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসবেনা বিধায় শেয়ার্ড হোস্টিং নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।  অতএব , প্রথমে শেয়ার হোস্টিং দিয়েই শুরু করতে পারেন। তারপর যখন দেখবেন যে আপনার ব্লগে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আশা শুরু হবে তখন আপনি cloud hosting নিয়ে নিলে আপনার কাজ হয়ে যাবে। ক্লাউড হোস্টিং সব দিকদিয়েই সক্ষম একটি সার্ভিস। বেশি traffic বা visitor এ সইতে পারে, এর কর্মক্ষমতা অনেক বেশি, নিজের হিসেবে এর ক্ষমতা বাড়ানো বা কমানো যাবে, আপনার ওয়েবসাইট অনেক দ্রুত গতিতে লোড (load) হবে এবং নিরাপত্তার দিক দিয়েও এটি ভরসা করার মতো। তাই, ক্লাউড হোস্টিং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সব থেকে ভালো ওয়েব হোস্টিং হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে সহজেই। এখন যদি আপনি দেখছেন আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইট সীমাহীণ ট্রাফিক আসছে এবং আপনার ব্লগ থেকে অনেক বেশি ইনকাম হচ্ছে, তাহলে আপনি Dedicated server ও নিতে পারেন। সীমাহীণ ট্রাফিক ডেডিকেটেড হোস্টিং অনেক সহজেই সইতে পারে এবং, ট্রাফিক এর সাথে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম ও হতে হবে যদি আপনি dedicated server নিতে চাচ্ছেন। কেননা, যা আমি আগেই বলেছি dedicated hosting অনেক বেশী expensive. তাহলে হোস্টিং কেনার আগে এই কয়েকটা জিনিস অবশ্যই নজরে রাখবেন।  

হোস্টিং কেনার জন্য অবশ্যই যে সকল বিষয়গুলো জানা জরুরীঃ

  একটা ওয়েব হোস্টিং কেনার সময় কোন কোন বিষয় গুলোর দিকে লক্ষ রেখে একটা সঠিক হোস্টিং সার্ভার থেকে আপনার সাইট এর জন্য হোস্টিং কিনবেন। নিচে স্টেপ বাই স্টেপ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ   হোস্টিং কেনার বাজেটঃ   প্রত্যেকেরই একটা আনুমানিক বাজেট থাকে যার মধ্যে সে হোস্টিং কিনতে পারবে। একই সাথে ভা্লো মানের এবং কম টাকার মধ্যে কিনতে হলে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখতে হবে। আপনার বাজেট নির্ধারণ এর ক্ষেত্রে অবশ্যই বাস্তব সম্মত হতেই হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যেমন টাকা পে করবেন তেমন সার্ভিসই পাবেন। আপনি যেমন ডিমের দামে মুরগী পাবেন না তেমনি হোস্টিং এর ক্ষেত্রেও তাই প্রযোজ্য হবে। একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের প্রাইস ১৫০-৫০০ ডলার প্রতি মাসে এখন আপনি যদি ৫০ জিবি স্পেস ২ ডলার মাসে চান তাহলে আপনাকে ডাউনটাইম, সাইট স্লো লোডিং এসব বিষয়গুলোকে সহ্য করেই সামনে আগাতে  হবে। তাই কেনার আগে এ সকল বিষয়গুলোর ব্যাপারে অবশ্যই ভেবে দেখবেন। সস্তার তিন অবস্থা এই কথাটি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।   হোস্টিং ডিস্ক স্পেসঃ   আপনাকে স্পেস এর কথাও অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। আপনার ওয়েব সাইটের জন্য কতটুকু স্পেস লাগতে পারে তা আগে হিসাব করে নিন। আপনি যদি ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট করতে চান যাতে শুধু কয়েকটা পেজ থাকবে তাহলে ৫০ এমবি স্পেসই এর জন্য যথেষ্ট। আর যদি চিন্তা করেন যে ব্যক্তিগত ব্লগ টাইপের ওয়েব সাইট হবে তাহলে ২০০-৫০০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যদি চিন্তা করেন ছবি, গান, ভিডিও রাখবেন তাহলে আপনাকে বড় ওয়েব স্পেসের দিকে নজর দিতে হবে। অনেকেই দেখা যায় ১০০ এমবি হোস্টিং যথেষ্ট সাইট হোস্ট করার জন্য কিন্তু কিনে ফেলেন ১-৫০ জিবি স্পেস। বছর বছর টাকা দিয়েই যাচ্ছেন কিন্তু ব্যবহার করতেছেন মাত্র ১০০ এমবি। তাই অযথা স্পেসের জন্য অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে সবচেয়ে ছোট প্লান থেকেই শুরু করে দিন। আপনার যদি স্পেস বেশি প্রয়োজন পড়ে তাহলে পরবর্তীতে প্লানে সেটিকে আপগ্রেড করে নিবেন এবং প্রায় সব কোম্পানিই আপগ্রেড সুবিধা দিয়ে  থাকে। আনলিমিটেড স্পেসের ফাঁদে পা কখনোই দিবেন না। এটা একটা মার্কেটিং ট্রিকস ছারা আর কিছুই না। কোন কোম্পানিরই আনলিমিটেড স্পেস দেয়া কখনোই সম্ভবপর না। একবার চিন্তা করুন তো আপনি মার্কেটে আনলিমিটেড হার্ডডিস্ক দেখেছেন কি না, দেখেন নি না। সার্ভারও আমাদের পিসির মতোই আনলিমিটেড দিবে কেমন করে।  

হোস্টিং - আপটাইম/SLA গ্যারান্টিঃ

  একটি ওয়েবসাইটের জন্য আপটাইম বিষয়টিকে খুবই জরুরি বলা হয়। হোস্টের সার্ভার যতক্ষন সচল থাকবে, আপনার ওয়েবসাইটটিও ততক্ষনই সক্রিয় থাকবে। এটা কেবলমাত্র পাঠকদের জন্যই গুরুত্বর্পূণ নয়, বরং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও অনেক গুরুত্ব বহন করে থাকে। পাঠকরা একবার আপনার ওয়েবসাইটে এসে দেখলো আপনার ওয়েবসাইট কাজ করছে না, তখন তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং সে ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে। ঠিক তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের বট ইনডেক্সের সময় ওয়েবসাইট ডাউন থাকলে, সে ফিরে যাবে এবং আপনি আপনার ওয়েবসাইট ইনডেক্স হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হবে।এখন প্রতিটি হোস্টিং কোম্পানিই ৯৯.৯% টাইম সক্রিয় থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। কিন্তু এদের প্রকৃত আপটাইমের হিসেব পাওয়া কখনোই সম্ভব না। তাই কেনার আগে গুগলে যে কোম্পানি থেকে কেনার কথা চিন্তা করছেন সে কোম্পানির নামের সাথে আপটাইম শব্দটি লাগিয়ে সার্চ দিয়ে দেখে নিন। যেমন- examplehost uptime লিখে সার্চ দিলে আপনি example.com এর আপটাইম সম্পর্কে জানতে পারবেন খুব সহজেই। আর কোম্পানি যদি কোন মাসে আপটাইম গ্যারান্টি রক্ষা না করতে পারে তাহলে সে জন্য ক্রেডিট প্রদান করবে  কি না তা চেক করে নিতে হবে। কোম্পানির ওয়েব সাইটে টার্মস অব সার্ভিসেস লিংকে এ সম্পর্কিত সব বিস্তারিতভাবে লেখা থাকে।  হোস্টিং কোম্পানি সামগ্রিক অবস্থা -   হোস্টিং কেনার আগে হোস্টিং কোম্পানি ভাল না মন্দ তা জেনে নেয়ার চেষ্টা করে নিবেন। কোম্পানি সম্পর্কে কোম্পানির ইউজারদের দৃষ্টি ভঙ্গিগুলো কেমন তা কোম্পানির রিভিউ দেখলেই বুঝতে পারবেন। যেমন- গুগলে গিয়ে linuxhostlab review লিখে সার্চ দিলে linuxhostlab সম্পর্কে ব্যবহারকারিদের সকল মতামতগুলো জানতে পারবেন। কোম্পানি যেসব বিলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে সেগুলো বৈধ্য উপায়ে করে কি না নাকি চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা নিশ্চিত হয়ে নিন। যারা চোরাই স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সার্ভিস দেয় তাদের থেকে ভাল কিছু কখনোই আশা করা ঠিক হবে না।   হোস্টিং কোম্পানির সাপোর্ট সেবাঃ   বর্তমান দুনিয়ায় সাপোর্ট একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সার্ভার যদি কখনো ডাউন হয় আর যদি তা জানাতে এবং উত্তর পেতে কয়েক দিন লেগে যায় তাহলে আপনি আপনার লক্ষ ভিজিটর হারাতে পারেন। আর যদি আপনি রিসেলার ক্লাইন্ট হোন তাহলে তো মহা বিপদে পড়বেন আপনি। আপনার ক্লাইন্টকে কোন উত্তর দেয়ার মতো কিছুই থাকবে না আপনার কাছে। তাই কোম্পানির সাপোর্ট কত দ্রুত তা নিশ্চিত হওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। হোস্টিং কোম্পানিকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করুন তাদের গ্যারান্টেড সাপোর্ট রেসপন্স টাইম কেমন এবং কি কি মাধ্যমে সাপোর্ট দিয়ে থাকে।   হোস্টিং ফিচার -   হোস্টিং প্লানগুলোর মধ্যে কোন ধরণের লিমিটেশন থাকলে সেটা অনেক সময় ভালভাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে না। তাই প্লানগুলোর তুলনা করে আপনার চাহিদার সাথে বেপারগুলো মিলে কিনা তা ভালো করে দেখে নিন। আপনি যদি এএসপি ডট নেটে সাইট বানাতে চান তাহলে আপনার উন্ডডোজ হোস্টিং এর প্রয়োজন। লিনাক্স হোস্টিং এ আপনার চলবে না। আপনার যে যে ফিচার প্রয়োজন তা তারা দিতে পারবে  কি না দেখে নিন।   হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেলঃ আপনার ওয়েব সাইট ম্যানেজ করার জন্য ভালো মানের কন্ট্রোল প্যানেল প্রয়োজন। কন্ট্রোল প্যানেলের সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েব সাইট সহজেই ম্যানেজ করতে পারেন সহজেই। ওয়েব হোস্টিং এর ক্ষেত্রে সব চেয়ে সহজ এবং অধিক ফিচার সমৃদ্ধ কন্ট্রোল প্যানেল হচ্ছে সিপ্যানেল। তাই সবসময় সিপ্যানেল হোস্টিং নেয়ার কথাই চিন্তা করুন।  

হোস্টিং বিশেষ সুবিধাদি সম্পর্কেঃ

  এই কথাটাকে যদি আরো সুন্দর ভাবে বলতে চাই বলতে হবে “সুন্দরীতমা তোমার রুপের রহস্য কি?” অর্থাৎ কোন বৈশিষ্ঠের কারণে আপনার নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানটি আপনার কাছে সেরা বলে মনে হয়েছে ? একাধিক ডাটাসেন্টার, দৈনিক ব্যাকাপ, ফ্রি ডোমেইন প্রইভেসি, আনলিমিটেড ব্যান্ডওয়াইড সেটা যাই হোক না কেনো, আপনার যদি মনে হয় আপনার প্রয়োজনের সবটুকুই তারা দিতে পারবে তাহলে আপনি তাদের সার্ভিস গ্রহণ করতে পারেন।  

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow