দীপিকা পাডুকোন এর জীবনী 

দীপিকা পাডুকোন এর জীবনী 

দীপিকা পাড়ুকোন 1986 সালে কোপেনহেগেনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ভারতের ব্যাঙ্গালোর শহরের অন্তর্গত। দীপিকা পাড়ুকোন l এর বাবা এবং বোন উভয়ই ক্রীড়াবিদ, যখন তার মাও একজন ট্রাভেল এজেন্ট ছিলেন, গৃহিণী ছিলেন না। দীপিকা পাড়ুকোন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও মডেল। সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহণকারী ভারতীয় তারকাদের একজন হিসেবে, দীপিকা পাড়ুকোন বলিউড চলচ্চিত্রে তার কর্মজীবন প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি দুইটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। দীপিকা পাড়ুকোন হিন্দি, তামিল ও কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। দীপিকা পাড়ুকোন তার নিজ শহরের স্কুল থেকে তার শিক্ষা শেষ করেছেন এবং বেঙ্গালুরুতে মাউন্ট কারমেল এবং সোফিয়া হাই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। দীপিকা পাড়ুকোন তার কলেজ স্তরের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে কলেজ ড্রপ আউট। তার বাবার মতো ব্যাডমিন্টন খেলা উপভোগ করেন এবং জাতীয় পর্যায়ে অনেক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। দীপিকা ব্যাডমিন্টনে তার ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু কিছু কারণে তা হতে পারেনি এবং তিনি এতে তার ক্যারিয়ার গড়তে পারেননি।  দীপিকা বেশ অন্তর্মুখী ছিলেন, যার কারণে শৈশবে তার কেউ বন্ধু হতে পারেনি। 18 বছর বয়সে, দীপিকা মডেলিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিজ্ঞাপনে কাজ শুরু করেন।  বিজ্ঞাপনে কাজ করার পাশাপাশি, দীপিকা পাড়ুকোন ফ্যাশন শোতেও র‌্যাম্পে হাঁটতেন এবং তিনি বর্ষসেরা মডেলের খেতাবও জিতেছেন। দীপিকা পাড়ুকোন মডেলিংয়ের সময় অভিনয়ও শুরু করেন। যখন তিনি 21 বছর বয়সে, তিনি হিমেশ রেশমিয়ার একটি অ্যালবামে একসাথে কাজ করার সুযোগ পান। ক্যারিয়ারের প্রথম বলিউড ছবির প্রস্তাব পান এই অভিনেত্রী। এই ছবির নাম ছিল ‘ওম শান্তি ওম’ এবং এই ছবিতে তিনি অনেক বিখ্যাত তারকার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। দীপিকা এবং রণবীর 2018 সালে ইতালিতে বিয়ে করেছিলেন, তারপরে তারা ভারতেও অনেক সংবর্ধনা দিয়েছিলেন।  দীপিকার লেহেঙ্গা বেশ বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ২০১২ সালের বক্স অফিস হিট ককটেল পাড়ুকোনের কর্মজীবনের সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়, যা তাকে সমালোচকদের কর্তৃক প্রশংসা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন পুরস্কার সমারোহ অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য মনোনয়ন এনে দেয়। তিনি হাস্যরসাত্মক ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি ২০১৩, চেন্নাই এক্সপ্রেস ২০১৩ এবং হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০১৪ চলচ্চিত্রে সাফল্যের সাথে অভিনয় করেন যা সর্বোচ্চ-আয়কারী বলিউড চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান নেয়। তিনি বিয়োগান্ত গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা ২০১৩ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন, এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে, তার হাস্যরসাত্মক-নাট্য চলচ্চিত্র পিকু মুক্তি পায়, একই সালের ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক ছবি বাজীরাও মস্তানীতে তিনি মস্তানি চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছেন। তার কর্মজীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে রনবীর কাপুরের সাথে প্রেমে। বাচনা অ্যায় হাসিনো ২০০৮ ছবিতে কাজ করার সময় থেকে তিনি তার সহশিল্পী রণবীর কাপুরের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। তিনি প্রকাশ্যে তাদের সম্পর্কের কথা বলেন এবং তার ঘাড়ে রণবীরের নামের আদ্যক্ষর চিহ্নিত একটি ট্যাটু আঁকিয়ে নেন। তার ভাষ্যমতে এই সম্পর্ক তার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং তিনি আরও আত্মবিশ্বাসী ও সামাজিক হয়ে ওঠেন। পরের বছর তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় এছাড়াও ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, আই.পি.এল এর দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এর কর্ণধারের পুত্র সিদ্ধার্থ মালয় এর সাথেও তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে। ২০১৭ সালে তিনি রণবীর সিং-এর সাথে তার সম্পর্কের কথা জানান।