এক নাগারে হাঁচি হলে থামাবেন যেভাবে…
ঠান্ডায় হাঁচির সমস্যা কম-বেশি সবারই আছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যাদের ধুলাবালিতে এলার্জি রয়েছে তাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। নির্দিষ্ট কোন অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলেই এক নাগাড়ে হাঁচি দিতে থাকেন তারা।
ঠান্ডায় হাঁচির সমস্যা কম-বেশি সবারই আছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যাদের ধুলাবালিতে এলার্জি রয়েছে তাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। নির্দিষ্ট কোন অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলেই এক নাগাড়ে হাঁচি দিতে থাকেন তারা। যা এক সময় অসুস্থতা কিংবা শরীর আরও বেশি দুর্বল করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁচি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা নাকের প্রদাহ বা জ্বালা দূর করতে সহায়তা করে। যখন বাতাসের সাথে মিশে থাকা পদার্থ যেমন-ময়লা, ধুলাবালি বা ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করে, তখন নাকের সংবেদনশীল আস্তরণে সুরসুরি অনুভূত হয়, যা থেকে হাঁচির সৃষ্টি হয়।
হাঁচি হওয়ার ফলে নাসারন্ধ পরিষ্কার হয়। নাক দিয়ে ক্ষতিকর জীবাণু বা পদার্থ প্রবেশ করলেই শরীরের প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে হাঁচি হয়। ফলে ক্ষতিকর ঐ পদার্থ নাক থেকে বেরিয়ে আসে।
যাদের ক্রমাগত হাঁচির সমস্যা রয়েছে তারা কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেতে পারেন।
মধু: সর্বরোগের মহাঔষধ মধু সর্দি ও ফ্লু থেকে হওয়া হাঁচি প্রতিরোধ করে। অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেও মধু একটি আদর্শ বিকল্প। হাঁচি হওয়ার সময় এক চামচ মধু খেলে তাৎক্ষনিক আরাম পাওয়া সম্ভব।
আলোর দিকে না তাকানো: হঠাৎ উজ্জল আলোর সংস্পর্শে আসলে অনেকেরই হাঁচি হতে পারে। সূর্যের আলোতেই বেশিরভাগ সময় এমনটি হয়। প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোক এই ধরণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই সরাসরি কখনো আলোর দিকে তাকাবেন না। বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাতা ব্যবহার করুন।
ভিটামিন সি: অনর্গল হাঁচির সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বা এর গন্ধ নাকে নেয়ার চেষ্টা করুন। হাঁচির সময় একটি আমলকি খেলেও স্বস্তি মিলবে।
এতেও পরিত্রাণ না পেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
What's Your Reaction?