'অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন' সিনেমা রিভিউ
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের 'রাতুলের দিন রাতুলের রাত' উপন্যাসটি পড়া থাকার কারণে ' 'অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন' চলচ্চিত্রটি নিয়ে এক ধরনের ভয় কাজ করছিল।
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের 'রাতুলের দিন রাতুলের রাত' উপন্যাসটি পড়া থাকার কারণে ' 'অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন' চলচ্চিত্রটি নিয়ে এক ধরনের ভয় কাজ করছিল। কেননা উপন্যাসের সেই অনুভূতিটা পাছে নষ্ট হয়ে যায়...। তবে চলচ্চিত্রটি স্ক্রিনে বেশ উপভোগ্য লেগেছে। না, আবু রায়হান জুয়েল পরিচালিত এই ছবিটি কোন মাস্টারপিস হয় নি, বরং বেশ কয়েক জায়গায় অনেক খামতিও মনে হয়েছে। তবে বাংলাদেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্রের বেশ অভাব রয়েছে এবং শিশুতোষ চলচ্চিত্রের জন্য যে পরিবেশ কিংবা উপাদান দরকার তা আমাদের দেশে অনুপস্থিত সেদিক থেকে শিশুদের জন্য নির্মাতার এই সাহসী উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানাই।
গল্পটা যেহেতু উপন্যাস অবলম্বনে তাই এই নিয়ে খুব বেশি কথা না বলাই শ্রেয়৷ গল্পের মূল প্রোটাগোনিস্ট রাতুল চরিত্রে বেশ কনভিন্সিং মনে হয়েছে আমার সিয়াম আহমেদকে। সেই চরিত্রে প্রথম থেকেই কমিক ফিল যেমন ছিল, তেমনি প্রয়োজনে সাহসীও হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে শান্তকে উদ্ধারে রাতুলের তৎপরতা ও পানিতে ঝাপ দৃষ্টিনন্দন লেগেছে৷ তৃষা চরিত্রে একদমই ন্যাচারাল ছিলেন পরীমনি৷ 'স্বপ্নজাল' ও 'স্ফুলিঙ্গ'র পর হয়তো এটাই তার অন্যতম সেরা অভিনয়। তবে অনবদ্য অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার৷ নসু ডাকাত চরিত্রে আমার মনে হয় না তার থেকে ভালো কেউ অভিনয় করতে পারতো৷ তার দেয়া সংলাপ ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দারুণ রোমাঞ্চিত করেছে আমাকেসহ সিনেমাহলের দর্শকদের। কথা সাহিত্যিক মাজিদ চরিত্রটি গল্পে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও মজাদার। আযাদ আবুল কালামের রূপায়নে ভালোই লাগছিল পর্দায়৷ তার উপস্থিতিতে সিনেমাহলের দর্শকদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছে, তার উপস্থিতি মানেই যেন হাসির কিংবা রোমাঞ্চকর কিছুই।
সিনেমা শেষে যখন একটা 'গুড ফিল' নিয়ে বের হবো, ঠিক তখনই পেলাম আরেকটি চমক। লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার আমার সামনে। বাংলাদেশের অন্যতম এই জনপ্রিয় লেখকের সাথে একটা ছবি তোলার ইচ্ছে আমারও ছিল, কিন্তু ততক্ষণে হাজারো ক্যামেরা স্যারকে ঘিরে ধরেছে। তবে শুনেছি স্যার প্রায়ই এভাবে কোন না কোন হলে গিয়ে চমকে দিবেন। আমার না হলেও হয়তো আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হতেও পারে...
What's Your Reaction?