'শাহরুখের না, রাজু হিরানিরই সিনেমা ডাংকি'

পরতে পরতে মনে পড়লো মুন্না ভাই, থ্রি ইডিয়টস, পিকে আর সাঞ্জুর কথা। ফ্রেন্ডশিপ, দেশপ্রেম, হিউমারাস কমেডি, ট্র‍্যাজেডি, ওল্ডক্লাস ড্রামা সবই আছে।

'শাহরুখের না, রাজু হিরানিরই সিনেমা ডাংকি'

পরতে পরতে মনে পড়লো মুন্না ভাই, থ্রি ইডিয়টস, পিকে আর সাঞ্জুর কথা। ফ্রেন্ডশিপ, দেশপ্রেম, হিউমারাস কমেডি, ট্র‍্যাজেডি, ওল্ডক্লাস ড্রামা সবই আছে। আরো ভালো করলে বললে, এক সিনেমায় শাহরুখের সিগনেচার প্রায় সব সিনেমাই আছে অল্প অল্প করে। সিনেমা শেষ করে মনে হলো, 'পাঠান' বা 'জাওয়ান' না, শাহরুখের কামব্যাক পরিপূর্ণতা পেল 'ডাঙ্কি'তে। 'ডাঙ্কি' শাহরুখ বা রাজু হিরানি কারো বেস্ট ফিল্ম না, সিনেমায় নেগেটিভ অন্তত তিনটা বড় ব্যাপার আছে। তারপরও এটা শাহরুখের ক্যারিয়ারে ভাল টাচ হয়ে থাকবে।

গল্পের প্রিমাইস ট্রেলারে যা আছে, তাই। শাহরুখ পাঞ্জাবের লাল্টু গ্রামের চার বন্ধুকে নিয়ে লন্ডনে যেতে চায়। ইংরেজি জ্ঞান আর প্রপার ডকুমেন্টস না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভিসা হয় না, জীবনে নেমে আসে ট্র‍্যাজিক টার্ন। বাধ্য হয়েই শাহরুখ বাকিদের নিয়ে ডাঙ্কি পথে রওনা দেয়া অবৈধভাবে। 

সিনেমার শুরুতে হাসপাতালে ফাঁকি দিয়ে তাপসীর পালিয়ে যাওয়া আপনাকে যেমন মনে করিয়ে দেবে 'থ্রি ইডিয়টস'এ মাধবনের এয়ারপোর্টে পালানোকে, ঠিক তেমনি সিনেমার শেষ এন্ডিং অনেকটাই মনে করাবে মুন্না ভাই আর বীরজারাকে। ফাস্ট হাফের কমেডি আর সেকেন্ড হাফের ইমোশনাল ব্রেক ডাউন বারবার ছাপ ফেলে গেলো সোশ্যাল মেসেজ আর দেশ থেকে দূরে থাকা মানুষদের আবেগে। 'ডাঙ্কি' ভারতীয় না, অনেকটাই ইউনিভার্সাল সিনেমা। 

শাহরুখের কান্না বা হাসি যতটা ভাল লেগেছে, ততটাই চোখে লেগেছে তার বয়োবৃদ্ধির ছাপ। তাপসী পান্নু খুব ভাল না হলেও ইমপ্যাক্টফুল। এর বাইরে অনিল গ্রোভার, বিক্রম কুচার, বোমান ইরানি দারুন। কিন্তু ভিকি কৌশল অল্প সময়ে অসাধারণ।

নেগেটিভ দিক সিনেমার লেন্থ, 'ডাঙ্কি' ফ্লাইটকে কম দেখানো এবং প্রেডিক্টেড এন্ডিং। অতিরিক্ত গান ছিল একটা, কিছু দৃশ্য আরো টাইট করা যেত, ভাল হতো এন্ডিংয়ে কোন টুইস্ট থাকলে। তারপরও আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি, হলে থাকা দর্শকও প্রাণ খুলে হেসেছে, অনেকে চোখের পানি ফেলেছে। রাজু হিরানি নিজের রিপিটেড ফরম্যাটে আবারো সফল, বলাই যায়। এই সিনেমার রিপিট ভ্যালুও খারাপ হবে না।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow