রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ এর ব্যবহারবিধি
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ এর ব্যবহারবিধি
এখনকার সময়ে প্রায় প্রতিটা মানুষের বাড়িতেই খাবার ও পানীয় দীর্ঘদিন ভালো রাখার ও সঞ্চয়ের জন্যে একটা রেফ্রিজারেটর কিংবা ফ্রিজ আছে বললেই চলে। আমরা অনেকেই আমাদের বাসায় ফ্রিজ ব্যবহার করে থাকি। একসাথে অনেক শাক-সবজি ইত্যাদি একেবারে কিনে অনেক দিনের জন্যে ঘরে রাখার জন্য হলেও একটি ফ্রিজ ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়া, গরমের দিনে ঠান্ডা জল খেতে ও বরফের টুকরো জলে বা শরবতের দিয়ে ঠান্ডা শরবত খাওয়ার ক্ষেত্রেও একটি রেফ্রিজারেটর এর ব্যবহার অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন, যারা নাকি “ফ্রিজ” বা “রেফ্রিজারেটর” এর বিষয়ে তেমন ভালো করে এখনো অনেকেই জানেন না। আজকে আমরা এই ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। এছাড়া, এই ফ্রিজ কি ধরণের কাজে ব্যবহার করা হয় ও এর প্রকারগুলো সম্পর্কেও অবশই আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। তাহলে, প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক যে রেফ্রিজারেটর কাহাকে বলে ? রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কি ? এই ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হল প্রতিট মানুষের ঘরের সাধারণ-ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি বা অ্যাপ্লায়েন্সের মধ্যে অন্যতম একটি যন্ত্র। সহজভাবে যদি বলতে চাই একটি ফ্রিজ হলো এমন একটা মেশিন যা আমাদের খাবার ও পানীয় গুলো স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি সময় ধরে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ, রেফ্রিজারেটর হচ্ছে এমন একটা যন্ত্র যা কৃত্রিমভাবে শীতল থাকে ও যেটিকে আমরা মূলত খাদ্য ও পানীয় সংরক্ষণ কাজে ব্যবহার করে থাকি। সাধারণত, একটি ফ্রিজে বা রেফ্রিজারেটর থাকে এক বা একাধিক কম্পার্টমেন্ট, একটা ডিপ-ফ্রিজ বা বরফ তৈরী করার জায়গা আর ফ্রিজের দরজার গায়ের ভেতরের ভাগে থাকে পানীয় রাখার এক বা একাধিক সেল্ফ। প্রায় সব ফ্রিজই দিকে দেখতে একটা ছোট-খাটো আলমারির মতো মনে হয় আর প্রতিটা ফ্রিজেরই একটা বা দুটো দরজা থাকে। সেই দরজা খুলেই আমরা ফ্রিজটাকে খুলি আর কাজ মিটে গেলে আবার আমরা সেই দরজাটি বন্ধ করে দেই। রেফ্রিজারেটরের ইতিহাস: খাবার বা পানীয় দীর্ঘদিন সংরক্ষণের করার জন্য অনেক আগে থেকেই মানুষ কৃত্রিমভাবে খাদ্য সংরক্ষণের চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছিল। আর, এই কুলিং বা শীতল রাখার পদ্ধতি টি সুপ্রাচীন গ্রীক ও রোমানদের সময় থেকেই চালু ছিল। তারা পাহাড় থেকে বরফ সংগ্রহ করে সেই বরফের নিচে তাদের খাবার-দাবার ঠান্ডা রাখতো। মূলত, খাদ্য সংরক্ষণ করার প্রধান সূত্রটি হচ্ছে হিমায়ন বা শীতল-রাখার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্যের স্থায়িত্বকাল বাড়িয়ে দেয়া। এই হিমায়ন প্রক্রিয়া যেকোনো ধরণের ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট এবং ছত্রাকের মতো অণুজীবদের বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। আর, এইসব অণুজীবদের বৃদ্ধির কারণেই মূলত খাদ্য বা পানীয় নষ্ট হয়ে যায় এবগ পচন ধরে। তাই, একটা রেফ্রিজারেটর তাপমাত্রা কম রাখার মাধ্যমে এই ধরণের অণুজীবদের বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে থাকে। এই রেফ্রিজারেশন বা হিমায়ন প্রক্রিয়ার ফলে বেশ কিছু পণ্য কয়েক মাস, এমনকি অনেক অনেক বছর ধরেও সংরক্ষণ করে রাখা যায়। আর, আমরা সবাই এটা জানি, যে পাঞ্জ শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বরফে পরিণত হয়, যা হল এই হিমায়ন প্রক্রিয়ার প্রধান কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।What's Your Reaction?