যে গ্রামে স্ত্রীকে ভাড়া দিয়ে উপার্জন করেন স্বামীরা

যে গ্রামে স্ত্রীকে ভাড়া দিয়ে উপার্জন করেন স্বামীরা

অর্থের প্রয়োজনে অনেকে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনাও ঘটে যা মূলত টাকার জন্যই করা হয়। আর আমরা এটাও জানি যে ব্যতীক্রম কখনোই কোনো উদাহরণ হতে পারে না। তাই বলে যে গ্রাম সবাই একই ঘটনা ঘটায় সেটাতো আর ব্যতীক্রম হতেই পারে না। যে গ্রাম এর কথা বলছি সে গ্রামে স্বামীর ইচ্ছাতে স্ত্রীকে ভাড়া দিয়েই যৌন কর্ম করা যায়। আর এই ঘটনও চলছে বছর এর পর বছর ধরে।

এক সর্বভারতীয় নামক এক নিউজপেপার এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশ এর শিবপুরে গ্রামে এই নিষ্ঠুর রীতি চলছে। এখানে স্বামীদের অনুমতিতেই দেহ ব্যবসায় নামতে হযবে স্ত্রীদের। সাধারণত ধনী পরিবার এর ব্যক্তিরা এসে শিবপুর গ্রাম এর মহিলাদেরকে ভাড়া করে যান। ভাড়ার সময় ধরা হয় এক মাস থেকে প্রায় এক বছর পর্যন্ত। জানা যায়, ভাড়ার জন্য মহিলাদের মুল্য বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার এই চুক্তি সই হয়।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী বলা হয়, সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও কোনও ব্যক্তি মহিলাদের স্বামীর সঙ্গে আবারো চুক্তি করতে পারে। চুক্তি শেষ হয়ে গেলে মহিলাদেরকে তাদের স্বামীর কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তবে মধ্যপ্রদেশ প্রথম নয়, এর আগে গুজরাত থেকেও এমন চিত্র সবার সামনে আসে। ২০০৬ সালে গুজরাত এর এক মহিলাকে তাঁর স্বামী মাসিক ৮ হাজার টাকার বদলে এক ধনী ব্যক্তির কাছে ভাড়া দিয়ে দেয়। সেই ঘটনাকে ঘিরে প্রবল হইচই হয়েছে দেশজুড়ে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow