'দ্য রেলওয়ে মেন: অবিশ্বাস্য', 'দুর্দান্ত', 'হৃদয়বিদারক'!
YRF Entertainment এর ওয়েবসাইটে অনেক আগে থেকেই 'The Railway Men' এর ইন্ট্রো, পোস্টার আর ন্যারেটিভ দেখে আসছিলাম। এটি কবে আসবে, সেটা নিয়েও কৌতুহলে ছিলাম।
 
                                                                                                    YRF Entertainment এর ওয়েবসাইটে অনেক আগে থেকেই 'The Railway Men' এর ইন্ট্রো, পোস্টার আর ন্যারেটিভ দেখে আসছিলাম। এটি কবে আসবে, সেটা নিয়েও কৌতুহলে ছিলাম, পরে ভুলেও গিয়েছি। আদিত্য চোপড়া খুব ভাল করেই জানে, সিনেমা কিভাবে মানুষকে কানেক্ট করতে পারে। প্রথম সিরিজ প্রযোজনায় সেই মুন্সিয়ানা অব্যাহত থাকলো।
শিব রাওয়াল কী দারুন একটা কাজ করেছে! ছোটবেলায় তার বাবা রাহুল রাওয়ালের 'আঞ্জাম' দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম, নব্বইয়ের দশকের ভাল ডিরেক্টর ছিল। শিব ইয়াশ রাজে কমার্শিয়াল সিনেমায় এসিস্ট্যান্ট থাকলেও ডিরেকশন শুরু করলো মিনিসিরিজ বানিয়ে, যেটা দীর্ঘদিন মানুষের মনে থাকবে।
৮৪'তে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ইউনিয়ন কার্বাইড ফ্যাক্টরিতে গ্যাস লিকেজে সারা শহরে ছড়িয়ে পড়া হাইড্রোজেন সায়ানাইডের কবলে মারা যায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ, চেরনোবিলের মত এর ইফেক্ট থেকে যায় অনেক বছর। অনেক সিনেমা সিরিজে এর রেফারেন্স দেখলেও এই ঘটনা নিয়ে এই প্রথম কোন ফিকশনাল কাজ হলো রিয়েলিটির খুব কাছে থেকে। বিশেষভাবে ৩ ডিসেম্বর রাতে ভোপাল রেলওয়েসহ অন্যান্য আগমনী ট্রেনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কিভাবে আত্মনিয়োগ করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন, সেটাই রেক্টিফাই করা হয়েছে বেশি। তবে ড্রামাটিক আস্পেক্টে যোগ হয়েছে সাংবাদিক, চিকিৎসক, পুলিশ ও সাধারণ মানুষের চরিত্রও।
২ বছরের স্ক্রিপ্টিং আর মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ দিন ব্যয় করে বানানো স্টেশন, রেলের সেট এবং দারুন আর্ট ডিজাইনের ফসল 'দ্য রেলওয়ে ম্যান'! খেয়াল করলে দেখবেন, তৎকালীন ছবিগুলোর সাথে কতটা সামঞ্জস্য রাখা হয়েছে সিরিজে। জোর করে টেনে বড় করা হয় নি এবং সিরিজ ডিজাইনও খুব ভাল। একইসাথে লিক হওয়া গ্যাসের ভয়াবহতা ও রেলওয়ের ডেডিকেশন দেখানো হয়েছে সাইড বাই সাইড, এডিশনাল দাঙ্গা আর রাজনৈতিক আমলাতন্ত্রের ঝামেলাও উঠে এসেছে দারুনভাবে।
কে কে মেনন, বাবিল, দিব্যেন্দু কী পারফরম্যান্স দেখালেন। মনেই হতে দেয় নি, তারা অভিনয় করছেন। তার চেয়েও বড় কথা সাপোর্টিং এক্টর, স্টেশনের শত শত যাত্রী সবাই কত প্রফেশনাল ছিল। সেট ডিজাইন ও আর্টে এটি খুব ভাল উদাহরণ হয়ে থাকবে। মাধবন আর জুহির রোলটা ফিকশনাল হলেও ওয়ার্ক করেছে, সাংবাদিক হিসাবে সানি দারুন ছিল। বাবিলকে দেখে মনে হয়েছে খুব বেশিদিন তাকে ইরফানপুত্র হিসাবে চেনা লাগবে না। শেষপর্বের শেষ দিকে এসেই সিরিজে ইমোশনাল ড্রপ আউট হয়, যেটা একটু বোরিং লেগেছে।
RATING - 9/10
What's Your Reaction?
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                     
	                                             
	                                             
	                                             
	                             
	                             
	                             
	                             
	                             
	 
	 
	 
	 
	