টয়লেটে সিসি ক্যামেরা -ভাইরাল ফুটেজ
কর্মীদের ওপর নজর রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অফিসে, দোকানে ক্যামেরা লাগানোর ব্যপারটি সবাই আমরা জানি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যাশ কাউন্টারের মধ্যে ক্যামেরা লাগানো থাকে। যাতে কোনও রকম নয়-ছয়ের সম্ভাবনা না থাকে। কিন্তু তাই বলে কর্মীদের উপর নজরদারি করতে গিয়ে টয়লেট এর মধ্যে ক্যামেরা? এমন কখনও শুনেছেন? এমনই ঘটনা ঘটেছে। এটি সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে।
কোম্পান এর বস এর সন্দেহ ছিল যে স্টাফ এরা টয়লেটে গিয়ে স্মোক করেন এবং অনেক বেশি সময় মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন। টয়লেট এর কিছু ফটো অনলাইনে লিক হয়ে যাওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন আলোচনা শুরু হয়েছে তুমুল ভাবে।
যদিও এই ফটো প্রকাশ্যে আসার পরেও কোম্পানি এই অভিযোগ ভুল বলে দাবি করেছেন। এই কোম্পানি বাথরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাননি বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি দক্ষিণ চীন এর একটি শহর এর। এখানে একটি টেকনোলজি কোম্পানিতে টয়লেট এর ভিতর ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। রেড স্টার নিউজ এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিরতির সময় টয়লেটে থাকা এক কর্মীর ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে আছে। তিনটি ফটো পাওয়া গিয়েছে। যাতে তিনজন আলাদা আলাদা ব্যক্তি টয়লেটে স্মোকিং এবং ফোন ইউজ করছেন বলে দেখা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে কোম্পানি এই তিনটি ছবি ব্যবহার করেছিল অন্য কর্মীদের সতর্ক করার জন্য। যে ছবি সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হবার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে কোম্পানিকে নানা কথা শুনতে হচ্ছে। এটি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এক ইউজার লিখেছেন যে, কোম্পানির এই পদক্ষেপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আরেকজন লিখেছেন যে মানুষকে জানোয়ারের মতো বিবেচনা করছে এই কোম্পানি। আরেকজন লিখেছেন, কোম্পানি এর এই পদক্ষেপ দুঃস্বপ্ন এর মত।
যাদের ছবি ভাইরাল হয়েছে তাদের চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আর অন্যদের বোনাস কেটে নেওয়া হয়েছে এবং ঐ সমস্ত লোকেদের কোম্পানি এর তরফ থেকে শেষ সতর্ক করা হয়েছে এই সিদ্ধান্ত এর উপর কোম্পানি জানিয়েছে যে, কর্মচারীরা লক্ষণ রেখা পার করে নিয়েছে। এ কারণে তিনি তারা কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন। রেড স্টার নিউজের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্টাফ মেম্বার জানিয়েছেন যে নিশ্চিতভাবেই ক্যামেরাতে কিছু প্রাইভেট মোমেন্টস অবশ্যই কয়েদ হয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে গেলে এই পলিসিতে লাভ এবং লোকসান দুটোই রয়েছে।
What's Your Reaction?