কাতারে শিল্প এলাকায় বিদেশি কর্মীদের বিনা মূল্যে খেলা দেখার সুযোগ!

কাতারে শিল্প এলাকায় বিদেশি কর্মীদের বিনা মূল্যে খেলা দেখার সুযোগ!

কাতারে আর ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিপুলসংখ্যক বিদেশি ব্যাচেলর কর্মীকে রাজধানী দোহার বাইরে অন্যান্য শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে। আবার অনেক কর্মী বিভিন্ন শিল্প এলাকায় বসবাস করছেন।এই বিপুলসংখ্যক বিদেশি কর্মীর বিনা মূল্যে খেলা দেখার ব্যবস্থা করছে কাতার কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় এ নিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। রাজধানী দোহায় অবস্থিত আলবিদা পার্কের ফ্যান জোনে ঢুকতে ‘হায়া কার্ড’ দেখানো বাধ্যতামূলক হলেও তিনটি শিল্প এলাকার পার্কের ফ্যান জোনে এই আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত।

কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য, বিদেশি কর্মীরা যাতে নিজেদের আবাসস্থলের আশপাশে বিশ্বকাপের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পান, সে জন্য এই আয়োজন। পাশাপাশি রাজধানী দোহায় মানুষের চাপ কমানো এবং বিদেশি দর্শকদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের সুযোগ করে দিতে এই আয়োজন রাখা হচ্ছে।১৮ নভেম্বর শুরু হয়ে পার্কের ফ্যান জোনে এসব আয়োজন চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পার্কে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকবে আনন্দ ও বিনোদনমূলক নানা আয়োজন।

কাতারের তিনটি জায়গায় বিদেশি শ্রমিকদের জন্য বিনা মূল্যে খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ তিনটি এলাকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সানাইয়া শিল্পাঞ্চলের এশিয়ান টাউনে অবস্থিত ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকা।

শুধু বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখা নয়, এই ফ্যান জোনে থাকছে এশীয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক দলের নানা পরিবেশনা। আছে বিনা মূল্যে ওয়াইফাই।

এ ছাড়া দোহা থেকে বেশ দূরে সীমান্তবর্তী শহর আলখোরে স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আরেকটি ফ্যান জোন স্থাপন করা হয়েছে। এখানেও বিনা মূল্যে বিশ্বকাপের সব ম্যাচ দেখার পাশাপাশি ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধাসহ নানারকম সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন ওই এলাকায় বসবাসরত বিদেশি শ্রমিকেরা।তৃতীয় ফ্যান জোন স্থাপন করা হয়েছে নিউ সানাইয়া নামে পরিচিত নিউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায়। এখানে বাড়তি আয়োজন হিসেবে থাকছে খেলাধুলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ। এর বাইরে শ্রমিকদের জন্য বিনা মূল্যে রক্তচাপ ও ডায়াবেটিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বর্তমান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের এমন উদ্যোগের ফলে ওই সব শিল্প এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিকেরা বিশ্বকাপের খেলাগুলো উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। ফলে তাদের দোহায় আসতে হবে না; বরং নিজেদের আশপাশেই তারা বিশ্বকাপের আমেজে থাকতে পারবেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow