ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লু ভেরিফায়েড করুন খুব সহজেই

সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে কে না পছন্দ করে। ফেসবুক কিংবা ইন্সটাগ্রামে প্রতিদিনের আপডেট দিতে ভালোবাসেন নেটিজেনরা। আর সেই একাউন্টটি যদি হয় ব্লু ভ্যারিফায়েড? তবে নিজেকে নেটদুনিয়ায় উপস্থাপনটাই হয়ে ওঠে অনন্য আর ব্যতিক্রম। আপনি যদি শিল্পী, সোশ্যাল ইনফ্লুইয়েন্সার কিংবা কোনও সংস্থা বা ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী হোন তবে বেশ কিছু ধাপ অবলম্বন করে আপনার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি আজই ব্লু ভেরিফায়েড করে নিতে পারেন।

ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লু ভেরিফায়েড করুন খুব সহজেই

ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লু ভেরিফায়েড করুন খুব সহজেই

সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে কে না পছন্দ করে। ফেসবুক কিংবা ইন্সটাগ্রামে প্রতিদিনের আপডেট দিতে ভালোবাসেন নেটিজেনরা। আর সেই একাউন্টটি যদি হয় ব্লু ভ্যারিফায়েড? তবে নিজেকে নেটদুনিয়ায় উপস্থাপনটাই হয়ে ওঠে অনন্য আর ব্যতিক্রম। আপনি যদি শিল্পী, সোশ্যাল ইনফ্লুইয়েন্সার কিংবা কোনও সংস্থা বা ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী হোন তবে বেশ কিছু ধাপ অবলম্বন করে আপনার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি আজই ব্লু ভেরিফায়েড করে নিতে পারেন। কেননা ব্লু চেকমার্ক করা অ্যাকাউন্টকে নেটিজেনরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এমন ব্লু চেকমার্ক এখন টুইটার, ফেসবুকে দেখা যায়। চিহ্নটি নিশ্চিত করে, এ অ্যাকাউন্ট সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বস্ত। এটি পাওয়ার জন্য যেকোনও ব্যক্তি ইন্সটাগ্রাম অনুরোধ করতে পারেন। তবে বেশ কিছু নিয়ম মেনে তবেই পাওয়া যাবে এ ব্যাজ। প্রথমেই ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে যেতে হবে। তারপর উপরের ডানদিকে কোণায় hamburger icon-এ ট্যাপ করতে হবে। এরপর Settings-এ গিয়ে ট্যাপ করতে হবে Account-এ। এরপর Request Verification-এ ট্যাপ করতে হবে। এখানেই আসবে একটি আবেদন ফর্ম, সেটি যথাযথভাবে পূরণ করে ফেলতে হবে। নিজের আইনি নাম এবং ‘known as’ বা কাজের নাম (যদি প্রযোজ্য হয়) জানিয়ে দিতে হবে। এরপর নিজের বিভাগ বা শিল্প নির্বাচন করতে হবে। (যেমন: ব্লগার/ইনফ্লুয়েন্সার, খেলাধুলা, সংবাদ/মিডিয়া, ব্যবসা/ব্র্যান্ড/সংস্থা, ইত্যাদি)। সরকারি পরিচয়পত্রের ছবিও জমা দিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট হতে পারে। ব্যবসার জন্য, একটি ইউটিলিটি বিল, একটি অফিসিয়াল ব্যবসায়িক নথি বা ট্যাক্স ফাইলিং নথি দেওয়া যেতে পারে। এরপর সেটি জমা দিয়ে দিতে হবে। এরপর ইন্সটার একটি প্রতিনিধি দল এ আবেদন পর্যালোচনা করে দেখবে। ইন্সটাগ্রাম খুব স্পষ্টই বলেছে যে, তারা এজন্য কোনও ই-মেইল পাঠাবে না, টাকা চাইবে না বা অন্য ভাবে যোগাযোগ করবে না। কয়েক দিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার সরাসরি হ্যাঁ বা না উত্তর পেয়ে যাবেন। ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম দুটোর মালিক ফেসবুক কর্তৃপক্ষ হলেও এদের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। সে গুলোই নিচে তুলে ধরা হল। ফেসবুকে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজন এবং কমিউনিটির লোকদের মধ্যে যোগাযোগটা বেশি হয়। কিন্তু ইন্সটাগ্রামে ব্যবসায় সংক্রান্ত এবং বিষয় ভিত্তিক যোগাযোগ এবং কন্টেন্ট শেয়ারিং বেশি হয়। ইন্সটাগ্রামে শুধুমাত্র ভিজুয়াল কন্টেন্ট টিউন করা যায়। টেক্সট বেসড কোন কন্টেন্ট টিউন করা যায় না। কিন্তু ফেসবুকে সব ধরনের কন্টেন্ট টিউন করা যায়। ইন্সটাগ্রামে কন্টেন্ট এর এঙ্গেজমেন্ট এবং শেয়ারিং বেশি হয়। ফেসবুকে সেই তুলনায় এঙ্গেজমেন্ট কম হয়। একটা স্টাডি থেকে জানা গেছে ইন্সটাগ্রামে ব্যবসায় সংক্রান্ত এঙ্গেজমেন্ট ফেসবুকের চাইতে ১০ গুণ বেশি হয়। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ইন্সটাগ্রমের চাইতে অনেক বেশি তাই এর ডাটাবেজও বেশ বড়। তবে দিন দিন ইন্সটাগ্রম ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। সব বয়সী মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করলেও তরুণদের মধ্যে ইন্সটাগ্রাম বেশি জনপ্রিয় ইন্সটগ্রামের ফিডে শেয়ার করা ভিডিও কন্টেন্ট স্বল্প দৈর্ঘ্যের হয়। এর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু ফেসবুকের ভিডিও কন্টেন্ট এর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টা পর্যন্ত হয়। যার ফলে ইন্সটাগ্রমে ভিডিও দেখার হার বেশি। কেননা মানুষ বড় কন্টেন্ট দেখতে পছন্দ করে না। ইন্সটাগ্রামের অভ্যন্তরীণ ইন্টারফেস বেশ পরিছন্ন যার ফলে খুব সহজেই নেভিগেট করা যায়। কিন্তু ফেসবুকে অনেক বেশি ফিচার যুক্ত থাকায় সহজেই সেগুলো ব্যবহার করা যায় না। নেভিগেট করাও একটু কঠিন। তাছাড়া ফেসবুকের অডিয়ান্স সাইজ অনেক বড় যার ফলে ব্যবসায়ের তথ্য সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তির নিকট পৌঁছানো একটু কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু ইন্সটাগ্রামে সহজেই সঠিক অডিয়ান্স এর কাছে বার্তা পৌঁছানো যায়। ফেসবুকে বন্ধু এড করা যায় কিন্তু ইন্সটাগ্রেমে এই ধরনের ব্যবস্থা নেই। শুধু ফলোয়ার বৃদ্ধি করে তাঁদের মধ্যে কন্টেন্ট শেয়ার করা যায়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow