ইমেইল মার্কেটিং ব্যাসিক টু এডভান্স [পার্ট ১]
ইমেইল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ব্যাসিক টু এডভান্স, ফ্রিতে শিখুন ইমেইল মার্কেটিং পার্ট ১
ইমেইল মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে মার্কেটিং করার বিভিন্ন অপশন রয়েছে। মার্কেটিং প্রধাণত দুই ধরণের, যথাঃ ১.রিয়েল লাইফ মার্কেটিং ও ২.ভার্চুয়াল বা অনলাইন মার্কেটিং। অনলাইন মার্কেটিং ব্যবস্থার আরেকটি নতুন সংস্করণই হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। অনলাইন মার্কেটিং করার সবথেকে শক্তিশালী অপশনটিই হল ইমেইল মার্কেটিং। বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও আরো অনেক আগে থেকেই ইমেইল মার্কেটিং একটি সফল এবং বিপুল জনপ্রিয় মার্কেটিং টেকনিক হিসেবে বিবেচিত। বিজ্ঞাপন জগতের সবথেকে সহজ, সস্তা এবং কম সময়ে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন আপনার কাস্টমারদের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্যে সবচাইতে কার্যকারী সিস্টেম হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। আজকের আর্টিকেল এ আমরা ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করবো, যার প্রথম পার্টে ইমেইল মার্কেটিং কি/এবং এর ভুমিকা নিয়ে আলোচনা থাকবে। সাথে থাকবে ইমেইল মার্কেটিং এর ব্যাসিক আলোচনা। এবং দ্বিতীয় পার্টে ইমেইল মার্কেটিং এর কিছু কিলার টিপ্স থাকবে। একটি চিরাচরিত কথা আপনারা সকলেই জানেন যে, প্রচারেই প্রসার। আপনার প্রোডাক্টগুলোকে আপনি যত বেশি মানুষের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবেন, প্রোডাক্টগুলোর সেল হওয়ার সম্ভাবনা ততবেশি বেড়ে যাবে। আর এটাই হলো মার্কেটিং।ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্বঃ
- ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিজনেস অগ্রগতি সাধন হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। একারণেই বিভিন্ন নামি-দামি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ইমেইল মার্কেটিং এর দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে।
- ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়িয়ে নিতে পারবেন এবং আপনার পছন্দের কাস্টমারদের কাছে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিসের আপডেট ও বিজ্ঞাপনগুলোকে অনায়াসে পৌঁছে দিতে পারবেন ।
- বর্তমান সময়ের এই ডিজিটাল যুগে ই-মেইল ব্যবহার অনেক বেশী বেড়ে গিয়েছে।একটি সহজ উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন- আপনি যদি এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তো প্লে স্টোর থেকে আপনার ফোনে একটা অ্যাপ ডাউনলোড করতে গেলেও আপনার ইমেইল থাকতে হবে এছাড়া আপনি সেই সুযোগটিও পাবেন না।
- বর্তমান সময়ে ইমেইল ছাড়া লোকের সংখ্যা খুবই কম। তাই আপনি সহজে আপনার কাস্টমারদের কাছে আপনার পণ্য পৌঁছে দিতে পারবেন এই ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
ইমেইল মার্কেটিং করবেন কেন?
ইমেইল মার্কেটিং করার অনেকগুলো কারণ ও যুক্তি রয়েছে। এই ডিজিটাল যুগে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ইমেইল মার্কেটিংয়ের বিকল্প নেই বললেই চলে। পৃথিবীর সবথেকে বড় ও নামি-দামি প্রতিষ্ঠানগুলো ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছে। ইমেইল মার্কেটিং করার যেসব যোক্তৗকতা রয়েছে সেগুলো হলো: ১.পণ্য-সামগ্রীর বিক্রি বাড়াতে। ২.গ্রাহকের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরী করার জন্য। ৩.গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য। ৪.গ্রাহককে সর্বক্ষণ আপডেট দিয়ে গ্রাহকদেরকে ধরে রাখার জন্য। ৫.গ্রাহককে তৎক্ষণাৎ সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে গ্রাহকের বিশ্বস্ততা অর্জন করার জন্য। ৬. ছোট-বড় যে কোন ব্যবসার জন্যই ইমেইল মার্কেটিং উপযুক্ত। ৭. email-marketing অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় অনেক সহজ, সস্তা এবং খুব সময় ব্যায় করেই এর সুফল ভোগ করা যায়। ৮. এখানে অনেক বিষয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যায় এবং রেগুলারিটি মেনটেন করাও খুব সহজ। ৯. বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়ে যেতে পারে। কারণ ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অনেক অল্প সময়েই অনেক বেশি প্রচার করা যায়।ইমেইল মার্কেটিং এর প্রয়োজন কেন?
আপনার মাথায় একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে ইমেইল মার্কেটিং এতো কার্যকর উপায় কি করে হলো? নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।- সময়ঃ সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার ব্যবসায়ের জন্যে। ইমেইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।
- এন্টি স্প্যামিংঃ স্পাম ফিল্টার আগের চেয়ে উন্নত হওয়ার কারণে স্পাম ইমেইল এর সংখ্যা এখন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। ফলে ইমেইল মার্কেটিংয়ের বিশ্বস্ততাও আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
- প্রচার প্রচারণাঃ অন্যান্য মাধ্যমেও প্রচার-প্রচারণার কাজ করা যায়, যেমনঃ ওয়েবসাইট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি। এসব মাধ্যমগুলোর দ্বারা প্রচার-প্রচারণার কাজ করলে সকল গ্রাহকদের কাছে সেগুলো নাও পৌছাতে পারে কিন্তু ইমেইলের মাধ্যমে একদম গ্রাহকের ইনবক্সে আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্যসমূহ কিংবা আপডেট সবকিছুই পৌঁছে যাবে।
ইমেইল মার্কেটিং থেকে কি আয় করা সম্ভব?
আপনি-আমি সকলেই এই ব্যাপারে জানি যে এই লকডাউন এর সময় অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ টাকা ইনকাম করে চলেছে। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে। এ সময় ইমেইল মার্কেটিংয়ের আয়ের পরিমাণও অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই ব্যাপারে আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে 2020 সাল ছিলো ইমেইল মার্কেটিং থেকে আয় করার সেরা বছর। ইমেইল মার্কেটিং থেকে আয় করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে তন্মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি গুলো নিম্নে দেওয়া হলো: ১.এইচটিএমএল এর মাধ্যমে ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করা। ২.এইচটিএমএল ও সিএসএস এর দ্বারা ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করা। ৩.পিএসডি থেকে এইচটিএমএল এ কনভার্ট করার মাধ্যমে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করা এবং ৪. বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ইমেইল কনটেন্ট লিখে তা বিক্রি করা। তবে আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং দিয়ে আয় শুরু করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে কোন একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম বা ইউটিউব থেকে এ বিষয়ে ভালো দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। তাই আজকে আমরা উপরের বিষয়গুলো বাদ দিয়ে দুটি খুবই সহজ ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই দুটি উপায় দিয়ে আয় করার জন্যে আপনাকে কোনধরণের বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে না।যথা: ১. ইমেইল লিস্ট তৈরির মাধ্যমে আয় করা এবং ২.অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয় করা।ইমেইল লিস্ট করে আয়ঃ
ইমেইল লিস্ট তৈরি করে আয় এর ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট থাকলে সবথেকে ভালো হয়। তবে ওয়েবসাইট না থাকলেও চিন্তার কোন কারণ নেই। দুই ভাবেই আপনি ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন খুব সহজেই। ওয়েবসাইটের জন্য করণীয়ঃ ওয়েবসাইটের পপ আপ ফর্ম অবশ্যই থাকতে হবে। টপ অফ ফর্ম এর মাধ্যমে lightbox pop-up plugin ব্যবহার করা যায় যা অনেক ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরাই ব্যবহার করে থাকেন। ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইবার ফর্ম থাকাটাও অত্যন্ত জরুরি। সাবস্ক্রাইবার ফরমের যদি আপনি ব্যবহার করতে চান তবে সেক্ষেত্রে আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে Mail Chimp ব্যবহার করতে পারেন। ওয়েবসাইট না থাকলে করণীয়ঃ যাদের ওয়েবসাইট নেই তারা বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের ভিতরে বিভিন্ন পোস্টে কমেন্টের মাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন ফোরামে ফোরাম পোস্ট করার মাধ্যমে কিংবা ল্যান্ডিং পেজ এর মাধ্যমে এফিলিয়েট প্রচারের সময় ইমেইল সাবমিট করার ফর্ম রাখতে পারে। ল্যান্ডিং পেজই এ Dreamweaver ব্যবহার করতে পারেন এবং এর সুফল ভোগ করতে পারেন। ইমেইল মার্কেটিংয়ে মধ্যে যত সময় যাবে আপনার ইমেইল লিস্ট ততই বড় হতে থাকবে। তখন ইমেইল গুলোর মাধ্যমে আপনি এমন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। তাছাড়াও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলো যথা, freelancer, upwork, fiverr ইত্যাদির মত বড় এবং নামি-দামি মার্কেটপ্লেসে তা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করতে যেতে পারে।ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে এফিলিয়েশনঃ
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আফিলিয়েশন শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমেই যে জিনিসগুলো ঠিক করে নিতে হবে যে আপনি কোন ধরনের বা কোন বিষয়গুলোর উপরে ইমেইল সেন্ড করবেন বা পাঠাবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপরন অবশ্যই নজর দিতে হবে। যেমনঃ নতুন সেবাঃ ব্যবসায় কোন নতুন পণ্য বা সেবাা এড করা হলে সাথে সাথে আপনাকে তার আপডেট ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানিয়ে দিতে হবে। আপডেট বা পরিবর্তনঃ ব্যবসার কোন নীতিমালার কিংবা সার্ভিস আপডেট বা পরিবর্তন করলে সাথে সাথে তা গ্রাহকদের জানিয়ে দিতে হবে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টঃ বিশেষ দিন বা বিশেষ উপলক্ষ গুলোতে যদি কোনোরূপ ছাড় কিংবা অফার থাকলে গ্রাহকদের তা ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে। কনফার্মেশনঃ গ্রাহক কোন বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে কিংবা কোন অফারে অংশ নিলে বা বা কোন কিছু পরিবর্তন বা পরিমার্জন করতে চাইলে সাথে কনফার্মেশন মেসেজ এর মাধ্যমে গ্রাহককে ইনফর্ম করে দিতে হবে। কো-মার্কেটিংঃ আপনি যদি কোনো মার্কেটার কোম্পানির সাথে যৌথভাবে কোনো সেবা চালু করে থাকেন তবে তা ইমেইলেভ মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে। বাতিল হওয়া কার্টঃ ক্রেতা কোন সেবা বা পণ্য কিনতে আগ্রহী ছিল, তবে কোন কারণে পণ্য বা সেবা নেওয়ার প্রসেসটিকে সম্পূর্ণ করে নি। সেই কার্টটির সম্পর্কে ক্রেতাকে তার মেইলে জানিয়ে দিতে হবে। ভিডিও বা টিউটোরিয়াল: পণ্যের ভিডিও বা অনলাইন টিউটোরিয়াল থাকলে তা গ্রাহকদেরকে জানিয়ে দিন। এরপর আসে এইসব কাজগুলো আপনি কিভাবে করবেন সেই বিষয়টি। এ কাজগুলো করার জন্য আপনি অনলাইনে অনেক ফ্রি এবং পেইড সফটওয়্যার পাবেন। নিচে এরকম কিছু উল্লেখযোগ্য সফটওয়্যার এর নাম দেওয়া হলো যেগুলোইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবেঃ
Mail Chimp Mailchimp একটি জনপ্রিয় ইমেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার। নতুনদের জন্য এটি সবচেয়ে ভালো। কারণ এর কারেট সেটআপ করা সহজ এবং ইউজার ইন্টারফেস যথেষ্ট মানসম্মত। আপনি ইউটিউবে এর জন্যে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল পাবেন। Mailchimp সার্ভিস এর ফ্রি প্লানে 2000 সাবস্ক্রাইবার এবং মাসে 12000 ইমেইল পাঠাতে পারবেন। এবং পেইড প্লান শুরু হয় ১০ ডলার থেকে। তবে প্রতহম প্রথম এগুলোর ফ্রি সার্ভিস গুলো নিয়ে টেস্ট করাই ভালো। Vertical Response Vertical Respose একটি বহুল জনপ্রিয় ইমেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার। এখানে বিভিন্ন টুলস থাকে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি বিভিন্ন ইমেইল ক্যাম্পেইন তৈরি করতে পারবেন। Vertical Respose এর প্লানে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং মাসে 4000 ইমেইল পাঠাতে পারবেন। ইমেইল পাঠানোর জন্য আপনি প্রথমে একটি পেইজ টেম্পলেট ডিজাইন করে নিবেন। যদি টেম্পলেট ডিজাইন করতে না পারেন সেক্ষেত্রে সফটওয়্যার থেকেই দেওয়া ডিফল্ট টেম্পলেটগুলো থেকে পছন্দমতো টেমপ্লেট নিয়ে সেগুলো পরিবর্তন করে নিজের মত সাজিয়ে নিতে পারবেন। @ তবে সাজানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখবেন আপনাকে মোবাইল এবং কম্পিউটার এর জন্য আলাদা আলাদা করে ডিজাইন করতে হবে। @ আপনার যেসব বিষয়ে যেই রকম টেমপ্লেট প্রয়োজন বা আপনার ভালো লাগে সেরকম ভাবে টেম্পলেট ডিজাইন করুন। উপরের সবগুলো ধাপের কাজ শেষ করার পর আপনার ইমেইলটি প্রেরণের জন্য একদম প্রস্তুত হয়ে যাবে। ইমেইল সেন্ড সময় খেয়াল রাখুন কতদিন পর পর ইমেইলটি পাঠালে ইউজারগণ বিরক্ত হবে না। ইমেইল পাঠানোর পর যদি কাঙ্খিত ফলাফল না পান অর্থাৎ আপনার ব্যবসার তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি না হয় সে ক্ষেত্রে ইমেইল গুলো ভালোমতো এনালাইসিস করবেন এবং কোন ধরনের ইউজারকে কোন ধরনের ইমেইল দিবেন তাও ভালো করে ভেবে দেখুন। কেউ অপছন্দ করে এমন কোন ইমেইল কাউকে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।What's Your Reaction?