ডোমেইন বিক্রয় করে আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা।ডোমেইন ফ্লিপিং ব্যবসার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

ডোমেইন ফ্লিপিং,ডোমেইন ব্যাবসা বায় নাউ নাকিমেইক অফার, ডমেইনের দাম

ডোমেইন বিক্রয় করে আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা।ডোমেইন ফ্লিপিং ব্যবসার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

ডোমেইন বিক্রয় করে আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা।

আজ আপনাদেরকে একটি নতুন আর্নিং মেথডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছি। আজকের আর্টিকেল এ দেখাবো কিভাবে ডোমেইন ফ্লিপিং করে ইনকাম করতে পারেন লক্ষলক্ষ টাকা। অবশ্য আর্নিং রিলেটেড লেখা পড়তে গেলে মাথায় রাখতে হবে জগতের সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে টাকা ইঙ্কাম করা। যাইহোক আজকের ডোমেইন ফ্লিপিং নিয়ে আর্টিকেল এ আপনাদের স্বাগতম জানাই। তার আগে একটূ জেনেনেই ডোমেইন কিঃ ডোমেইন হচ্ছে একটি নাম, যেমনঃ www duronta com এখানে  duronta হচ্ছে ডোমেইন নেম আর com হচ্ছে এর tld ।   ধরুন আপনি একটি ডোমেইন কিনলেন হাজার টাকা দিয়ে (com সাধারণত১০০০ টাকা/net ১২০০ টাকা org ১২০০ টাকা info ১০০০ টাকা xyz ১০০ থেকে ২০০টাকা)  এবং বিক্রি করতে চান ১০গুণ লাভে। এখন এই বিষয়টি যদি এতো সহজ হতো তাহলে আর প্রতিদিন হাজার-হাজার ডোমেইন ড্রপহতো না।(প্রতিদিন কি পরিমাণ ডোমেইন ড্রপ হচ্ছে তা দেখতে পারবেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ যেমন expireddomains.net) সবাই তখন ব্যাংক এ টাকা জমা না করে ডোমেইন কিনে রেখে দিতো আর ডোমেইন গুলো ড্রপহতো না অর্থাত এক্সপাআর্ড হত না। আসলে টাকা এমন এক জিনিষ যা আপনার কাছে যতোক্ষণ আছে ততক্ষণ আপনি ধনবান। ডোমেইন রেজিস্টার যারা করে তাদের একটি বিষয় জানা উচিত। কখনো হুজুগে ডোমেইন কিনবেন না, বুঝে-শুনে ডোমেইন ইনভেস্ট করবেন।

ডোমেইন খালি আছে কিনা যেভাবে চেক করবেনঃ

হঠাত আপনাদের মাথায় বিভিন্ন ডোমেইনের নাম মনে আসবে, হুট করে চেক করা সম্ভব হয়না আবার একসাথে অনেক গুলো চেক করতে গিয়ে সময়ওলাগে। ডোমেইনাররা সাধারণত whois.domaintools.com অথবা domainr.com  থেকে চেক করে। এছাড়াওআছে epik.com একসাথে অনেকগুলো ডোমেইন চেক করতে গেলে ব্যবহার করতে পারেন domchimp.com 5L/6l ডোমেইন নিয়ে কিছু কথাঃ ডোমেইন কিনার  সময় আমাদের একটা  টেন্ডেন্সি  থাকে যে আমরা ৫ কিংবা ৬ লেটারের মধ্যে ডোমেইন কিনব। ত্তবে আপনাকে অবশ্যই ভেবে চিন্তে দেখতে হবেঅই ডোমেইনটি আসলে কি বুঝায় বা মানুষ কেনো কিনবে। কারণ এমন না যে আজকে কিনবেন আর কালকে বিক্রি করে দিবেন। ১। ৫ বা ৬ লেটারের ডিকশনারি ওয়ার্ড পাওয়া যাচ্ছেনা কিন্তু সেইক্ষেত্রে দুটি শব্দের কম্বিনেশন হতে পারে। ২। যেকোনো পপুলার নেম,বিখ্যাত কোনো ব্যাক্তিরনাম,সুন্দর ব্র্যান্ডবলনেম, যেকোনো ভাষার শব্দ ইত্যাদি।

ডোমেইন ব্যাকঅর্ডার কি?

ডোমেইন ব্যাকওর্ডার হচ্ছে ডোমেইন মনিটরিং ও ট্র্যাকিং এর পাশাপাশি সফলভাবে রেজিস্টার করার  একধরণের সার্ভিস যার মাধ্যমে কোনো ডোমেইন রেজিস্টারের জন্যে আগেই টাকা দেয়া থাকে এবং ডোমেইন টি ড্রপ হয়ার সাথে সাথেই রেজিস্ট্রেশন করে দিবে আপনার জন্যে। ডোমেইন ব্যাক অর্ডার সার্ভিস দিয়ে থাকে এমন কিছু কোম্পানির নামঃ ১। এপিক ২। গোড্যাডি ৩। নেমজেট

ডোমেইন পার্কিংকী?

সাধারণতভবিষ্যতেডোমেইনের দাম বাড়বে এই আশায়ভালো কোনো ডোমেইনকিনেসেয়াটাকে কোনো সাইতে বিজ্ঞাপন আকারে রাখাকে বলা হয় ডোমেইন পার্কিং। নিচের উদাহরণটি পড়ুনঃ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি  ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। এরফলে দিনকে দিন বেশির ভাগ কোম্পানি তাদের বামে নিজস্ব সাইটখুলার মাধ্যমে  নিজেদের প্রচার প্রসার করছে। কিন্তু এমন অনেকসাইট আছে যারা নিজেদের কোম্পানির জন্যে কোন  ডোমেইন কিনেনি। আপনি চাইলে সেসব ডোমেইন কিনে রাখতে পারেন এবং পরবর্টিতে উক্ত প্রতিষ্ঠান ডোমেইন কেনার জন্যে অফার করলে আপনি সেই ডোমেইন টি সেল করতে পারেন। আপনার কাছে যে ডোমেইন কেনা আছে সেটা কিছু সাইটের মাধ্যমে জানানই হলো ডোমেইন পার্কিং।
পছন্দের ডোমেইন খুজে না পেলেঃ
অনেকেই ওয়েবসাইটের জন্য নাম খুজে পান না। যদিও নাম পেয়েও যান তবে ডট কম ডোমেইন এভিইলেভেল থাকে না। ডোমেইন কিনতে গিয়ে বেশীরভাগ মানুষই এই কমন সমস্যাটি ফেস করে থাকেন। অনেককেই নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ডোমেইনের নামের সাথে বিডি লাগাতে হয়ে থাকে। অনেকেই আবার ডট xyz, ডট শপ ইত্যাদি ডোমেইনে কে ব্যবহার করতে বাধ্য হন। নাম খুজতে খুজতে আর ডট কম ডোমেইন না পেতে পেতে ব্যবসা করার ইচ্ছাই অনেকের মরে যায়। অনেকের মনেই এই সমস্যার সমাধান কী ?এই প্রশ্নটি আসে তবে কেউই আপনাকে সঠিকউত্তর কিংবা গাইডলাইন এ দুটো জিনিসের মধ্যে কোনো একটিও দিতে পারেনি। আজ আমি আপনাদের সমাধান দিতেইএসেছি। তার আগেই আমি আপনাকে একটি পরিষ্কার ধারণা দেই। এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যাদেরনিজস্ব ডট কম ডোমেইন নেই তবুও তাদের ব্যবসা তারা রানকরাচ্ছে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। যেমন ধরুনই-ভ্যালি, ই-কুরিয়ার, নগদ, শপআপ, পেপারফ্লাই, স্টারটেক, টেলিটক, রবি এইসব প্রতিষ্ঠানগুলো ডট বিডি ডট শপ ইত্যাদি ডোমেইন ব্যবহার করছে। তাদের এত বড় বড় ব্যবসা ডট কম ডোমেইন ছাড়াচলতেপারলে আপনি কেন ডট কম ডোমেইন ছাড়া আপনার ব্যবসা স্টার্ট করতে পারছেন না। অনেকেই বড় বড়প্রতিষ্ঠানের কাছ মোটা অংকের টাকা হাতানোর জন্য নামি দামি প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের ডোমেইনগুলো কিনে বসে থাকে। কেননা প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানই চায় তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ডট কম ডোমেইনটি যেন তারাই ইউজ করে। তবে এর জন্য তাদের খসাতে হয় প্রচুর টাকা তবে ডোমেইনের মালিক অনেক বেশী টাকা দাবি করে তবে তাদের অন্য রাস্তা দেখতে হবে। তখন তারা ডট কম ডট বিডি ডোমেইন নেয়।[বি.দ্র:বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোইডট কম ডট বিডি ডোমেইন বেছে নেয়]। এর কারণ হচ্ছে ডট কম ডট বিডি এতে বেশ একটা প্রফেশনাললুক রয়েছে এবং অনেকের কাছেই মনে হতে পারে এটি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। সেজন্য ডট কম ডোমেইন যদি খুজে না পান তবে ডট কম ডট বিডি ইউজ করার ট্রাই করুন। কেননা এতে প্রতিষ্ঠানেরনামের কোনো প্রকারবিকৃতি ঘটে না। ডট কম ডট বিডি এই এক্সটেনশনটির জন্য আপনার ব্যবসারপরিধি বাংলাদেশে কতুটুকু তা প্রকাশ করে থাকে এবং গুগল সার্চেও আপনাকে প্রাওরিটি পেতে সাহায্য করবে।
ডোমেইন কি সারাজীবনের জন্য কেনা যাবে?
অনেক সময়েই হয়তো আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে “ডোমেইন সর্বোচ্চ কতোদিনের জন্যে কেনা যায়” অথবা ডোমেইন কি সারাজীবনের জন্যে কেনা যায়? এরউত্তর হলো না, কারণ পৃথিবীর সবকিছুর যেমন একটা শেষ আছে তেমনি ডোমেইনেরও একটা মেয়াদ থাকে ।একই ভাবে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্যে একটি ডোমেইন ক্রয় করা যেতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি অটোরিনিউ এর ব্যবস্থা দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি অটোরিনিউ অন করে দিলেই নিশ্চিন্ত হয়ে থাকতে পারেন।
এক্সপায়ার্ড ডোমেইনগুলো কিনার আগে যে বিষয়গুলোকে খেয়াল রাখতে হবে:
এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কোথায় পাবেন ? প্রতিদিন পুরো পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ ডোমেইন এক্সপায়ার্ড হয়ে যায়। এর মধ্যে যেমন ভালো ডোমেইন রয়েছে, তেমন খারাপ ডোমেইনও রয়েছে। এক্সপায়ার্ড ডোমেইন খোজার জন্য বেশ কিছু টুলস এর প্রচলন রয়েছে। নেমজেট ও ড্রপক্যোচ এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অকশনের মাধ্যমে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন এর বিক্রি করে থাকে। তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে অনেক আকর্ষণীয় ডোমেইন এর প্রদর্শন হয়ে থাকে এবং সেগুলোর প্রাইজও খুব চড়া হয়ে থাকে। তারা অকশন করে থাকে যাতে তারা লাভ করতে পারে। তবে ভালো ডোমেইন এর জন্য বেশী টাকা তেমন কোনো বিষয় না। নিচে কিছু এক্সপায়ার্ড ডোমেইন বায় সেল এর মার্কেটপ্লেস এর নাম দেওয়া হলোঃ গোড্যাডি অকশনঃ গোড্যডিতে আপনি ফ্রিতে ডোমেইন দেখতে পারবেন। তবে, আপনাকে ডোমেইন কিনতে গেলে গোড্যাডিতে একাউন্ট খুলতে হবে। আমার মতে, সবচেয়ে বেশী সংখ্যক ডোমেইন নিয়ে গোড্যাডির অকশনগুলো হয়ে থাকে। সবসময় আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে ডোমেইন কিনতে গেলে আপনাকে সময় নিয়ে দেখে শুনে কিনতে হবে। মাথাগরম করে বা তাড়াহুড়ো করে যদি আপনি ডোমেইন কেনেন তবে পরবর্তীতে বড় মাপের সমস্যায় পড়তে পারেন। গোড্যাডিতে এক একটা ডোমেইন অনেক দীর্ঘমেয়াদিও হয়ে থাকে। সে সময় আপনি ওয়াচ লেটার করে রাখতে পারেন। মানুষের বিড(bid) করা দেখুন। যখন দেখবেন প্রায় বিক্রি হয়ে যাবেযাবে এমন অবস্থা তখনই একটা হাই এমাউন্টবীড করুন। কেননা শুরু শুরুতে যদি আপনি বীড করেন তবে অন্যরাওবীড করবে এতে অযথাই ডোমেইন এর প্রাইজ বেড়েযাবে। বাটবিট ডট কমঃ বাটবিটে আপনি চাইলে ফ্রি এবং পেইড দুটি মাধ্যমে বায় সেল করতে পারবেন। এক্সপায়ার্ড ডোমেইন ডট নেটঃ পুরো পৃথিবীতে কতশত ডোমেইন এক্সপায়ার্ড হয়েছে তার একটি সম্পূর্ণ ডাটাবেজ হলো এই সাইটটি। এখানে ইতিমধ্যেই এক্সপায়ার্ড হয়ে গেছে এবং বিভিন্নঅকশনে থাকা এক্সপায়ার্ড ডোমেইনগুলোকে দেখায়। এই ওয়েবসাইটে খুব ভালো ফিল্টারিং ব্যবস্থা রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের ডোমেইন খুজে পেতে পারেন। ডমকপঃ এক্সপায়ার্ড ডোমেইন খুজে পাওয়ার জন্য ডমকপ একটি বেস্ট ওয়েবসাইট। কেননা এতে খুব ভালো টুল রয়েছে যা ফ্রিতে ইউজ করা যায়, তবে সীমিতপরিমাণে। বিভিন্নঅকশন, ব্যকওয়ার্ড, এক্সপায়ার্ড ইত্যাদি ডোমেইনে রতালিকা দেখতে আপনাদের অনেক সুবিধা হবে। আপনারা ফিল্টারিং ব্যবস্থার মাধ্যমেওসুফলউপভোগ করতে পারবেন।ডমকপে রফিল্টারিং প্রসেস অত্যন্ত সহজ। এর নিজস্ব স্ক্র্যাপার রয়েছে যার কারণে ডোমেইন স্ক্র্যাপিংও করতে পারবেন। এছাড়াও ডমকপেরমতোই আরো কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমনঃ ফ্রেশড্রপ, প্রিমিয়াম ড্রপসইত্যাদি। ডোমেইন স্ক্র্যাপিংঃ বিভিন্ন ধরণের স্ক্র্যাপার ব্যাবহার করার মাধ্যমে পুরাতন ডোমেইন খুজে বের করতে পারা সম্ভব।শখের কারণে যারা একটি বা দুইটি ডোমেইন ব্যবহার করার ইচ্ছা পোষন করেন তাদের জন্য এই পদ্ধতি নয়। কারণ এটি একটু ব্যয়সাপেক্ষ বিষয়। ডোমেইন হান্টার,ডমকপ, স্ক্র্যপবক্স, গ্যাদারার ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি চাইলেই ডোমেইন স্ক্র্যাপিং করতে পারেন। এর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ রিসোর্স এর বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। বায় নাউ(BuyNow) নাকি মেক অফার(make offer): আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসেনিজের ডোমেইনের সেলের জন্য বিভিন্ন সময় লিস্টিং করে থাকি। তবে সবার ভেতরে একটা কমন কনফিউশন কাজ করে থাকে যে দাম কত দেব ? ফিক্সড প্রাইজ দাবিকরলেও মাঝে মধ্যে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অনেকেই চিন্তা করে থাকে ফিক্সড প্রাইজনাকি মেকঅফার এ দুটোর মধ্যে কোনটা বেস্ট। অভিয়েসলি আমার মতে মেকঅফার সব থেকে বেস্ট। সবসময় মেক অফার ইউজ করবেন না। কেননা ব্যবসায়ের এটাই মজা যেকোনো সময় আপনার কপাল খুলে যেতে পারে। যখন আপনি ফিক্সড প্রাইজ দিয়ে রাখবেন তখন অনেকে বলবে এত প্রাইজ দিয়ে কিনতে পারবো না, তারা চলে যায়। তবে অনেক সময় যদি আপনি না বুঝেই একটা ১০০০ টাকার জিনিসের দাম ৪০০ টাকা লিখে তা ফিক্সড প্রাইজ দিয়ে রাখেন তবে এতে লস আপনারই হবে। তবে মেক অফার দিয়ে রাখলে আন্দাজ করা মুশকিল হবে যে এর প্রাইজআসলে কত হবে? হয়ত আপনি আপনার প্রত্যাশিত দামের থেকেও বেশী পেয়ে যেতে পারেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow