সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি রিভিউ
কতদিন পর সেই চেনা ফারুকীকে ফেরত পাওয়া গেল! 'শনিবার বিকেল' দেখে যতটা আফসোস ছিল, 'সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি' দেখে সেই আফসোস অনেকটাই মিটলো।
কতদিন পর সেই চেনা ফারুকীকে ফেরত পাওয়া গেল! 'শনিবার বিকেল' দেখে যতটা আফসোস ছিল, 'সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি' দেখে সেই আফসোস অনেকটাই মিটলো।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির নিউ ইয়ার আতশবাজিতে কতবার শহর কেঁপেছে কিন্তু কে এর প্রতিবাদ করেছে সরাসরি? করোনার সময় যারা মাস্ক নিয়ে বিজনেস বা দুর্নীতির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে, তারা কতটা নিরাপদ ছিল! কিংবা বাচ্চা নেয়ার মত একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারে মানুষের আগ্রহের জবাব কী হওয়া উচিত বা উচিত না, সেটাই কে কবে বলেছে! ফারুকী সর্বশেষ সিনেমাটা আটকে থাকার ঝালও মিটিয়েছেন পরতে পরতে। এই সিনেমায় তাই ফারুকী তিশা মেইন কাস্ট না থাকলে পরিপূর্ণতাই পেতো না। নিজের জীবনের গল্পটাই গাড়িতে পাশাপাশি বসা স্বামী স্ত্রী হয়ে বসে চোখের পানিতে দর্শককে টেনেছেন ফারুকী, সেটা নির্মানেও, অভিনয়েও।
খুব ফাস্ট কাট গল্প এগিয়েছে, ফারুকীর ফেস টু ফেস সাইলেন্স অনেকদিন পর দেখে বেশ ভাল লেগেছে। জিজ্ঞাসা থেকে গেলো ইরেশ যাকেরের চরিত্রটা নিয়ে। দরকারী ছিল তবে ভাতের সাথে ঠিকঠাক তরকারি হয়ে উঠতে পারলেন না। ফারুকী তিশা এতটাই ব্যক্তিগত গল্প বললেন, অন্যদিকে চোখ যায় নি খুব একটা। ডিপজলের সেই তেজ নেই, শরাফ আহমেদ জীবনের অতি অভিনয় আছে। ভাল লেগেছে সুমীর শেষ গানটা। তাহসিনের ক্যামেরা বারবার দর্শককে আবেগী করবে ফোকাসে।
RATING - 8/10
What's Your Reaction?