যে ১০টি কারণে পাকস্থলীর ক্যানসার হতে পারে!!

যে ১০টি কারণে পাকস্থলীর ক্যানসার হতে পারে!!

বিশ্বজুড়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার বড় অংশ পাকস্থলীর ক্যানসার বা গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ক্যানসারে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ পাকস্থলীর ক্যানসার। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি নির্ণয় করতে পারলে মৃত্যুঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে মানুষ পেপটিক আলসারের ব্যথা বলে মনে করেন। ফলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে গড়িমসি করেন। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী ডাক্তারের কাছে আসেন ক্যানসার জটিল পর্যায়ে পৌঁছানোর পর। 

>>উপসর্গ
প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো উপসর্গ না–ও থাকতে পারে। তবে হঠাৎ রুচি কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব, অল্প খেলে পেট ভরে যাওয়া, বিনা কারণে ওজন কমে যাওয়া, ওপরের পেটে ব্যথা, বারবার বমি, রক্তশূন্যতা ও দুর্বলতা, রক্তবমি বা কালো পায়খানা, পেটের উপরিভাগে চাকা অনুভব করা ইত্যাদির যেকোনোটি হতে পারে পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণ। 

পাকস্থলীর উপরিভাগের ক্যানসার মাঝেমধ্যে খাদ্যনালিকেও আক্রান্ত করতে পারে, সে ক্ষেত্রে রোগীর খাবার গিলতে কষ্ট বা খাবার বুকের পিছে আটকে আছে, এমন অনুভব করতে পারেন। 

>>ঝুঁকিগুলো জানুন
১. ধূমপান বা মদপান। 

২. স্থূলতা।

৩. হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি সংক্রমণ।

৪. আগে পাকস্থলীর অস্ত্রোপচার।

৫. খাবারে তাজা ফল ও শাকসবজির অভাব।

৬. প্রক্রিয়াজাত খাবার, বাড়তি লবণ দেওয়া, গ্রিল বা পোড়ানো খাবার গ্রহণ। 

৭. পাকস্থলীর অ্যাডেনোমেটাস পলিপ। 

৮. খুব নিকট রক্তসম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস। 

৯. কিছু বংশগতিক রূপান্তর (সিডিএইচ১)।

১০. ভিটামিনের অভাব, প্রধানত ভিটামিন এ, সি। 

>>প্রতিকার
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচরণে পরিবর্তন এনে পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিহত করা সম্ভব। 

১. নিয়মিত তাজা ফল ও শাকসবজি খান।

২. শারীরিক পরিশ্রম করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৩. হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি সংক্রমণ থাকলে নির্মূল করতে হবে।

৫. ধূমপান বা মদপান বর্জন করুন।

৬. উল্লেখিত উপসর্গসমূহ দেখা দিলে নিজে নিজে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। 

>>>>চিকিৎসা
ক্যানসারের শুরুতে রোগ ধরা পড়লে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৯০ শতাংশ রোগী সেরে উঠতে পারেন। তবে রোগ খুব বেশি অগ্রসর হয়ে গেলে অপারেশন বা কেমোথেরাপির পরও খুব বেশি দিন রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

>>রোগনির্ণয়
সাধারণত এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে দ্রুত রোগনির্ণয় সম্ভব। পরে পেটের সিটিস্ক্যান করে রোগের বিস্তার নির্ণয় করা হয়। রোগের স্টেজিং বা বিস্তারের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow