মেসির যে স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি
ভাবতেই অবাক লাগে যে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক ও বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনাল মেসিও এমন কোন স্বপ্ন রয়েছে যেটি এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। যে বন্ধুরা নিজের এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান তিনি। চলুন জেনে আসা যাক কি সেই স্বপ্ন
ভাবতেই অবাক লাগে যে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক ও বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনাল মেসিও এমন কোন স্বপ্ন রয়েছে যেটি এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। যে বন্ধুরা নিজের এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান তিনি। চলুন জেনে আসা যাক কি সেই স্বপ্ন
ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন কোনো শিরোপা নেই যা লিওনেল মেসির শোকেসে পাওয়া যাবে না। যেই শিরোপা নিয়ে আক্ষেপ ছিল সেই বিশ্বকাপ শিরোপাও স্থান পেয়েছে শোকেসে। তাই ফুটবল থেকে আর চাওয়ার কিছু নেই মেসির। বিশ্বকাপ জয়ের পর এমন কথা বেশ কয়েকবার বলেছেন এ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। এবার নিজের এক সুপ্ত বাসনার কথা জানালেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ওলগাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের সেই মনোবাসনার কথা জানিয়েছেন মেসি। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার খেলা-ধূলা বিষয়ক গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস। স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির সম্পর্কটা অনেকদিনের। ২০১৭ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন তারা। বিয়ের আগে দুটি ও বিয়ের পরে একটি সন্তান আসে এই দম্পতির ঘরে। এবার চতুর্থ সন্তানের অপেক্ষায় আছেন তারা। সাক্ষাতকারে মেসি বলেন, 'আমরা আরও একটি সন্তান নিতে চাই। দেখি এবার মেয়ে হয় কি না। আন্তোনেল্লা একজন ভালো মা। আমি তার প্রতি মুগ্ধ। সে ২৪ ঘণ্টা সন্তানদের সঙ্গে থাকে। ভ্রমণ, খেলা, প্রাক-মৌসুম, জাতীয় দলের কারণে আমাদের বেশিরভাগ সময় দূরে থাকতে হয়।.অবসর ও ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, 'আমি এখন আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না, এটা অনেক দূরে। হ্যাঁ, আসন্ন কোপা আমেরিকা নিয়ে ভাবছি। দারুণ এক টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। এরপর দেখা যাবে। এটা নির্ভর করছে আমার শরীরের ওপর। বছর কেটে গেছে এবং আমাদের দেখতে হবে দিনকে দিন আমি কেমন অনুভব করি। আমি দূরের কথা ভাবতে চাই না। যতটা পারি খেলা উপভোগ করতে চাই। দু’জনই একই শহরের। দূরসম্পর্কের আত্মীয়। বন্ধুর ছোট বোন। পরিচয়টা আগেই ছিল। তবে তাকে প্রেমিকা করার চিন্তাটা অনেক পরে মাথায় এসেছে মেসির। আর্জেন্টিনার রোজারিও ছেড়ে তিনি তখন বার্সেলোনার বাসিন্দা। ন্যু ক্যাম্পের ক্লাবে তার প্রতিভার যত্ন-আত্তি চলছে। এভাবেই একসময় বার্সার মূল দলে উঠে আসলেন। তাকে চিনতে শুরু করল ফুটবল বিশ্ব। আর মেসি বুঝতে শুরু করলেন জীবনে তার বসন্ত এসেছে। এরই মধ্যে বার্সেলোনা আর রোজারিওতে আসা-যাওয়া চলতে থাকল। কোন ফাঁকে যে বন্ধুর বোনটিকে ভালোবেসে ফেললেন টেরই পাননি। ভালোবাসা বুঝি এভাবেই আসে, নীরবে, গোপনে! তবে গোপন কথাটি গোপন থাকেনি। ২০০৮ সালে ক্রিসমাসের ছুটি পেয়েই ছুটলেন দেশে। পরিকল্পনা করলেন এবার আন্তোনেল্লাকে ভালোবাসার কথা বলেই ছাড়বেন। যে প্লেমেকার প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের কাছে রীতিমতো আতঙ্ক তিনিই কি না নার্ভাস। বুঝতে পারছিলেন না কী করে বলা যায় মনের কথা। কী করে বলা যায়-‘টে আমাও’। মানে ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। দুনিয়ার তাবত প্রেমের মতোই গল্প। ঘেমে অস্থির মেসি কাঁপা কাঁপা গলায় ভালোবাসার কথা বলতেই আন্তোনেল্লার মুখে হাসি। ব্যস, শুরু হয়ে গেল আরও একটা প্রেম কাহিনি! ২০০৮ সালেই সংসার শুরু। এরপরই একের পর এক সাফল্য পেয়েছেন মেসি। টানা চারবার হয়েছেন বিশ্বের সেরা ফুটবলার। হাতে উঠেছে ক্লাব ফুটবলের সব বড় শিরোপা। নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপের খুব কাছে গিয়েও ফিরেছেন অপ্রাপ্তি সঙ্গী করে। ২৪ জুন, ৩৪তম জন্মদিনের দিনটাতেও হাল ছাড়েননি। মেসি তার পরিচ্ছন্ন ফুটবলের মতোই স্বচ্ছ।
What's Your Reaction?