সিনেমা মানেই যে কেবল হই হুল্লোড় করে হাসতে হবে, গান থাকবে, সব সময়ের জন্য এমনটা সত্য নাও হতে পারে৷ নুরুল আলম আতিকের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত 'পেয়ারার সুবাস' সিনেমাটি জানার, বোঝার এবং উপলব্ধি করার।
‘ছবিটির বিষয়বস্তু যে প্রাপ্তবয়স্কদের' তা সিনেমা মুক্তির আগেই প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন নির্মাতা নুরুল আলম আতিক। বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সের পর্দায়ও ঠিক তেমনটিই লাগলো। তাই বাচ্চাদের সাথে নিয়ে দেখার সিনেমা 'পেয়ারার সুবাস' নয়! এটা মেনেই আপনাকে সিনেমা হলে
যেতে হবে।
বাঙালির বৈবাহিক যৌনজীবন পর্দার আড়ালের গল্প হলেও নির্মাতা সেই গল্পেরই শৈল্পিক রুপ দিয়েছেন পর্দায়। তবে আমার কাছে গল্পটি অনেক বেশি পুরুষের আধিপত্যের কথাও বলছে৷ যেখানে নেই নারী কিংবা সঙ্গিনীর কোন ইচ্ছে-অনিচ্ছের কথা। বরং সবটাই যেন আধিপত্য ও শক্তিমত্তার বার্তা৷ তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল কিংবা মুন্সীর পোষ্য কোন চাকর সব পুরুষের মাঝেই যেন নিজেকে 'হনু' ভাবার একটা পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়৷ তাই পেয়ারা কিংবা তার মতো চরিত্ররা মুন্সীর বউ বা কাঠমিস্ত্রীর কাছেও কেবলই নারী।
দীর্ঘ আট বছর আগে শ্যুটিং হওয়া এই সিনেমা দেখে আপনার অনেক রকম সিনেমাটিক প্রতাশ্যা পূরণ নাও হতে পারে। তবে 'পেয়ারার সুবাস' আপনার ভাবনা, জানার ও উপলব্ধির অনেক জায়গায় আঘাত করবে এটা নিশ্চিত ৷