কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরু চিনবেন যেভাবে
পবিত্র ঈদুল আজহা সন্নিকটে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই উদযাপিত হতে চলেছে মুসলমান ধর্মালম্বীদের কোরবানির ঈদ। এই ঈদে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় কোরবানির জন্য পশু চেনা নিয়ে। ট্যাবলেট খাইয়ে কিংবা ইঞ্জেকশন দেয়া গরু কিনে অনেকেই প্রতারিত হয়ে থাকেন। তাই গরু কেনার সময় সচেতন হওয়ার জন্য কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।
ইঞ্জেকশন বা কৃত্রিমভাবে গরু মোটাতাজা হয় না বরং শরীরে পানি জমে যাওয়ার কারণে গরু হৃষ্টপুষ্ট দেখায়। কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরুর মাংস আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গরু কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে স্বাভাবিক গরুর শরীরে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে মাংস একটু ডেবে যায়। সুস্থ গরু হলে তৎক্ষণাৎ মাংস পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসে। কৃত্রিমভাবে গরু মোটাতাজা করা গরু এক্ষেত্রে বেশি সময় নেয়। সুস্থ গরুর আচরণ হবে সক্রিয়, দৃষ্টি হবে তীক্ষ্ণ। অপরদিকে কৃত্রিমভাবে গরু মোটাতাজা করা হলে তা হবে নির্জীব।
কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা গরু অল্পতেই হাপিয়ে যায়। বেশিক্ষণ শ্বাস-প্রশ্বাস ধরে রাখতে পারে না। ঘনঘন শ্বাস নিবে। আবহাওয়া খুব বেশি গরম না হলেও কৃত্রিমভাবে গরু মোটাতাজা করা হলে গরুর মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বের হয়। যেটা সুস্থ গরুর হবে না।