বিলাসবহুল জীবন, তবুও পোশাক পরেন না বাসিন্দারা!
খাবার ও বাসস্থানের অভাব থাকলেও বর্তমান সময়ে পোশাকহীন কাউকে দেখা অকল্পনীয় ঘটনাই বটে। কিন্তু এই গ্রামে সেই অকল্পনীয় ঘটনাই ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে বছরের পর বছর।
খাবার ও বাসস্থানের অভাব থাকলেও বর্তমান সময়ে পোশাকহীন কাউকে দেখা অকল্পনীয় ঘটনাই বটে। কিন্তু এই গ্রামে সেই অকল্পনীয় ঘটনাই ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে বছরের পর বছর। বিলাসবহুল জীবন এবং অর্থের অভাব না থাকা সত্ত্বেও এই আধুনিক সমাজে একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে কেউই পোশাক পড়েন না।
বিস্মিত হওয়ার মত ঘটনা হলেও এই গ্রামটির অবস্থান ব্রিটেনে। ইউরোপের মত আধুনিক দেশে এমন একটি পোশাকহীন গ্রামের অস্তিত্ব অবাক করার মতো ঘটনা। আর এক বা দুই দিন নয়, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা করে চলেছেন গত ৯০ বছর ধরে। এই গ্রামের লোকেরা কেউই উপজাতি সম্প্রদায়ের নন। আর আর্থিক কোন সমস্যা যে নেই তা তো আগেই বলেছি। কিন্তু তারপরও বাচ্চা থেকে বয়স্ক লোক প্রত্যেকেই থাকেন পোশাক না পরেই।
গ্রামের নাম স্পিলপ্লাটজ। হার্টফোর্ডশায়ারের একটি গ্রাম এটি। গ্রামের মানুষদের বিনোদনের জন্য ক্লাব, পাব থেকে শুরু করে সবকিছু আছে। গ্রামের মানুষ উচ্চশিক্ষিতও বটে।
গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ বিত্তশালী। বিলাশবহুল বাংলোতে থাকেন। গ্রামটি পর্যটকদের কাছেও সুপরিচিত। দুরদুরান্ত থেকে এই গ্রামে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন। আর তাদের ক্ষেত্রেও নিয়মের কোন হেরফের হয় না। অর্থাৎ পর্যটকরা যদি এই গ্রামে প্রবেশ করতে চান, তাদেরও পোশাকহীন অবস্থায় থাকতে হবে। না হলে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয় না।
প্রশ্ন আসতেই পারে অত্যাধিক ঠান্ডার সময় কী করেন এই গ্রামের লোকেরা? তবে এক্ষেত্রে গ্রামের নিয়মানুযায়ী অত্যাধিক ঠান্ডায় কেউ চাইলে পোশাক পরতে পারেন। বাঁধা দেয়া হবে না। আবার গ্রামের বাইরে গেলেও পোশাক পরার অনুমতি দেয়া হয়। তবে গ্রামে ঢুকেই সেই পোশাক খুলে উলঙ্গ থাকতে হয়।
What's Your Reaction?