নুহাশ হুমায়ুনের আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত শর্টফিল্ম 'মশারি' রিভিউ
নুহাশ সেদিন সোজাসাপ্টা বলছিলো, আমি বাইরের প্ল্যাটফর্মে ফিল্ম বানাই পুরস্কার পাবার জন্য। 'মশারী' দেখে মনে হলো নুহাশ জানে সে কী করছে, কী দেখাতে চায়। ঘটনা পোস্ট এপিক্যালিপ্টিক সময়ের। যার জন্য দরকার ছিল ভাল প্রোডাকশন, আর্ট ও বিশ্বাসযোগ্য সেট ডিজাইন।
নুহাশ সেদিন সোজাসাপ্টা বলছিলো, আমি বাইরের প্ল্যাটফর্মে ফিল্ম বানাই পুরস্কার পাবার জন্য। 'মশারী' দেখে মনে হলো নুহাশ জানে সে কী করছে, কী দেখাতে চায়।
ঘটনা পোস্ট এপিক্যালিপ্টিক সময়ের। যার জন্য দরকার ছিল ভাল প্রোডাকশন, আর্ট ও বিশ্বাসযোগ্য সেট ডিজাইন। ফিল্মের শুরুটা দেখেই আপনি ধরে নিতে পারেন, সময়টা কথা বলছে। পৃথিবীতে রক্তচোষা এক অদ্ভুত ভ্যাম্পায়ার ছড়িয়ে পড়েছে। মাইকে বলা হচ্ছে, ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিগুলোতে খুব বাজে অবস্থ, মরে সাফ হয়ে গেছে কিন্তু আমাদের দেশ টিকে আছে রেগুলেশন মেনে চলার কারনে। মনেই হতে পারে সাম্প্রতিক সময়ের করোনা মহামারীর প্রকোপ নিয়ে এখানে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এবার চরিত্র হিসাবে দুজন বোনকে দেখানো হয়েছে, যাদের বয়সের পার্থক্য থাকলেও মানসিকতা ও কমান্ডিংয়ে বোঝার উপায় নেই কে বড় কে ছোট। সন্ধা হতেই সবাই মশারী টানিয়ে নিজেকে রক্ষা করে ভ্যাম্পায়ার থেকে, অপেক্ষা করে সূর্যের আলোর। কিন্তু এই রাতে বোনদের জন্য নেমে আসে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ!
'হরর' জনরা নুহাশের কমফোর্ট এরিয়া। তবে এটাকে হরর পলিটিক্যাল মিক্স বলা যায়। সুনেরাহ ও নুহাশের ভাগ্নী মেয়েটা দারুন অভিনয় করেছে। সাউন্ড, ক্যামেরার রোলিং এবং অবশ্যই আলোর ব্যবহার একটা জায়গায় ভয় পাইয়েই দেবে আপনাকে।
ভৌতিক এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন নুহাশ হুমায়ূন। এতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল ও নাইরা সাইফ অনরা।
শর্টফিল্মঃ মশারি
পরিচালকঃ নুহাশ হুমায়ুন
ব্যক্তিগত র্যাটিংঃ ৯/১০
What's Your Reaction?