ক্রিমিনালস রিভিউঃ এক সহজ গল্পের সাম্প্রতিক ট্রিটমেন্ট।

প্রতারকদের খপ্পরে পড়া আমাদের নিত্যদিনের ঘটনা। এক ধরনের বাটপারি থেকে রেহাই পেতে পেতে হয়তো অন্য কোন প্রতারকের উদ্ভব হয়ে যায়। গল্পে আহামরি টুইস্ট নেই, সিম্পল রিভেঞ্জ ড্রামা তবে খুব প্রাসঙ্গিক। স্ক্রিনপ্লে খুব টাইট না, এন্ডিং প্রেডিক্টেবল।

ক্রিমিনালস রিভিউঃ এক সহজ গল্পের সাম্প্রতিক ট্রিটমেন্ট।
প্রতারকদের খপ্পরে পড়া আমাদের নিত্যদিনের ঘটনা। এক ধরনের বাটপারি থেকে রেহাই পেতে পেতে হয়তো অন্য কোন প্রতারকের উদ্ভব হয়ে যায়। 'ক্রিমিনালস' তেমনই এক সহজ গল্পের সাম্প্রতিক ট্রিটমেন্ট। গল্পে আহামরি টুইস্ট নেই, সিম্পল রিভেঞ্জ ড্রামা তবে খুব প্রাসঙ্গিক। স্ক্রিনপ্লে খুব টাইট না, এন্ডিং প্রেডিক্টেবল।
'ডাবল লাভ কোম্পানি' নামে একটি প্রতিষ্ঠান মাত্র এক মাসে ইনভেস্ট করা টাকা ডাবল করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। টাকার খুব প্রয়োজনে পড়া বিভিন্ন পেশা ও বয়সের মানুষ কোম্পানির মালিকের মিষ্টিকথায় কনভিন্স হয়। কেউ পেনশনের টাকা, কেউ অপারেশনের জন্য রাখা টাকা আবার কেউবা ইনভেস্ট করে মানুষের কাছ থেকে ধার করে। কিছুদিন পর সেই কোম্পানি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। এবার কি করবে টাকা লগ্নিকারীরা।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, এই প্রতারণার ভিক্টিম ও শোধ নেয়া তিনজনকেই নারী দেখানো হয়েছে। বাবা, স্বামী কিংবা পরিবারের জন্য এরা সাধারণ গৃহবধূ বা ছাত্রী থেকে রূপ নেয় ক্রিমিনালে।
তানজিকা আমিন, নীল হুরেরজাহান, রুকাইয়া জাহান চমক তিনজনই চেষ্টা করেছেন সেন্ট্রাল রোলে চরিত্র হয়ে উঠতে। তবে খুব একটা কনভিন্সিং লাগে নি কাউকে। এর একটা কারন হতে পারে মেকাপ। যেই ক্লাস মেইনটেইন করে ক্যারেক্টারগুলোর শেড চেঞ্জ হচ্ছে, তাদের দেখে মনে হবে না তারা সেই ক্লাস ক্যারি করছে। তানজিকার চেহারায় কখনো অসহায়ত্ব ফুটে উঠে নি, নীলের ডায়লগ ডেলিভারি এবং অভিনয় আরো শেখার আছে, চমককে সবসময় হাইক্লাস মনে হয়েছে। সেই তুলনায় ভাল করেছে ইরফান সাজ্জাদ। খুব স্পেস না পেলেও মজা দিয়েছে সাবলীল অভিনয়ে। এন্টিরোলে তানভীর মোটামুটি ভাল তবে খেলার আরো জায়গা ছিলো।
ফরহাদ আহমেদের চেষ্টা ছিলো ভাল কিছু বানানোর হয়তো। কিন্তু বাজে ডাবিং, মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া বিজিএম আর দুর্বল স্ক্রিনপ্লে সেই চেষ্টা সফল হতে দেয় নি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow