ওয়েব হোস্টিং কতো প্রকার ও কি কি [বিস্তারিত আলোচনা]

ওয়েব হোস্টিং কতো প্রকার ও কি কি [বিস্তারিত আলোচনা], হোস্টিং, ডোমেইন হোস্টিং, হোস্টিং %%primary_category%% %%title%%

ওয়েব হোস্টিং কতো প্রকার ও কি কি [বিস্তারিত আলোচনা]

হোস্টিং কত প্রকার ও কি কি?

আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো ওয়েবহোস্টিং বা ওয়েব হোস্টিং মূলত কত প্রকার এর এবং কি কি ? (Types of web hosting) ওয়েব হোস্টিং কাকে বলে বা হোস্টিং কি এটা হয়তো আপনারা সবাই জানেন আর এটা জানার পর, web hosting(ওয়েব হোস্টিং) কত প্রকার এর হয় সেটি জেনে নেয়াটাও অনেক জরুরি। ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয়তা, security(সিকিউরিটি), speed(স্পীড) ইত্যাদি নির্ভর করে অনেক রকম এর web hosting আছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি। এমনিতে, web hosting(ওয়েব হোস্টিং) এর অনেক প্রকারভেদ আছে। এদের মধ্যে মূলত যেসব ওয়েব হোস্টিং সব চাইতে থেকে বেশি ইউজ করা হয় ব্লগ এবং ওয়েবসাইট হোস্ট রাখার জন্য সেগুলো হলো –  
  • শেয়ার্ড হোস্টিং (shared hosting)
 
  • ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং (WordPress Hosting)
 
  • ভিপিএস হোস্টিং V P S (Virtual private server)
 
  • ডেডিকেটেড হোস্টিং (dedicated server)
 
  • ক্লাউড হোস্টিং (cloud hosting)
  এখন আসুন একে একে জেনে নেই শেয়ার্ড হোস্টিং, ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং, ভিপিএস হোস্টিং, ডেডিকেটেড ওয়েব-হোস্টিং, এবং ক্লাউড হোস্টিং কি ? এই সব রকমের ওয়েব হোস্টিং এর প্রকার গুলোর ব্যপারে চলুন আলোচনা করি।   দামে যেহেতু কম সেহেতু সর্বপ্রথম আসে শেয়ার্ড হোস্টিং এর কথা।

শেয়ার্ড হোস্টিং কি ? what is shared hosting ?

  শেয়ার্ড হোস্টিং এর অর্থ হলো, ওয়েব হোস্টিং কে শেয়ার (share) করা। মানে, একটি web server এর মালিক অনেক গুলো ওয়েবসাইট শেয়ার করবেন। উদাহরণ স্বরূপে বলা যায়, ধরে নিন আপনার একটি ঘর আছে এবং  আপনারা অনেক বন্ধুগণ সেই ঘরটি শেয়ার করে বা ভাগ করে থাকছেন। এই ক্ষেত্রে, আপনার ঘরটি হলো web server এবং আপনি আর আপনার বন্ধুরা যারা ঘর ভাগ করে থাকছেন তারা ধরে নিন একেকটা একটি করে ওয়েবসাইট।   এতে, আপনার লাভ এটা হলো যে, আপনাদের ঘর ভাড়া সব বন্ধুরা মিলেই দিতে পারবেন। এতে আপনার অনেক কম টাকা পে করতে হবে। শেয়ার্ড ওয়েব হোস্টিং Shared hosting এর ক্ষেত্রেও, আমরা একটি web server কে অনেক গুলি ওয়েবসাইট বা ব্লগের সাথে শেয়ার করি, এতে আমাদের এর জন্য অনেক অনেক কম টাকার বিল পে করার  প্রয়োজন হয়। শেয়ার্ড হোস্টিং আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারবেন। এবং, একটি নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য shared hosting সাধারণত ব্যবহার করেন।   শেয়ার্ড হোস্টিং (Shared hosting) এর কিছু লাভ
  • অনেক সস্তায় এবং কম দামে কিনতে পারবেন।
  • একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরির জন্য সেরা হোস্টিং।
  শেয়ার্ড হোস্টিং এর দাম এর কথা বললে, আপনি ৮০০ থেকে ১০ হজাজার টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন (Yearly) । HostingNei থেকে আপনি ১জিবি হোস্টিং মাত্র ৮০০ টাকায় এবং ১০ জিবি ১৮০০ টাকায় কিনতে পারবেন। এমনিতে অনেক shared hosting company রয়েছেন যারা ফ্রীতেই হোস্টিং সার্ভিস দেন।  

ভিপিএস (VPS) হোস্টিং কি ? (Virtual private server)

  ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার shared hosting থেকে অনেক দিক দিয়েই ভালো বলে আমি মনে করি। তবে হ্যাঁ, VPS সার্ভার আমরা তখনই নিয়ে থাকি যখন আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আসতে থাকে এবং যখন আমাদের ওয়েবসাইট অনেক বেশী পপুলার হয়ে যায়। প্রথম অবস্থায়, vps(ভিপিএস) হোস্টিং নেয়া প্রয়োজনীয় বলে ব্যাক্তিগতভাবে মনে করিনা।   তাহলে এই ভি পি এস (vps) হোস্টিং বলতে আমরা মূলত কি বুঝে থাকি। যেমন, একটি বিল্ডিং (building) এ অনেকগুলি রুম (room) তৈরি করা থাকে ঠিক সেভাবেই এই প্রকার এর হোস্টিং এর মধ্যে একটি ওয়েব সার্ভার কে অনেক গুলি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এবং, যেভাবে আপনি আপনার কিনে নেয়া রুমে কেবল আপনার রাইট থাকে ঠিক তেমন ভাবেই vps server এ আপনার কিনে নেয়া ভাগে কেবল আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগেরই অধিকার থাকবে। আপনি, যেই ভাগটা কিনবেন সেটা কেবলমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের জন্যই বরাদ্দ থাকবে এবং অন্য কাউকে সেই ভাগ এর ব্যবহার করতে দেয়া হবেনা। এইটা আপনার private web server এর মতোই  এবং, এইটাই কারণ যে vps server (ভিপিএস সার্ভার) বা vps hosting অনেক দ্রুত (fast) এবং এ বেশি ট্রাফিক বা ভিসিটর থাকা ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য অনেক বেশী লাভজনক।   ভি পি এস হোস্টিং এর কিছু লাভঃ  
  • Security সিকিউরিটির দিক দিয়ে দেখতে গেলে vps server অনেক বেশী নিরাপদ  (secure).
 
  • অনেক দ্রুত এবং এর কর্মক্ষমতা অনেক বেশী এবং উচুস্থরের।
 
  • Share hosting থেকে অনেক গুন্ বেশি ট্রাফিক বা ভিসিটর এ  (handle) করতে পারে।
 
  • আজকাল ভি পি এস (vps) হোস্টিং প্রায় $ 10.00 USD থেকে $ 250 USD (monthly) ভেতরেই আপনি পেয়ে যাবেন।
 

ডেডিকেটেড হোস্টিং কি ? 

(Dedicated web hosting)

  ডেডিকেটেড হোস্টিং হচ্ছে অন্য হোস্টিং থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের হোস্টিং। কারণ, শেয়ার্ড হোস্টিং এ আপনাকে একটি ওয়েব সার্ভার এ অসংখ্য ওয়েবসাইট এর সাথে শেয়ার করতে দেওয়া হয় এবং vps hosting এ আপনাকে ওয়েব সার্ভার এর একটি ভাগই দিয়ে দেয়া হয় যেটা কেবল আপনাদেরই থাকবে।   কিন্তু, ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মধ্যে আপনাকে একটি পুরো একটি  ওয়েব সার্ভার দিয়ে দেয়া হয় এবং সেটা কেবল আপনারই। এবং, সেই ওয়েব সার্ভারে কেবল আপনার ওয়েবসাইট এবং তার ফাইল হোস্ট করা থাকবে। ঠিক তেমনি, যখন আপনি একটি room নয় পুরো বিল্ডিং (building) টাই কিনে নিলেন এবং তার পরে তাতে কেবল আপনার থাকার রাইট থাকলো এমন একটি সিচুয়েশন ক্রিয়েট হবে আরকি।   ডেডিকেটেড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে, কেবল একটি ওয়েবসাইট এর একটি সার্ভারে হোস্ট থাকার কারণে সেই ওয়েবসাইটটি অনেক বেশি ফাস্ট এবং দ্রুত কাজ করবে এবং নিরাপত্তার (security) দিক দিয়ে দেখলে এ অনেক বেশী নিরাপদ (secure).   কিন্তু, একটি কথা মনে রাখবেন, এই হোস্টিং তখনই কেবল প্রয়োজন হবে যখন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট এ অনেক বেশি ট্রাফিক আসবে। এবং, ডেডিকেটেড সার্ভারের দামও অনেক অনেক বেশি। সো যা করবেন বুঝে শুনে করবেন।   ডেডিকেটেড হোস্টিং এর কিছু লাভ সমূহঃ  
  • অনেক বেশি ট্রাফিক বা ভিসিটর্স দেরকে handle করতে পারবেন ইজিলি।
  • এই রকমের হোস্টিং অনেক বেশী নিরাপদ (secure) হয়ে থাকে। 
  • কর্মক্ষমতা অন্যদের থেকে অনেক গুনে বেশি হয়ে থাকে।
  • ওয়েবসাইট বা ব্লগ অনেক দ্রুতগতিতে কাজ করে থাকে।
  Dedicated server আপনি মিনিমাম $ 80.00 USD (monthly) থেকে কিনতে পারবেন। কোন কোন সময় আরো অনেক বেশিও লাগতে পারে।
ক্লাউড হোস্টিং(Cloud hosting) কি ? 
  ক্লাউড হোস্টিং হচ্ছে আজ ব্লগার এবং ওয়েবসাইট অউনারদের মধ্যে সব থেকে বেশি প্রচলিত এবং ভরসার হোস্টিং সার্ভিস গুলোর মধ্যে অন্যতম হোস্টিং সার্ভিস। এর কর্মক্ষমতা এবং স্পীড অনেক উন্নত মানের হয়ে থাকে এবং এই হোস্টিং অনেক নিরাপদ। গেছে কিছু বছরে, cloud hosting অনেক বেশী ব্যবহৃত এবং বিপুল জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং, আমি নিজেই আমার ব্লগের জন্য ক্লাউড হোস্টিং কে ব্যবহার করছি।   আসলে ক্লাউড হোস্টিং এ অনেক গুলি ওয়েব সার্ভার একই সাথে রাখা হয় এবং তাই আপনি আপনার প্রয়োজন হিসেবে সার্ভার এর কিছু প্রয়োজনীয়তা যেমন CPU, RAM বা storage বাড়ায়ে বা কমায়ে নিতে পারবেন অনেক সহজেই। এতে, যখন আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স বাড়বে আপনি অনেক সহজে সেই হিসেবে নিজের ওয়েব সার্ভার এর এক্টিভিটিকেও বাড়িয়ে নিতে পারবেন অতি সহজেই।   এবং, সময়ে আপনি এক্টিভিটি কমিয়েও নিতে পারবেন ইচ্ছামতো। ক্লাউড হোস্টিং এর ওয়েবসাইট ডাউন হওয়ার সুযোগ অনেক কম এবং বেশি ট্রাফিক ও হ্যান্ডেল করতে পারবে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও আপনি ক্লাউড ওয়েব সার্ভারকে ভরসা করতে পারবেন চোখ বন্ধ করে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow