প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হতে চাইলে যা যা করবেন [৭টি সেরা টিপ্স]
প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার, কন্টেন্ট রাইটিং %%primary_category%% %%title%% %%sitename%%
প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হতে চাইলে যা যা করবেন [৭টি সেরা টিপ্স]
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন আপনারা সবাই…..? আশা করছি যে সবাই ভালো আছেন । আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ যদি ভালো না থাকে দুরন্ত তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে দুরন্ত তে আসার জন্য জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই অবশ্যই দুরন্ত এর সাথেই থাকুন । আপনি কি ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হতে চান…? পরিপূর্ণ গাইডলাইন পেতে চান। একজন প্রফেশনাল ও ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে কোন কোন বিষয় গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে যদি আপনার জানার আগ্রহ থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।আজকে আমরা কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি। পুরো আর্টকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো। আজকে আমরা কিভাবে একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার যায় বা কোন কোন স্টেপ গুলো ফলো করতে হয় সেই বিষয় গুলো জানার চেষ্টা করবো এবং এর পাশাপাশি আমরা এটাও জানার চেষ্টা করবো যে কন্টেন্ট রাইটাররা কি কি উপায়ে কাজ করতে পারে বা কোন ধরণের Job অপরচুনিটি গুলো তাদের জন্য রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।কন্টেন্ট রাইটার কারা?
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কন্টেন্ট রাইটার মূলত কারা এবং তারা কি করে থাকে। কন্টেন্ট রাইটাররা হচ্ছেন মূলত লেখক এবং তারা এক বা একাধিক বিষয়ের উপর লেখা লেখি করে থাকেন। এখন কন্টেন্ট রাইটাররা কি কি উপায়ে অনলাইনে Job করতে পারে সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক । কন্টেন্ট রাইটাররা চাইলেই বিভিন্ন উপায়ে কাজ করতে পারে। সবচেয়ে কমন দুটি উপায়ের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছেঃ নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে কন্টেন্ট রাইটিং করাঃ ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন ভাবে চাইলেই Monetize করা যায়। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে। যেমন ধরুন যে Google Adsense, Facebook, sponsorship এসবের মাধ্যমে। এসকল সম্পর্কে আপনারা অনেকই জেনে থাকবেন। স্বাধীনভাবে কাজ করাঃ ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটিং পারলে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় খুব সহজেই। যেমন ধরুন যে আপনার আপনি চাইলে আপনার কোন বন্ধুর ওয়েবসাইটে লিখতে পারেন কিংবা বিভিন্ন ধরণের সাইবার, আপওয়ার্ক এর মতো যায়গায় কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করাঃ Online এ এমন হাজারো প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের ওয়েবসাইটের জন্য তারা কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করে থাকে। বিভিন্ন Product বা সার্ভিস রিলেটেড কন্টেন্ট তারা তাদের ওয়েবসাইটে publish করে থাকে তাদের হায়ার করা কন্টেন্ট রাইটারদের দ্বারা। এছাড়াও অনলাইন News Portal সাইটগুলোতেও বিভিন্ন কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ রয়েছে, যারা কন্টেন্ট রাইটারদের হায়ার করার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট রাইটিং করিয়ে থাকে। চাইলে সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে জয়েন করার মাধ্যমে Job করা যেতে পারে। এছাড়াও অনলাইনে অনেক ধরণের Market Place রয়েছে যায় মধ্যে Fiverr অনেক বেশী জনপ্রিয়। Fiverr এ visit করে আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটার লিখে সার্চ করেন তাহলে দেখতে পাবেন অনেক কন্টেন্ট রাইটাররা এ সার্ভিসটিকে Provide করছে। বেসিক ধারণা দেওয়া শেষ এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক যে একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হতে গেলে কোন কোন বিষয় গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।Industry Selection:
একজন Expert কন্টেন্ট রাইটার কখনোই একাধিক প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করে থাকেনা। যেকোনো একটি বিষয়ের উপর ফুল ফোকাস করে কাজ করে এবং নিজেকে একজন Expert কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে করে গড়ে তুলে। এখন অনেক ধরনের industry রয়েছে যার থেকে আপনি Select করে নিতে পারেন, যেমনঃ Sports আপনার যদি Sports ভালো লাগে তাহলে আপনি Sports এর বিষয়গুলোকে নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটে কিংবা বিভিন্ন News Portal থেকে শুরু করে অনেক Sports রিলেটেড সেসমস্ত ওয়েবসাইটের হয়ে আপনি Sports রিলেটেড কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক ধরণের item রয়েছে যেমনঃ Food Blogging. আপনার যদি Food নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে তবে আপনি Food নিয়েও লেখালেখি করতে পারেন। Medical Science এর সম্পর্কে যদি আপনার ভালো মানের Knowledge থেকে থাকে তবে আপনি Health Care নিয়েও Blogging করতে পারেন। এই যে উপরে যেগুলো সম্পর্কে কথা বললাম এই প্রত্যেকটি হচ্ছে এক একটি Industry আপনার এর মধ্যে যে বিষয়টি ভালো লাগে সেই বিষয়ে আপনার কাজ শুরু করে দেওয়াটাই হবে বেস্ট। সর্বপ্রথমে কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করার পূর্বে চিন্তা ভাবনা করে সময় নিয়ে আপনাকে একটি নিদিষ্ট বিষয় বা Industry বাছাই করে নিতে হবে। Research For Content Ideas: Industry Select করার পর যতটুকু সম্ভব সেই Industry সম্পর্কে আপনাকে গবেষণা করে নিতে হবে সেই Industry related টপিক আইডিয়াগুলোকে খুঁজে বের ক্রে নিতে হবে। আপনি যতবেশি রিসার্চ করবেন ততবেশি টপিক আইডিয়া আপনি খুঁজে বের করতে পারবেন সেই বিষয়ের উপর। যা পরবর্তী সময়ে আপনার কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। Know Your Readers: একজন pro level কন্টেন্ট রাইটার খুব ভালোভাবে জানে যে তার reader কারা। তাদের পছন্দ কি তাদের অপছন্দ কি তাদের মধ্যে কত% Male কত% Female এই বিষয় গুলো একজন pro কন্টেন্ট রাইটারকে অবশ্য অবশ্যই জেনে নিতে হয়। তাই আপনি যে বিষয়টিকে বাছাই করবেন সেই বিষয়টির উপর কোন ধরনের মানুষদের ইন্টারেস্ট রয়েছে তাদের বয়স কত কোন বিষয় গুলা তাদের বেশী ভালো লাগে কোন বিষয় গুলা তাদের ভালো লাগেনা এই বিষয় গুলোর উপর ছোট খাটো একটু রিসার্চ করে নিবেন এবং সেই বিষয় গুলোকে ফেস করে আপনি কন্টেন্ট গুলো লিখবেন। তাহলেই আপনার Reader রা আপনার কন্টেন্ট পড়ে অনেক এনজয় করবে এবং নেক্সট টাইম আবার আপনার সাইট ভিজিট করবে এবং ভালো ধরণের ফিডব্যাকও দিবে। Pick a Topic: আপনাকে যেকোনো একটি স্পেসিফিক বিষয়ের উপরেই লিখতে হবে। এক কন্টেন্টের উপর একাধিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করা বাদ দিতে হবে। একটি Industry কে select করার পর গবেষণা করার মাধ্যমে অনেক গুলো টপিক আইডিয়া খুঁজে বের করতে হবে এবং এর পর প্রত্যেক টপিক এর জন্য একটি করে কন্টেন্ট Publish করতে পারেন। কিন্তু একটি কন্টেন্ট এর মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন না। এতে করে পাঠকরা কনফিউজড হয়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন যেঃ আপনি একটি আর্টিকেল লিখছেন যেখানে আপনি শেখাচ্ছেন যে How to write a blog post.? অর্থাৎ ওয়েবসাইটে কিভাবে ব্লগ পোস্ট করতে হয়।এটার মধ্যে সংক্ষিপ্তআকারে আমরা বলে দিতে পারি যে আর্টিকেলটি লেখার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটিকে শেয়ার করে দিতে হবে। কিন্তু কোন ভাবেই Facebook Marketing সম্পর্কে সেখানে এই ধরণের লেখা যাবে না। কারণ ব্লগ পোস্ট আর Facebook Marketing দুটোই ডিফারেন্ট টপিক। যেটার জন্য আলাদাভাবে আপনি একটি কন্টেন্ট লেখতে পারেন। কিন্তু How to write a blog post এই কন্টেন্টের মধ্যে যদি আপনি Facebook Marketing এর টোটাল বিষয় গুলো সম্পর্কে লিখতে যান তাহলে miscreat হয়ে যাবে এবং পাঠক বিষয়টিকে এনজয় করতে পারবে না।Simplicity:
একজন pro level কন্টেন্ট রাইটার তার কন্টেন্টগুলোর বিষয়বস্তুকে খুব সহজভাবে উপস্থাপন করে থাকেন। কমন শব্দ বা বাক্য গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে তিনি এই কাজটি করে থাকেন। রিলেভ্যান্ট ইমেজ বা গ্রাফিক্স ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার কন্টেন্ট এর বিষয়বস্তুকে খুব সহজভাবে উপস্থাপন করতে পারেন । কেননা মানুষ কখনোই তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করতে চায় না। যখন সে কোন কিছু পড়ছে তখন এর প্রভাব বেশী দেখা যায়। কোন ইংরেজি বাক্য পড়ার সময় বা কোন ইংরেজি বাক্য যখন সামনে আসে তখন বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে আর পড়তে ভালো লাগেনা কারণ সে বুঝতে পারছেনা বা তার বুঝতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবসময় নিজের কন্টেন্টকে সহজ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। যার জন্য চেষ্টা করবেন যেন সবচেয়ে সহজ শব্দ গুলো কমন ব্যবহৃত শব্দ গুলো ব্যবহার করা যায় এবং রিলেভ্যান্ট ইমেজ বা গ্রাফিক্স ব্যবহার করা যায়। ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে Free Stock Photo, Premium Graphic গুলো পাওয়া যায় যেগুলো আপনি ফ্রীতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। Review: একটি আর্টিকেল লেখা শেষ হয়ে গেলে সেটিকে পাঠকদের prospective এর থেকে বুঝার চেষ্টা করতে হবে। একজন পাঠক আর্টিকেলটি পড়ার পর তার মধ্যে কি ধরনের অনূভুতি সৃষ্টি হতে পারে তা ফিল করতে হবে। একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার আর্টিকেল লেখার সাথে সাথেই সেটিকে Publish করে না। কিছুটা সময় নিয়ে Review করার মাধ্যমে বুঝার চেষ্টা করে যে তার পাঠকদের মনে কেমন ধরণের ফিলিংস তৈরি হতে পারে। সবসময় কন্টেন্ট লেখা শেষ করবার পর সেটাকে ভালোভাবে Review করতে হবে পাঠকদের prospective থেকেও। এতে করে Log tram এ আপনার কন্টেন্ট রাইটিং quality অনেক বেশী improve হয়ে যেতে পারে এবং এর ফলে আপনি আপনার পাঠকদের মনোভাব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। Try Different Styles একাধিক স্টাইল এ কন্টেন্ট লেখার চেষ্টা করুন। একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার একাধিক স্টাইল এ কন্টেন্ট লিখতে পারেন। বাজারে হাজার হাজার বই রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন ধরনের লেখক বা লেখিকারা লিখেছেন আপনি কয়েকজন লেখকের নাম জানেন। হাতেগোনা কয়েকজন কারণ তারা অন্য সবার থেকে ভিন্ন। তাদের লেখার স্টাইল ভিন্ন। তাদের কন্টেন্টগুলোও ভিন্ন। একটি Uniqueness আছে। ঠিক একিভাবে প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটাররা একাধিক স্টাইলে ফলো করে থাকেন তাদের কন্টেন্ট এর মধ্যে। এবং খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন কোন স্টাইলটি পাঠকেরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছে। তাই যতি টপিক আপনি খুঁজে বের করবেন প্রতিটি টপিকের জন্য একাধিক বিভিন্ন ধরনের কৌশল বা স্টাইল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন বুঝার চেষ্টা করবেন যেখানে কোন স্টাইলটি আপনার পাঠকগণ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছে। বিভিন্ন ধরনের স্টাইল এপ্লাই করে করে গবেষণা করে দেখবেন যে কোন স্টাইলটি আপনার জন্য বেস্ট হচ্ছে। Set a Schedule কন্টেন্ট রাইটিং করা জন্য একটি রুটিন সেট করতে হবে সেটা হতে পারে সপ্তাহে ৩ দিন বা ৪ দিন এবং প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা বা ৪ ঘণ্টা এমন যেকোনো একটি রুটিন সেট করে নিতে হবে। প্রত্যেকটি প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার একটি রুটিন মেইনটেইন করে থাকেন। কোন কাজে যখন ধারাবাহিক বজায় রাখা যায় তখন এই কাজ থেকে একটি রেজাল্ট অবশ্যই দেখা যায়। অবশ্যই একটি রুটিন মেইনটেইন করবেন। এই যে আটটি স্টেপ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করলাম এগুলোই কিন্তু একমাত্র উপায় নয় কন্টেন্ট রাইটার হয়ার। আর অনন্য স্টেপ ফলো করুন। নিজের কিছু স্টেপ ব্যবহার করুন এবং আপনার কাজে একটি ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন তাহলেই আপনি একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে নিজেকে বিল্ট করতে পারবেন।What's Your Reaction?