ফটোশ্যুট এ এতো উন্মুক্ত ছবি কিভাবে উঠান তারা
ফটোশ্যুট এ এতো উন্মুক্ত ছবি কিভাবে উঠান তারা
ফটোশ্যুট যদি চলমান চিত্রের মতই কথা বলে যায় তখন একটি ছবিতেই বুঝিয়ে দেয়া যায় নাইকার অভিব্যক্তি। এক্সপ্রেশান, পোজ, বডি ল্যাঙ্গুইজ দিয়েই অনেক গল্প বলতে চান ফটোগ্রাফার তথাগত ঘোষ। বেশ কিছুদিন ধরে নাইকারা তাঁর ক্যামেরায় ধরা দেন সাহসী ভূমিকায়। কিভাবে তৈরি হয় নায়িকা-ফটোগ্রাফারের এই কেমেস্ট্রি? সবার প্রথমে একটা মুড বোর্ড তৈরি করা হয়। ছবি তোলার আগেই মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। অনেক সময় আবার নাইকাদের আপত্তি থাকেও, সেক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে-ই ছবি তোলেন, কারণ নাইকাদের কমফোর্ট জোনে না দিলে ছবিতে আত্মবিশ্বাস এর অভাব থেকে যায়। অনেক নাইকাদের সঙ্গেই তিনি কাজ করেছেন। তার মতে একজন চিত্রগ্রাহক এর প্রতি নাইকার সবার আগে বিশ্বাস তৈরি হয়াটা জরুরি। তবে সেই নিজের খুত খোলা মনে চিত্রগ্রাহক কে জানাতে পারেন। নাইকারা খুব প্রোফাইল কনশাস থাকেন আর কোনোভাবেই তারা অন্য প্রোফাইল ছবিতে দেয় না, কারোর আবার জিম না করার জন্য ওয়েট পুট অন করায় বিশেষ পোশাকে থাকে সমস্যা। সেক্ষেত্রে সেট আপ বদল করাতে হয় কিংবা নতুন বিষয় ভাবতে হবে। নায়িকা-ফটোগ্রাফার বণ্ডিংটিই আসলে প্রতিফলিত হয় প্রতিটি ছবিতে। তথাগতর মতে ‘নায়িকাদের রাজি করানো অবশ্যই একটা বিশাল ব্যপার। নাইকা নতুন কিছু ট্রাই করলে বা এই পোশাকে তাকে ভাল লাগবে সেটা বোঝানোর জন্য একটা ওয়ার্কশপ ক্রিয়েট করতে হয়। আগে থেকে রেফারেন্স ছবি পাঠিয়ে প্রথমে বোঝানো হয়।’ রাইমার সঙ্গে নতুন তোলা তার ছবি ঘিরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। তথাগতর মতে ‘রাইমার ছবি তোলার সময় তার চোখ কথা বলে। সবথেকে বেশি কমেন্ট আসে চোখ নিয়ে। সেক্ষেত্রে আই মেকআপে জোর দেওয়া হয়। ভাইরাল হতে আর সময় নেয় না। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেও তিনি বহুদিন ধরে কাজ করেছেন। প্রিয়াঙ্কা একটা ছবি তোলার ক্ষেত্রেও ততোটাই নিবেদিত প্রাণ যতটা একটা চরিত্র এর জন্য। একটা ছবির জন্য ঝাঁপ দিতে বললেও দিয়ে দিতে পারে এমন তিনি। প্রিয়াঙ্কা আগে থেকেও ভাবে, পড়াশোনা করে, নিজে থেকে ইনপুট দেয়, যেটা ছবিকে অন্য মাত্রা এনে দেয়। জয়া এহসানের সুন্দর বডি ফিগার আর নিজের প্রতি খুব যত্ন নেন তাই তাকে ক্যামেরায় ধরলেই ছবি হয়ে যায়।What's Your Reaction?