ঠিক কি হয় 'শ্লীলতাহানির পরে'?
মল্লিকা সেনগুপ্তের উপন্যাস 'শ্লীলতাহানির পরে' অবলম্বনে ছবি নির্মাণ করেছেন পরিচালক রেশমি মিত্র। ছবির গল্প সম্পর্কে পরিচালক নিজেই বলেছেন, মল্লিকা সেনগুপ্তের এই উপন্যাসটি পড়ার ভিতর থেকেই তাগিদ অনুভব করেছি এটা নিয়ে সিনেমা বানানোর জন্য। তার থেকেও বড় কথা আমাদের সমাজে এখনও মেয়েদের হেয় করা হয়। মুখে সমান অধিকার বললেও নারীদের প্রাপ্য সম্মান দিতে আমরা রাজি নই।'
তিনি আরও বলেছেন, 'ছবির মুল গল্পকে ধরে ছবি নির্মাণের চেষ্টা করেছি। সাহিত্য নির্ভর ছবি। সাহিত্য বরাবরই আমাকে টানে। '
তবে পরিচালকের কথা ধরলে সিনেমা বিশ্লেষণ করা যায় না। আমি সিনেমাবোদ্ধাও নই। নিজের ভাষায় বলি, ছবিতে দেখা যায় অফিস বসের নজর পরেছে মেয়ে চাকুরীজীবীর উপর। রয়েছে ধর্ষণের ঘটনাও। যদিও তা সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয় নি। অফিস বসের বউ আবার একজন সৎ ও রাজনৈতিক নেত্রী। স্ত্রী নিজের জগতে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নেয় এই বস। মেয়ে দেখলেই যেন তার চক্ষু লোভাতুর হয়ে ওঠে। নিজের কামনায় বস করতে চায় এই বস যেকোনো মেয়েকেই। এরকম করতে করতে একসময় ধরাও পরে সে বউয়ের কাছে। কিন্তু ততক্ষণে বউ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় স্বামীকে বাচাবে নাকি তার পার্টির দাদার নির্দেশ শুনবে? এইদিকে ধর্ষিত নারী থানায় এসে এফআইআর করেন এবং জানান এর শেষ দেখে ছাড়বেন! এভাবেই নানা রহস্য ও জালের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে যায়।
ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবনীলা কুমার। তাকে দেখা যাবে একজন ব্যান্ড ভোকালিস্টের চরিত্রে।আর তারই শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বরেণ্য সৌমিত্র চট্টপাধ্যায়।