কৃত্রিম উপায়ে ল্যাবে তৈরি হল মাতৃদুগ্ধ!
কৃত্রিম উপায়ে ল্যাবে তৈরি হল মাতৃদুগ্ধ!
মাতৃদুধের বিকল্প নেই, নবজাতকের পুষ্টি, বৃদ্ধি ও যাবতীয় বিকাশের জন্য সকল প্রয়োজন মায়ের দুধ থেকেই পাওয়া যায়। তাই জন্মের পরে, যত দ্রুত সম্ভব শিশুকে মায়ের দুধ পান করানো জরুরি। নবজাতকের জন্মের পরে, প্রথম ঈষৎ হলুদ বর্ণের যে গাঢ় দুগ্ধ নিঃসৃত হয়, তাকে ‘কলোস্ট্রাম’ বলা হয়। ‘কলোস্ট্রাম’ শিশুর পক্ষে খুব উপকারী। কারণ, এতে পুষ্টিগুণ ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ‘ইমিউনোগ্লোবিউলিন’ থাকে, যা শিশুকে ভবিষ্যতে কয়েকটি রোগ থেকেও মুক্ত রাখে। শুধু তাই না, মায়ের বুকের দুগ্ধ সহজপাচ্য আর যে তাপমাত্রায় পান করানো দরকার, সে তাপমাত্রাতেই পাওয়া যায়। তাই এটি নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত। বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের ক্ষেত্রেও এটি সমানভাবে উপকারী। তবে অনেক ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিড পাবার থেকে বঞ্চিত হন শিশুরা ৷ কখনো দেখা যায় নিরুপায় হয়ে আবার কখনো অপুষ্টির কারণে যথাযথ দুগ্ধ উৎপাদন ব্যহত হওয়ার কারণে অনেক মা বিকল্প পদ্ধতি নিতে বাধ্য হন। সে সমস্যা দূর করতে এবার যুগান্তকারী আবিষ্কার করে ফেলেছে BIOMILQ ৷ সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ল্যাবের মধ্যে বানানো হয়েছে সেল-কালচার্ড হিউমান মিল্ক ৷ অর্থাৎ, মায়ের দুধের বিকল্পই বলা চলে এই দুধকে ৷ মাতৃদুগ্ধর গুণাগুণ সম্পন্ন দুধ এবার তৈরি হবে ল্যাবরেটারিতেই আর পরীক্ষাগারে বানানো এই দুধ উপকারিতার দিক থেকে কোনো অংশে কমও নয় ৷ দাবি করা হয়, এটি এমন কৃত্রিম উপায় তৈরি দুধ যার পুষ্টিগুণ নাকি মাতৃদুগ্ধ থেকে বেশিও৷ বিজ্ঞানীদের আশা আগামী তিন বৎসরের মধ্যে এই দুধ বাজারে পাওয়া যাবে ৷What's Your Reaction?