ক্রিমিনালের প্রতি যৌন আকাঙখা- সিনেমা নয় বাস্তব!
ক্রিমিনালের প্রতি যৌন আকাঙখা- সিনেমা নয় বাস্তব!
ক্রিমিনালের প্রতি প্রবল প্রেম, যার মধ্যে মিশে আছে যৌন টানও, তার গোড়ায় রয়েছে জটিল মনোস্তাত্ত্বিক কারণ। হিস্টোরি থেকে সাহিত্য, সর্বত্র উদাহরণ রয়েছে মন-প্রেমের। বৌদ্ধ যুগের ইতিহাস জানায়, শ্রেষ্ঠীকন্যা কুণ্ডলকেশা একদা নিজের বাড়ির বারান্দা হতে রাস্তায় প্রহরীদের দড়ি দিয়ে বাঁধা এক চোরকে নিয়ে যেতে দেখেছিলেন আর তা দেখেই প্রেমে মজেছিলেন। সেই প্রেম সুখের হয়নি। আবার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক শ্যামায় অপরাধী বজ্রসেন এর প্রেমে মজেছিল রাজনর্তকী শ্যামা, সে ভালোবাসাও শেষ হয়েছিল রক্তপাতে। সম্প্রতি, জুলিয়া কাসেল (Julia Kassel) নামে এক TikTok ইউজারও এমন এক প্রেমের কাহিনি পেশ করেছেন। এই প্রেমেও মিশে রয়েছে কেবলই হতাশা! জুলিয়া জানান যে, হাই-স্কুলে পড়ার সময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার দরুন আলাপ হয়েছিল, তিন মাসের আলাপচারিতায় রীতিমতো সেই ব্যক্তির প্রেমেও পরে যান তিনি! কিন্তু হঠাৎই একদিন উধাও হয়ে যান সেই প্রেমিক, কিছুতেই আর খোঁজ পাননি,যোগাযোগ করেননি! জুলিয়া এবার তার প্রেমের গল্প বন্ধুদের বলে আর ঐ ব্যক্তির খোঁজ এনে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। পাশাপাশি, নিজেও তিনি খুঁজতে থাকেন ঐ ব্যক্তিকে। কিন্তু যখন খোঁজ পেলেন, তখন যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তার! জানতে পারেন জুলিয়া, ঐ ব্যক্তি আপাতত একটি থানায় কারাবন্দী আছেন! প্রেমিক ঠিক কি অপরাধে থানায় গিয়েছিলেন, তা জুলিয়া ফাঁস করেনি। তবে তিনি নিজে এরপর কী করেছিলেন, তা ভক্তদের অনুরোধে আরেকটি ভিডিওতে প্রকাশ করেন। জানান যে শুধু ঐ ব্যক্তিকে একবার দেখার জন্য তিনি স্কুলের ল' সোসাইটিতে যোগ দেন। কেন না তিনি জানতেন যে স্কুল থেকেই ঐ সোসাইটির সদস্যদের শিক্ষামূলক অভিযানে থানাতে নিয়ে যাওয়া হবে, তারা কিছু ক্রিমিনালের সঙ্গে কথাবার্তা'র সুযোগও পাবেন! নির্দিষ্ট দিনেই স্কুল থেকে ঐ থানায় পৌঁছে যান জুলিয়া, যেখানে তাঁর ক্রিমিনাল প্রেমিক বন্দী ছিলেন। কিন্তু তার পরে তর আশা আরোও প্রবল হয়ে ওঠে। তিনি শুনলেন যে মেয়েদেরকে শুধু মহিলাদের সাথেই কথা বলতে দেওয়া হবে, পুরুষবন্দীদের সাইডে যাওয়ার অনুমতি তাদের দেয়া হয়নি। নিজের ছেলেবেলার এই প্রেমের ঘটনা শেয়ার করে সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন জুলিয়া, "অপরাধীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো কখনই উচিত নয়, বিশেষ করে তো স্কুলপড়ুয়াদের"।What's Your Reaction?