কিভাবে সন্তান জন্মানোর তিনমাসের মাথায় ছিপছিপে হয়েছিলেন, জানালেন নুসরাত
                                                
                                                    
                                                                             
                                                                                                     
                        
                                        
                            
                        
        
                        
                            গত বছরের এই সময়টিতে গোটা টালিউডপাড়া ছিল সরগরম নুসরাত ও যশের সন্তানকে ঘিরে। নানা জল্পনা কল্পনা এবং নেটিজেনদের সমালোচনা সবকিছু উতরে এক বছর পার করেছেন এই দম্পতি।
এদিকে সন্তান জন্ম দেয়া ও প্রেগন্যান্সির সময়গুলোতে ওজন বাড়ে অস্বাভাবিক গতিতে। প্রেগন্যান্সির এই মেদ কমানো মোটেই সহজ ব্যাপার নয়৷ তবে এ যেন নায়িকা নুসরাতের জন্য সত্য নয়। তুড়ি মেরেই তিনি কমিয়ে দিয়েছেন, প্রেগন্যান্সির আগে যা ছিল ৪৭ তা প্রেগন্যান্সির সময়ে দাঁড়ায় ৭৫ এ। তবে এসবই এখন নুসরাতের জন্য অতীত। এখন তিনি আগের চেয়েও ফিট এবং আকর্ষণীয়। এমন অসাধ্য কিভাবে সাধন করলেন নুসরাত। এই প্রশ্নের জবাবে নিজের নয়, বরং পুরো কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন স্বামী যশ দাশগুপ্তকে। নুসরাতের ভাষায়, আসলে অই সময়টা পুরোদমে উপভোগ করেছি। ছেলে জন্মানোর পরই কাজে যোগ দেই এতে রাজি ছিলেন না আমার স্বামী ও বাবা-মা। ওদের মনে হচ্ছিল আমি নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবছি না। তবে আমার মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যপারে আমি সম্পূর্ণ এলার্ট ছিলাম। প্রথম দিকে অল্প অল্প করে কাজ শুরু করি। কাজে যেতাম, ফিরে এসে সন্তানকে খাওয়াতাম, তারপর আবার কাজ। সময়গুলো ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে অসম্ভব ছিল না। প্রসব পরবর্তী ডিপ্রেশনের কাছে হার মানিনি আমি।
ওজন কমানোর বিষয়ে নুসরাত বলেন, যখন আমি আট মাসের গর্ভবতী তখন আমি ক্রেজি হরমোনের পাল্লায় পড়ি। আমার ওজন তখন ৭৫। যার ফলে সারাক্ষণ আমি যশকে দুশতাম যে তোমার জন্য আমার ওজন বেড়েছে৷ তবে যশ কথা দিয়েছিল চিকিৎসকের সম্মতি পেলেই ও আমাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিবে। এখন আমি গর্বিত আগের চেয়েও ফিট আমি। জিম আমাদের জীবনের বিরাট অংশ এবং আমি এই বিষয়ে যশের বাধ্যগত ছাত্রী৷