কুড়িগ্রামে মিললো সাপ খেকো মানুষ!
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় 'বাংলার বিয়ারগ্রিল' নামে পরিচিত মোজাহার মিয়া। পেশায় একজন দিনমজুর হলেও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, বিচ্ছু, কাচাঁ গরুর মাংস, ভুড়ি এসব খেয়ে থাকেন বিগত ১৫ বছর ধরে।
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় 'বাংলার বিয়ারগ্রিল' নামে পরিচিত মোজাহার মিয়া। পেশায় একজন দিনমজুর হলেও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, বিচ্ছু, কাচাঁ গরুর মাংস, ভুড়ি এসব খেয়ে থাকেন বিগত ১৫ বছর ধরে। খেয়ে থাকেন ব্যাঙও। যার ফলস্বরুপ সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার পাশাপাশি নিজের সংসার টিকানোই দায় হয়ে উঠেছে মোজাহার মিয়ার। কিন্তু চাইলেও দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না তিনি।
মোজাহার মিয়া সাপ খেকো মানুষ হলেও তিনি কোন সাপুড়ে নন কিংবা সাপ খেলাও দেখান না। সাপে কাটা রোগীর সন্ধান পেলে বা কোন বাড়ি থেকে ডাক পেলে ক্ষত থেকে বিষ তুলে নেন তিনি। বাড়িতে সাপের উপদ্রব হলেও ডাক পড়ে মোজাহার মিয়ার। যদিও বিনিময়ে কোন চাহিদা তার নেই। যে যা খুশি হয়ে দেন, তাই নেন।
মোজাহার মিয়া বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, বিচ্ছু, কাচাঁ গরুর মাংস, ব্যাঙ এসব খেয়ে সমাজে সমালোচনার পাত্র হয়েছেন। সাপ খাওয়ার কারণে দাম্পত্য জীবনেও তিনি পড়েছেন নানা বিড়ম্বনায়। একাধিক বিয়েও করেও শেষ পর্যন্ত একাকীই জীবন পাড় করতে হচ্ছে মোজাহার মিয়াকে। মোজাহার মিয়া বলেন, "আমি যখন ক্লাস টু'তে পড়ি তখন থেকেই সাপ বিচ্ছু খাই। বিষাক্ত সাপের বিষ আমার খুবই পছন্দ। সাপ খেতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়লেও আমার মন মানে না। নেশায় পরিণত হয়েছে। এতে আমার কোন শারীরিক সমস্যা হয় না। অভাবের কারণে ছোটবেলায় খিদার জ্বালায় সাপ খাওয়া শুরু। সাপ খেলে এখনো খিদে মিটে যায়। আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই কিন্তু রোজগার নেই, খাবার জুটবে কেমনে?”
What's Your Reaction?