রায়হান রাফি'র 'দামাল' চলচ্চিত্র রিভিউ
হাউসফুল শো'তে সিনেমা দেখার সবচেয়ে বড় মজা হলো উদযাপনটা একসাথেই করা যায়। গুটি কয়েক দর্শকের সাথে সিনেমা দেখে সেই অনূভুতিটা আপনি হয়তো কখনোই পাবেন না৷ '
হাউসফুল শো'তে সিনেমা দেখার সবচেয়ে বড় মজা হলো উদযাপনটা একসাথেই করা যায়। গুটি কয়েক দর্শকের সাথে সিনেমা দেখে সেই অনূভুতিটা আপনি হয়তো কখনোই পাবেন না৷ 'দামাল' সিনেমাটি নিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের এই হৈ-হুল্লোড় আমার হয়তো অনেক দিন মনে থাকবে৷
মক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট আবার স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত 'দামাল'। এমন ক্ষেত্রে নির্মাতার সবচেয়ে বেশি চাপ থাকে ঘটনা প্রবাহের দিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে বিনোদনের বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়৷ তবে পরিচালক রায়হান রাফির সেন্স অফ হিউমারের প্রশংসা এক্ষেত্রে করতেই হয়৷ এই নির্মাতার পরাণ চলচ্চিত্রে গল্পের বাহিরে শুধু হাসির খোড়াক যেমনটা পেয়েছি, একই বিনোদন এই 'দামাল' চলচ্চিত্রেও পেলাম। গল্পে প্রতিটি ক্যারেক্টারের আলাদা স্বকীয়তা লক্ষ্য করা গেছে। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সাথে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এতো সুন্দর মেলবন্ধন দারুণ উপস্থাপনা।
'সিনেমার বিভিন্ন সময়ে জয় বাংলা স্লোগান একজন অতি সাধারণ মানুষকেও কিছুটা সময়ের জন্য যোদ্ধা তৈরি করবে। দামাল সিনেমায় এই দিকটা আমার চমৎকার লেগেছে৷ চিত্রনাট্যে হয়তো আরও ভালো কিছু করতে পারতেন সংশ্লিষ্টরা, তবে যেটুকু পেয়েছি তাতে পরিপূর্ণ বিনোদন ও নিজ দেশকে ভালোবাসার স্পৃহা তৈরি হয়।
অভিনয় শিল্পীরা সবাই যার যার জায়গায় সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছেন, তবে আমি আলাদা করে বলবো রাশেদ মামুন অপু এবং একেবারে শেষদিকে মীমের অসাধারণ সাহসিকতা, মীমের এই শেষের অসামান্য উপস্থিতি হয়তো তাকে সামনে আরও বেশি পরিপক্ব কাজ করতে সহায়তা করবে। এছাড়া ইন্তেখাব দিনারের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর গল্পের বর্ণনে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে৷
সবশেষে 'দামাল' সিনেমার গল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রতি রায়হান রাফি যে ট্রিবিউটটি দিয়েছেন তা প্রতিটি দেশপ্রেমিক ও যোদ্ধার জন্য অনুপ্রেরণার। এবং শুধু ট্রিবিউট দিয়েই কিন্তু শেষ করেন নি নির্মাতা, বরং জয় বাংলা হৃদয়ে ধারণ করে আমাদের নারীরা যেন আরও বেশি অবদান রাখতে পারেন স্ব ক্ষেত্রে, তার উৎসাহও তৈরি করেছেন।
রেটিংঃ ৭/১০
What's Your Reaction?