যে হোটেলে এক রাত থাকতে খরচ করা লাগে প্রায় 20 লক্ষ টাকা

পৃথিবীতে এমন অনেক হোটেল রয়েছে যেখানে থাকার জন্য আমাদের লাখ লাখ টাকা খরচ করা লাগে। এ ব্যাপারে আমরা সকলেই শুনেছি। কিন্তু আপনারা কি জানেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি হোটেল যেখানে থাকার জন্য আপনার এক রাতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া লাগবে। যে কথা বলছি দুবাইয়ে অবস্থিত বোজ খালিফার। 

যে হোটেলে এক রাত থাকতে খরচ করা লাগে প্রায় 20 লক্ষ টাকা

পৃথিবীতে এমন অনেক হোটেল রয়েছে যেখানে থাকার জন্য আমাদের লাখ লাখ টাকা খরচ করা লাগে। এ ব্যাপারে আমরা সকলেই শুনেছি। কিন্তু আপনারা কি জানেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি হোটেল যেখানে থাকার জন্য আপনার এক রাতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া লাগবে। যে কথা বলছি দুবাইয়ে অবস্থিত বোজ খালিফার। 

বিশ্বের সুপার লাক্সারি হোটেলের কথা উঠলেই সবচেয়ে আগে আসে দুবাইয়ের বুর্জ আল আরবের নাম। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং বিলাসবহুল হোটেল । এই হোটেলটিকে গোটা বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হোটেল বলেও মনে করা হয়। ২০০৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা অল স্যুট হোটেল হওয়ার পাশাপাশি বুর্জ আল আরব সবচেয়ে ব্যয়বহুল ককটেল তৈরি করার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও ভেঙেছে। এই ককটেলের দাম পড়ে প্রায় ২৭ হাজার ৩২১ এ ই ডি। এ ছড়া ২০১৬ সালে বুর্জ আল আরব হোটেলটি বিশ্বের বৃহত্তম টিন ক্যাভিয়ারও তৈরি করার রেকর্ড বানিয়েছিল। তবে বুর্জ আল আরব যত বেশি বিলাসবহুল, তার চেয়ে বেশি ব্যয়বহুলও বটে। দুবাইয়ের এই হোটেলের ভাড়া এতটাই যে, আপনি আপনার নিজের শহরে সেই টাকা দিয়েই একটা ফ্ল্যাট কিনে ফেলতে পারবেন। এক জন সাধারণ ছাপোষা মানুষ যদি দুবাই ঘুরতে যান, তা হলে সত্যিই দরিদ্র হয়ে ফিরবেন। এতটাই খরচ এখানে থাকা ও খাওয়ার। তাই সাধ থাকলেও সাধ্য সকলের হয় না। আর সকলেই সাহস করে এই হোটেলে গিয়ে থাকতে পারে না। 

এই হোটেলটি দেখলে রাজপ্রাসাদের কথা মনে পড়ে যাবে আপনার। এই হোটেলের স্তম্ভ থেকে দরজার হাতল পর্যন্ত সোনার আস্তরণ দিয়ে মোড়া রয়েছে। ঘরের ওয়ারড্রোব তো বটেই, এমনকি বাথরুমেও সোনার নানা কাজ করা হয়েছে। এই বুর্জ আল আরব হোটেলটির উচ্চতা প্রায় ৩২১ মিটার এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই হোটেলটি ১৪৮ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। বুর্জ আল আরবের নকশা করেছিলেন আতকিস। টম রাইটের নেতৃত্বে, হোটেলটি একেবারে একটি জাহাজের পালের মতো আকৃতির। এই অনন্য আকৃতিটি অবশ্য গোটা পৃথিবী জুড়ে আরও অনেক আকাশচুম্বী অট্টালিকার নকশাকে অনুপ্রাণিত করেছে। হোটেলের ভিতরের সকল সুযোগ সুবিধেই একেবারে আধুনিকতম বলা চলে। বুর্জ আল আরব হাই টেক সুবিধা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানে মোট ২০২টি স্যুট রয়েছে। সবচেয়ে ছোট স্যুটটি ১৬৯ বর্গ মিটার এবং সবচেয়ে বড় স্যুটটি ৭৮০ বর্গ মিটার। এখানে রয়্যাল স্যুটের এক দিনের ভাড়া পড়ে ১৭,৭০,৩৭১ টাকা। অন্যান্য স্যুটগুলির ভাড়া শুরু হয় ৫,১৬,৩৫৮ টাকা থেকে। 

এই হোটেলের দেওয়াল এবং মেঝেতে ৩০টিরও বেশি ধরনের স্ট্যাচুরিয়া মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সেই ধরনের মার্বেল যা বিখ্যাত ইতালিয় শিল্পী মিকেলাঞ্জেলো ডেভিডের মূর্তি তৈরি করতে ব্যবহার করেছিলেন। এই হোটেলটির ১৮ তম তলায় একটি স্পা রয়েছে, যা আরব উপসাগর থেকে প্রায় ১৫০ মিটার উপরে অবস্থিত। আসলে এই বিলাসবহুল টেলি স্পা এখানে আসা অতিথিদের অত্যন্ত আরাম প্রদান করে। এখান থেকে দুবাই শহরের পুরো ভিউ আসাধারণ সুন্দর দেখতে লাগে। আকাশছোঁয়া এই রেস্তরাঁ ছাড়াও এই হোটেলে সমুদ্রের নীচেও রয়েছে আর একটি রেস্তোরাঁ। সেই রেস্তরাঁর নাম ‘আলমাহারা’। সমুদ্রের নীচের এই আলমাহারা রেস্তরাঁয় এমন একটি অ্যাকোয়ারিয়াম রয়েছে, যা প্রায় ৯৯ লক্ষ লিটার জলে পরিপূর্ণ। এছাড়াও বুজ খলিফা তে আসা অতিথিদের জন্য বিনোদনের অনেক ব্যবস্থা রয়েছে যেমন মিউজিয়াম মুভি থিয়েটার বার কেসিনো ইত্যাদি ইত্যাদি।

এছাড়া আমাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি হোটেল হল রেডিসন যেখানে প্রিমিয়াম রুম এর দাম শুরু হয় ১১৬ ডলার থেকে। এবং সবচেয়ে দামি রুম হলো ২৬০ ডলার। আমাদের অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীরা তাদের ছুটির সময় গুলো কাটানোর জন্য এই বিলাস বহুল হোটেল গুলোকেই বেছে নেয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow