মেক্সিকোতে পাওয়া গেল এলিয়েন মোমের খোঁজ

গত বৃহস্পতিবার পুরো বিশ্বের সামনে এসেছে অদ্ভুত দুটি মমি। এই মমির চেহারা পৃথিবীতে বসবাসকারী কোনো প্রাণীর মতো নয়।

মেক্সিকোতে পাওয়া গেল এলিয়েন মোমের খোঁজ

গত বৃহস্পতিবার পুরো বিশ্বের সামনে এসেছে অদ্ভুত দুটি মমি। এই মমির চেহারা পৃথিবীতে বসবাসকারী কোনো প্রাণীর মতো নয়। মেক্সিকোর কংগ্রেসে বড় বড় রাজনীতিকদের সামনে মমি দুটি উপস্থাপন করেন জেইমি মওসান নামের এক সাংবাদিক। এই ঘটনার পর পরই বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে। জেইমি মওসানের দাবি, তিনি ওই আড়াই থেকে তিন ফুট উচ্চতার কঙ্কালগুলো পেয়েছিলেন ২০১৭ সালে। পেরুর প্রাচীন নাজকা লাইন এলাকা থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি এর কার্বন ডেটিং করেছেন বলেও জানান তিনি। কার্বন ডেটিংয়ে দেখা গেছে এই বস্তুগুলো প্রায় ১০০০ বছরের পুরোনো। বৃহস্পতিবারই অবশ্য এ নিয়ে মুখ খুলেছে নাসা কর্তৃপক্ষ। সেদিন আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট বা সংক্ষেপে ইউএফও বা সংক্রান্ত গবেষণায় একজন ডিরেক্টর নিয়োগ নিয়ে বৈঠক করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সেখানেই মেক্সিকোর ওই মমি নিয়ে উপস্থিত বিজ্ঞানীদের প্রশ্ন করা হয়। নাসার ইউএফও ডিপার্টমেন্টের চেয়ারপার্সন, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের সাবেক প্রধান ডেভিড স্পারগেল বলেন, আমি বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে দেখেছি। যখন আপনি কোনো অদ্ভুত কিছু দেখেন, সেটা অন্যদের সঙ্গেও শেয়ার করা উচিত। ওই গবেষকের মতে, এই বিষয়টি মেক্সিকোর মমি কী, কী তার ধরন, তা আমরা জানি না। নমুনাটি বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলের সামনে পেশ করলে তা নিয়ে গবেষণা করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার মমি দুটি সবার সামনে এনে জেইমি মওসান দাবি করেছিলেন, পৃথিবীর বাইরে যে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণী রয়েছে তা ‘প্রমাণতি’। তার দাবি, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমরা একা নই। এদিকে বৃহস্পতিবার নাসা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, এর মূল বিষয়বস্তুই ছিল মহাকাশে এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে নাকি নেই? সারা পৃথিবীর অনেকেই আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে ছিলেন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই রিপোর্টের দিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব একটা সন্তোষজনক কিছু মেলেনি ওই প্রতিবেদনে। অর্থাৎ এলিয়েনের উপস্থিতির তারা কোনো প্রমাণ পাননি; কিন্তু আবার এই সম্ভাবনা উড়িয়েও দিতে পারছে না নাসা।

দীর্ঘ এক বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার পর ৩৬ পৃষ্ঠার যে রিপোর্ট নাসা দিয়েছে তার অধিকাংশই বিভিন্ন কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ে পূর্ণ। মহাকাশে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বস্তুর নড়াচড়া চোখে পড়ে বলে দাবি করা হয়। এগুলোকে ইউএফও হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক প্রধান স্পারগেল এই বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

স্পারগেল বলেন তিনি এমন কিছু এক্স হ্যান্ডেলে দেখেছেন। তবে এই নমুনার প্রকৃতি সম্পর্কে তাঁরা কিছু জানেন না। মেক্সিকো সরকারের উদ্দেশে স্পারগেল বলেন আপনাদের কাছে যদি অদ্ভুত কিছু থেকে থাকে, তবে নমুনাগুলো বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের কাছে সহজলভ্য করুন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow