ভূত বা আত্মা দেখার অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে?

ভূত, অশরীরী, প্রেত। এই সব শব্দের সঙ্গে কমবেশি সকলেই আমরা পরিচিত। কেউ ভূতে বিশ্বাস করে, কেউ আবার খুব জোরের সঙ্গে বলে ভূত বলে কিছু নেই। ভূতে ধরা নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। তো আজকে আমরা এই সকল বিষয় নিয়েই কথা বলব চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।  

ভূত বা আত্মা দেখার অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে?
ভূত বা আত্মা দেখার অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে?

ভূত বা আত্মা দেখার অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে?

ভূত, অশরীরী, প্রেত। এই সব শব্দের সঙ্গে কমবেশি সকলেই আমরা পরিচিত। কেউ ভূতে বিশ্বাস করে, কেউ আবার খুব জোরের সঙ্গে বলে ভূত বলে কিছু নেই। ভূতে ধরা নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। তো আজকে আমরা এই সকল বিষয় নিয়েই কথা বলব চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।  

ভূত বা অতিলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা অসংখ্য। পশ্চিমা দেশেও ব্যাপক মাত্রায় রয়েছে ভূত বিশ্বাস। ভৌতিক ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা কি সত্যিই বাস্তব। এ বিষয়ে পরিচালিত হয়েছে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা। বিষয়টি নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন বিজ্ঞানবিষয়ক ফ্রিল্যান্স লেখক ক্যাথরিন হিউলিক। সায়েন্স নিউজ ফর স্টুডেন্টসে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি কিছুটা সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর করেছেন সঞ্জয় দে। আবছায়া কেউ একজন যেন দরজা গলে ছুটে এলো। ডোমের বয়স তখন মাত্র ১৫ বছর, তরুণ বয়সেও সেদিনের স্মৃতি একদম পরিষ্কার। যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা ডোম বলছিলেন, ‘ছায়ামূর্তির শরীর বলতে শুধু একটি কঙ্কাল। সাদাটে ঝাপসা আভায় বেষ্টিত। দেহটি খুব নড়ছিল, মনে হয়নি ওর কোনো মুখ আছে। আমি আতঙ্কে চোখ বন্ধ করে দিলাম। মাত্র এক সেকেন্ডের জন্য ওকে দেখেছি। ডোম সেদিন যা দেখেছিলেন, তা কি একটি ভূত ছিল? 

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও লোকবিশ্বাসে ভূত বা আত্মা হলো একজন মৃত ব্যক্তি, যিনি সজীব বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। বিভিন্ন গল্পে ভূত ফিসফিস করে বা কান্নাকাটি করতে পারে, জিনিসপত্র নাড়াচড়া করতে বা ফেলে দিতে পারে, ইলেকট্রনিকস সামগ্রীতে গণ্ডগোল বাধাতে পারে; এমনকি একটি ঝাপসা অবয়ব নিয়ে দৃশ্যমান হতে পারে। ভূতের গল্পগুলো বেশ মজার, বিশেষ করে হ্যালোইনসংক্রান্ত গল্পগুলো। তবে কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন, ভূত বিষয়টি বাস্তব। ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ চ্যাপম্যান পরিচালিত একটি সমীক্ষায় অতীন্দ্রিয় বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। জরিপে অংশ নেয়া ৫৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন, বিশেষ কোনো স্থান বিদেহী আত্মার মাধ্যমে ভুতুড়ে হয়ে যেতে পারে। ওয়াশিংটন ডিসির পিউ রিসার্চ সেন্টার পরিচালিত আরেক জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে প্রায় একজন বলেছেন, তারা ভূত দেখেছেন বা ভুতুড়ে পরিবেশে ছিলেন। 

বাড়িতে ভূত থাকার লক্ষণ, যে বাড়িতে ভূত আছে, সেখানে অনেক সময় দেখা যায়,বন্ধ ইলেক্ট্রিক সুইচ হঠাত্ করে জ্বলে উঠল। বাল্‌ব হঠাত্ করে জ্বলে উঠল।

হঠাৎ মনে হল, কোনও একটা ছায়া ঘরের এক দিক থেকে অন্য দিকে চলে গেল। পিছু নিয়ে দেখা গেল, কোথাও কিছু নেই।

যে বাড়িতে ভূত আছে সেখানে দেখা যায়— অচেনা, অপরিচিত অনেক জিনিসপত্র কে যেন ফেলে গিয়েছে। বন্ধ ঘর খোলার পর দেখা গেল জিনিসপত্র বা আসবাবপত্রের স্থান পরিবর্তন হয়ে আছে।

এই ধরনের বাড়িগুলোতে মিটমিট করে জ্বলা আলোতে একটা কুয়াশা মতো কিছু একটা আস্তে আস্তে সরে যেতে দেখা যায়।

বাড়ির কোনও একটা ঘরে বা স্থানে হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঠান্ডার অনুভূতি হয়।

বাড়িতে পোষা জীবজন্তু যেমন কুকুর বা বেড়াল থাকলে হঠাৎ করে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। গভীর রাত্রে বা দুপুরে কোনও কারণ ছাড়া কুকুর বা বেড়াল ডাকতেই থাকে। বাড়ির দেওয়ালে নানা ভাবে বিশ্রী রকম আঁচরের দাগ, বা কাঠের আলমারি বা কাঠের কোনও আসবার পত্রে খোদাই করা কোনও বিকৃত ছবি। এই সব বাড়িতে অনেক সময় দেখা যায়— পোষা কুকুর, বেড়াল বা টিয়া পাখিকে রাত্রিবেলা ঘেরা জায়গায় কেউ বা কারা মেরে ফেলেছে।

ইসলামের মতে মানুষ সৃষ্টির প্রায় দুই হাজার বছর আগেই জিনরা পৃথিবীতে আসে বলে জানা যায়। জিনদের আদি পিতা সামুম। জিন তৈরি করে আল্লাহ সামুমকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তুমি আমার কাছে কিছু কামনা করো। সামুম দুটি বিষয় কামনা করেছিলেন। এক. জিন মানুষকে দেখতে পারবে কিন্তু মানুষ জিনকে দেখতে পারবে না। দুই. জিনরা বৃদ্ধ বয়সে যুবক হয়ে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহপাক সামুমের দুটি চাওয়া পূরণ করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow