ভারতের এমন একটি জায়গা যেখানে গর্ভবতী হতে যান ইউরোপিয়ান নারীরা

আপনারা কি জানেন ভারতে এমন একটি মফস্বল গ্রাম রয়েছে যেখানে এখনো সভ্যতার আলো পৌঁছায় নেই। কিন্তু ইউরোপিয়ান নারীরা সেখানে যায় সেখানকার পুরুষদের সাথে সহবাস করে গর্ভধারণ করতে। জি বন্ধুরা আপনারা একদম ঠিক শুনেছেন আজকে আমরা সেই গ্রাম সম্পর্কে জানব। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক। 

ভারতের এমন একটি জায়গা যেখানে গর্ভবতী হতে যান ইউরোপিয়ান নারীরা
ভারতের এমন একটি জায়গা যেখানে গর্ভবতী হতে যান ইউরোপিয়ান নারীরা

আপনারা কি জানেন ভারতে এমন একটি মফস্বল গ্রাম রয়েছে যেখানে এখনো সভ্যতার আলো পৌঁছায় নেই। কিন্তু ইউরোপিয়ান নারীরা সেখানে যায় সেখানকার পুরুষদের সাথে সহবাস করে গর্ভধারণ করতে। জি বন্ধুরা আপনারা একদম ঠিক শুনেছেন আজকে আমরা সেই গ্রাম সম্পর্কে জানব। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক। 

কার্গিল থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামটির নাম হল আর্য উপত্যকা। ভারতের লাদাখে এমন একটি জায়গা আছে সেখানে নাকি আর্যরা বাস করে। আর্যদের মধ্যে ব্রাকাপা উপজাতির লোকেরা এখনও আছেন, আর তাদের চাহিদা তুঙ্গে। এই কারণেই মহিলারা এখানে আসতে এবং গর্ভবতী হতে পছন্দ করেন। এখন এখানে একটি ব্যবসাও গড়ে উঠেছে। গর্ভবতী হওয়ার জন্য মহিলাদের এখানে টাকা দিতে হয়। এমনকি আর্য গোত্রের লোকদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য ওখানকার মানুষকে টাকা দিতে হয়। এখানকার লোকেরা নীল চোখের সাথে চেহারায় অন্যান্য লোকদের থেকে আলাদা এবং স্বাভাবিকের চেয়ে লম্বা। বলা হয়, ইউরোপ থেকে মহিলারা মা হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এই আর্য উপত্যকায় আসেন। এরপর গর্ভবতী হওয়ার পর তারা দেশে ফিরে যায়। ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা জানতে পারি ভারতে পরাজিত হয়ে যখন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ফিরে এসেছিলেন, তখন তার সেনাবাহিনীর কিছু লোকজন এই গ্রামেই থেকে গিয়েছিল। যে গ্রামে তারা থাকতো তার নাম আরিয়ান ভ্যালি বা আর্য উপত্যকা। তাদের ব্রোকোপা উপজাতি সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং বলা হয়, তারা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনীর বংশধর। আরিয়ান ভ্যালি গ্রামটি এখন এই উপজাতির জন্য সারা বিশ্বের কাছে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মতই দীর্ঘকায়, পুরুষালী চেহারা ও নীল চোখের মত সন্তান লাভের আশায় ইউরোপের নারীরা এই গ্রামে আসেন। তাদের বিশ্বাস যে, এখানকার পুরুষদের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে তারা গর্ভবতী হলে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট-র মত সন্তান জন্ম দেবে। এখানে আসা ইউরোপীয় মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার জন্য এই ব্রোকোপা উপজাতি পুরুষদের মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে থাকে। যদিও এখন এটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। গর্ভবতী হওয়ার পর নারীরা তাদের দেশে ফিরে যায়। দাবি করা হয়, যে আজও আর্য উপত্যকায় ২০০০ এর বেশি আর্য উপজাতির মানুষ বাস করে। এসব মানুষের পোষাকও অনেক আলাদা। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই রঙিন এবং খুব আলাদা ধরনের পোশাক পরেন। এই গ্রামটিতে পৌঁছানো বেশ কষ্টসাধ্য। কোন বাস বা গাড়িতে একবারে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব নয়। বেশ কয়েকটি ধাপে সেখানে পৌঁছাতে হয়। এছাড়াও এই গ্রামটিতে এখনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই। কাজ করে না মোবাইল নেটওয়ার্কও। সেখানকার রাস্তাঘাট ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও তেমন একটা উন্নত নয়। তবুও এই গ্রামটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউরোপিয়ান নারীদের কাছে। এছাড়াও আপনারা জেনে অবাক হতে পারেন সেই ইউরোপের অনেক ধনী ধনী নারীরাও এই ছোট্ট অজানা গ্রামটিতে আসে গর্ভবতী হতে। অবশেষে এত কিছু জানার পর এটা না বলে থাকা সম্ভব না যে এই ছোট্ট গ্রামটির পুরুষদের ভাগ্য পৃথিবীর অনেক ধনী ধোনি পুরুষদের ভাগ্যর তুলনায় অনেক বেশি ভালো। পৃথিবীর সকল পুরুষ রাই এই ধরনের ভাগ্যের অধিকারী হতে চায় অবশ্যই। গর্ভবতী হতে না ছেলেও আপনারা কি জীবনে একবারও এই গ্রামটি প্রদর্শন করতে চান? কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow