কিম জং উন এর ভয়ংকর যতসব আইন

কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। আমরা সবাই কম বেশি তাকে তার নিজের দেশে অদ্ভুত বিভিন্ন ধরনের আইন প্রচলন করার জন্য চিনে থাকি। কিম জং উন তার নিজের দেশের মানুষকে কি কি অদ্ভুত ধরনের আইনের সাথে বেঁধে রেখেছে চলুন দেখে আসা যাক। 

কিম জং উন এর ভয়ংকর যতসব আইন

কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। আমরা সবাই কম বেশি তাকে তার নিজের দেশে অদ্ভুত বিভিন্ন ধরনের আইন প্রচলন করার জন্য চিনে থাকি। কিম জং উন তার নিজের দেশের মানুষকে কি কি অদ্ভুত ধরনের আইনের সাথে বেঁধে রেখেছে চলুন দেখে আসা যাক। 

কোরিয়াতে চলবে মাত্র ২৮টি হেয়ারকাট, যার ১০টি পুরুষ এবং ১৮টি নারীদের জন্য নির্দিষ্ট। এর বাইরে কোনো নারী কিংবা পুরুষ কোনো হেয়ারকাট রাখলে তার জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। এছাড়াও কিম জং উন যেভাবে চুল কাটান সেভাবে দেশের আর কেউ কাটাতে পারবেন না। এই একটি কাটিং কেবল তাদের শাসক কিম জং এর জন্যই বরাদ্দ। আপনার যেখানে ইচ্ছে সেখানে থাকবেন কিন্তু এই নিয়ম আপনার জন্য নয় আপনি যদি উত্তর কোরিয়ার নাগরিক হন। একমাত্র প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ও তা‍র সরকার তাদের দেশের জনগণের বসবাস নির্ধারন করেন। যদি কেউ একই সাথে উত্তর কোরিয়া এবং আমেরিকায় থাকার চিন্তা করে, তাহলে কোনোভাবেই তা সম্ভব নয়। 

যারা উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দা, গেম অফ থর্নস ‍কিংবা ইউটিউব ফেসবুক তাদের জন্য নয়। সেখানে নেই কোনো ইন্টারনেট, নেই বাইরের কোনো টিভি চ্যানেল। শুধুমাত্র নিজস্ব তিনটি চ্যানেল রয়েছে, যেখানে দিনরাত চলতে থাকে সরকারী প্রোপাগান্ডা।

উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল কল। ২০০৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল কল করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে অন দ্যা স্পট গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৬ জন প্রতিবাদ জানালে তাদেরকেও একইসাথে গুলিবিদ্ধ করা হয়। কেউ দেশ ত্যাগ করতে ‍চাইলে অথবা দেশ থেকে পালাতে চেষ্টা করলে তাকে ব্যভিচারে হত্যা করা হবে। কেউ যেনো সাগর দিয়ে সাঁতরে নিকটবর্তী চীন কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করতে না পারে, সেজন্য বিরামহীন পাহারায় থাকে বন্দুকধারী বিশেষ সেনাবাহিনীর দল। সপ্তাহের পুরো সাত দিনই কাজ করতে হবে। 

একদিন বিরতি হলেও বাড়তি জরিমানা দিয়ে কাজে ফিরতে হয় কর্মচারীদের। নেই কোনো শিশু শ্রম আইন। পরিবারের চাহিদা মেটাতে কাজ করছে হাজারো শিশু শ্রমিক। একমাত্র সরকার প্রধানরাই সেখানে গাড়ি ব্যবহার করতে পারে। কোনো সাধারণ মানুষের জন্য গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি নেই। ব্যক্তিগত গাড়ি উত্তর কোরিয়ায় একেবারেই নিষিদ্ধ। তাই স্কুল-কলেজ, অফিস আদালতে যেতে সাধারণ মানুষদেরকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বাসেন জন্য অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।

যদি আপনি ট্যুরিষ্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়া ভ্রমণে যান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ছবি তুলতে দেয়া হবে না। একবার কোনোভাবে সেখানকার কিছু ছবি ফাঁস হয়েছিলো। যা পরবর্তীতে ব্যান করা হয়েছে। ব্যানকৃত ২৭টি ছবির মধ্যে একটিতে খাদ্যের অভাবে এক ব্যক্তিতে মাটি থেকে ঘাস কুড়িয়ে খেতে দেখে গেছে। উত্তর কোরিয়ায় অ্যাপল, সনি ও মাইক্রোসফটের পণ্য বিক্রিতে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে, উল্লিখিত ব্র্যান্ডের আইফোন থেকে ল্যাপটপ, টিভি কিছুই পাওয়া যায় না। উত্তর কোরিয়ায় খুব কম সংখ্যক মানুষই এই ব্র্যান্ডগুলোর খোঁজ রাখেন।

কোরিয়ার যত সব অদ্ভুত নিয়ম-কানুন থাকা শর্তেও কোরিয়ান খাবার ও কে পপ স্টাররা বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। যার কারনে কোরিয়ার অনেক অনৈতিক জিনিস এখন পর্যন্ত মানুষের চোখের আড়ালেই রয়ে গেছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow