কর্মচারীকে ১৫০০ কোটি টাকার বাড়ি উপহার দিলেন মুকেশ আম্বানি।

এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি নিজের এক কর্মচারীকে একটি বাড়ি উপহার দিয়েছেন। বাড়িটির দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি। কে সেই ভাগ্যবান ব্যক্তি, চলুন জেনে আসা যাক। 

কর্মচারীকে ১৫০০ কোটি টাকার বাড়ি উপহার দিলেন মুকেশ আম্বানি।

এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি নিজের এক কর্মচারীকে একটি বাড়ি উপহার দিয়েছেন। বাড়িটির দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি। কে সেই ভাগ্যবান ব্যক্তি, চলুন জেনে আসা যাক। 

বাড়িটি আসলে একটি ২২ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। ভারতের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র মহারাষ্ট্রের রাজধানী ‍মুম্বাইয়ের নেপিয়ান সি রোডে অবস্থিত এই ভবনটি। নিজের যে কর্মচারীকে এই বাসভবনটি উপহার দিয়েছেন আম্বানি, তার নাম মনোজ মোদি। অম্বানীর কোটি কোটি টাকার চুক্তিগুলির সাফল্যের পিছনে মনোজের ভূমিকা থাকে অনেকটাই। পুরস্কার হিসাবেই, অম্বানী মনোজকে ২২ তলার একটি বাড়ি উপহার দিয়েছেন মুকেশ। 

যে-সে জায়গায় নয়, বহুতলটি মুম্বইয়ের নেপিয়ান সি রোডে অবস্থিত। নেপিয়ান সি রোডে আবাসিক সম্পত্তির দাম সাধারণত প্রতি বর্গফুটে ৪৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা। মুকেশ অম্বানী মনোজকে যে বহুতলটি উপহার দিয়েছেন, তার আয়তন প্রায় ১.৭ লক্ষ বর্গফুট। রিলায়েন্স জিয়োর ডিরেক্টর মনোজ, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করেছেন। তাঁর নতুন বাসভবনটির নাম বৃন্দাবন। উল্লেখযোগ্য ভাবে জেএসডব্লিউ গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজ্জন জিন্দালও নেপিয়ান সি রোডেই থাকেন। মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ 81.8 বিলিয়ন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় 6 লাখ 74 হাজার কোটি টাকা। মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির বিলাসবহুল বহুতল বাড়ি হল আন্তিলা। এটি 27 তলা বাড়ি। 

2012 সাল থেকে এই বাড়িতে বাস করছেন আম্বানিষ এটিতে রয়েছে তিন তিনটি হেলিপ্যাড, 50 জনের বসার মতো থিয়েটার রুম, 168টি গাড়ি রাখা যায় এমন গ্যারেজ। এটির মূল্য রয়েছে প্রায় 2 বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় 16 হাজার কোটি টাকারও বেশি। মুকেশ আম্বানির পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি এবং তিন সন্তান, আকাশ আম্বানি এবং ইশা আম্বানি যমজ এবং কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানি। ব্যপক সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁর স্বভাব অত্যন্ত নম্র ও তিনি বিনয়ী হিসেবে পরিচিত। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে আম্বানির শেফকে প্রতি মাসে আম্বানি 2 লাখ টাকা বেতন দেওয়া হয়। 

এছাড়াও তার বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার প্রতিটি কর্মচারী প্রায় একই পরিমাণে বেতন পান। মাসিক বেতনের পাশাপাশি, আম্বানির কর্মচারীরা বীমা এবং টিউশনের ক্ষেত্রেও কিছুটা টাকা পান। এরসঙ্গে, মুকেশ আম্বানির কিছু কর্মচারীর সন্তানেরা আমেরিকার স্কুলেও পড়াশোনা করেন। শুধু রাঁধুনি নন, অ্যান্টিলিয়ার অন্য কর্মচারীরাও মোটা অঙ্কের বেতন পান।আম্বানির ড্রাইভারের বেতন ভাইরাল হয়েছিল। জানা গিয়েছিল তখনই তার বেতন ছিল মাসিক 2 লাখ টাকা। যা একজন গাড়ি চালক হিসেবে নিঃসন্দেহে চমকে দেওয়ার মতো উপার্জন। 

এছাড়া অ্যান্টিলিয়ার অন্য কর্মচারীরাও যথেষ্ট ভালো বেতন পান, যা ওই পদে কর্মরতদের জন্য অবিশ্বাস্য উপার্জন। এছাড়াও ইন্ডিয়ার সুপারস্টার রামচরণ কিছুদিন আগে প্রথমবারের মতো এক কন্যা সন্তানের বাবা হওয়ায়। মুকেশ আম্বানি ও তার স্ত্রী ছোট্ট রাজকুমারীর জন্য এক কোটি টাকা দামের একটি স্বর্ণের দোলনা উপহার করেন।

অর্থ-যশে আম্বানি পরিবারের অবস্থান এখন ভারতের শীর্ষ কাতারে হলেও সব সময় এমন ছিল না। অঢেল সম্পত্তি না থাকলেও ধীরুভাই আম্বানির ছিল কিছু করে দেখানোর জেদ। সেই জেদ থেকেই রিলায়্যান্সের জন্ম। ১৯৬০-৭০ সালের দিককার কথা। রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ তখনও উত্থান দেখেনি, পথচলা শুরু করেছে মাত্র। এই সময় পরিবারকে নিয়ে মুম্বাইয়ের ভুলেশ্বরের জয় হিন্দ স্টেটে থাকতেন আম্বানি পরিবার। থাকার জন্য মাত্র দু’টি ঘর ছিল তাদের। সেই জয় হিন্দ স্টেট বর্তমানে বেণীলাল হাউস নামে পরিচিত। 

এরপর আর্থিক অবস্থার আরও উন্নতি হলে কার্মিকাল রোডের ঊষাকিরণ সোসাইটিতে ফ্ল্যাট কেনেন ধীরুভাই। সেখান থেকে তারা যান কোলাবার সি উইন্ড নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট। ২০০২ সালে মারা যান ধীরুভাই আম্বানি। বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হয় বলে জানা যায়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow