অমিতাভ রেজার ওয়েব সিরিজ 'বোধ' রিভিউ

একজন অবসরপ্রাপ্ত জজ যার স্ত্রী অনেক বছর আগে ট্র‍্যাকচাপায় মারা গেছে তার 'অপরাধবোধ' এবং সেটির উৎস অনুসন্ধান নিয়েই এই ওয়েব সিরিজটির গল্প।

অমিতাভ রেজার ওয়েব সিরিজ 'বোধ' রিভিউ

একজন অবসরপ্রাপ্ত জজ যার স্ত্রী অনেক বছর আগে ট্র‍্যাকচাপায় মারা গেছে তার 'অপরাধবোধ' এবং সেটির উৎস অনুসন্ধান নিয়েই  এই ওয়েব সিরিজটির গল্প। জজ সাহেবের এখন ঘুম হয় না বললেই চলে, হলেও দুঃস্বপ্নে এক অচেনা যুবককে দেখে উঠে যান তিনি। এছাড়াও তার মৃত স্ত্রীর আশপাশেও তিনি ছেলেটিকে দেখেন। তার মেয়ে আইনজীবী শ্রাবন্তী বাবার এই মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য তার দেয়া রায়গুলো দেখে বের করে যুবকের সন্ধান। ডিবি আই কর্মকর্তা এহসানকে সাথে নিয়ে শ্রাবন্তী সেই মামলা ঘাটতে গিয়ে পায় চাঞ্চল্যকর কিছু ব্যাপার।

অমিতাভ রেজার হাত ধরেই 'হইচই' এ বাংলাদেশ যাত্রা শুরু হয়েছে 'ঢাকা মেট্রো' দিয়ে। সেটা অনেকটাই আন্ডাররেটেড হলেও নির্মাতা কাজ করে মজা পেয়েছিলেন। তবে 'বোধ' অনেকটাই কমার্শিয়াল, কিছুটা কলকাতার স্টাইলে এপিসোড ডিজাইন এবং অনেকটাই 'গতিশীল'। গল্প আহামরি না হলেও সিরিজের অন্তর্নিহিত ভাব বেশ ভাল। চিত্রনাট্য একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ফ্ল্যাশব্যাক ও বর্তমান দিয়ে এগুলেও অনেক জায়গায় ক্লিশে লেগেছে। অফিসার এহসান কিংবা শ্রাবন্তীর ক্রাইসিস তাদের যেভাবে এক করেছে সেটা আরোপিত লেগেছে। ভাল লেগেছে শেষদিকের পর্বগুলো বেশি। অমিতাভ রেজা ও ডিজে সোনিকাকে দেখে মজা লাগলো সিরিজে।

পারফরম্যান্স বিচারে এগিয়ে থাকবেন শাহজাহান সম্রাট ও খায়রুল বাসার। সম্রাট আমাকে সহজাত অভিনয়ে চমকে দিয়েছেন। বাসার আঞ্চলিকতা ও চরিত্রে মিশে যাওয়ায় দারুন ছিলেন।
সেদিক থেকে সারাহ আলম ও স্পর্শিয়া মোটামুটি ভাল। আফজাল হোসেন ঠিকঠাক তবে গল্পে বেশ ইম্পেক্ট এনেছেন রওনক হাসান। ভাল লেগেছে রুনা খান ও সাঈদ বাবুকেও।

সিরিজের মিউজিক ভাল, ইডিটিং তেমন ভাল লাগে নি। অতীতের কালার টোন ও সেট আপ অনেকসময় দ্বিধা তৈরি করে। জাহিন ফারুক আমিনের স্ক্রিনপ্লে মোটামুটি ভাল হয়েছে তবে ক্যারেক্টার স্ক্রিনে আসার জাম্পগুলো দৃষ্টিকটু ছিল।

Rating   6.5/10

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow